|
|
|
|
ট্রেনে কাটা ঠেকাতে পথনাটিকা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
দুর্ঘটনা এড়াতে হাতিয়া অ্যাক্সিডেন্ট। রবিবার উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষের তরফে কোচবিহার জেলার ছয়টি এলাকায় ‘অ্যাক্সিডেন্ট’ নামে একটি পথনাটিকা পরিবেশন করা হয়। রেল গুমটি এলাকায় প্রথম পথ নাটিকা করার পর তাঁরা হরিণচওড়া, ভেটাগুড়ি, দেওয়ান হাট, দিনহাটা ও বামনহাটে আরও পাঁচটি পথনাটিকা পরিবেশন করেন। শনিবার একই দলের সদস্যরা অসমের গৌরীপুর, গোলকগঞ্জ ও ধুবুরির বিভিন্ন রেল ক্রসিং লাগোয়া এলাকায় ওই পথনাটিকা পরিবেশন করেছেন। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের অধীন অসমের কোকরাঝাড়, চিরাং থেকে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে থাকা দেড় শতাধিক রেল ক্রসিংয়ে পর্যায়ক্রমে একই ভাবে সচেতনা বাড়ানোর কাজ চালাবেন তাঁরা। রেলের আধিকারিকদের একাংশের ধারণা, দেওয়াল লিখন, বিজ্ঞাপন, কর্মশালা করে বক্তব্য দেওয়ার মত বিভিন্ন পদ্ধতি থাকলেও সরাসরি মানুষের মনে দাগ কাটার জন্য দৃশ্যায়ন জরুরি। আর পথ নাটিকার মাধ্যমেই সেটি সম্ভব বলে ওই বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ মিনিটের ওই পথনাটিকার নাম ‘অ্যাক্সিডেন্ট’। |
|
‘অ্যাক্সিডেন্ট’। ছবি তুলেছেন হিমাংশুরঞ্জন দেব। |
ফালাকাটা স্টেশনের কমার্শিয়াল সুপারভাইজার স্বপন দত্ত নাটিকাটির রচয়িতা, নির্দেশনাও তাঁরই। স্বপনবাবুর কথায়, “প্রহরীবিহীন ক্রসিংয়ে তো বটেই রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে মোবাইল ব্যবহার বিপজ্জনক। বন্ধ রেলগেট দিয়ে ঝুঁকে পারাপারেও দুর্ঘটনা হতে পারে। ওই রকম আরও কিছু প্রবণতা এড়ানো কেন জরুরি সেটাই নাটিকার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। মানুষ নাটিকা দেখছেন বলে আমাদেরও উৎসাহ বেড়েছে।” ওই পথনাটিকায় ১২ জন অভিনয় করেছেন। তাঁদের মধ্যে দীপক সরকার, বিকাশ দাসের মতো রেল কর্মীরা ছাড়াও কোচবিহারের একটি নাট্যগোষ্ঠীর সদস্যরা রয়েছেন। সচেতনতা বাড়ানোর ওই নাটিকা থেকেই ট্রেনে দাহ্য পদার্থ পরিবহণের ঝুঁকি ও সাজা, ট্রেনে অপরিচিত কোন ব্যাক্তির দেওয়া পানীয় বা খাবার গ্রহণ না করার মতো একাধিক বিষয়ে লিফলেট বিলি করে প্রচার চালানো হয়েছে।” |
|
|
|
|
|