|
|
|
|
বিসর্জনের দায়ভার পুরসভার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
প্রতিবারের মত এবছরও দুর্ঘটনা এড়াতে দশমীর দিন ঘাট সহায়ক রাখার পাশাপাশি পুরো বিসর্জনের প্রক্রিয়াই হাতে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রায়গঞ্জ পুরসভা। বেশ কিছু বছর ধরেই নির্বিঘ্নে বিসর্জন শেষ করতে পুরসভা শহরের বিভিন্ন নদীঘাটে ঘাট সহায়ক নিয়োগ করে আসছে। বিসর্জনের প্রক্রিয়ায় বিন্দুমাত্র ঝুঁকির আশঙ্কা যাতে না থাকে সে জন্যই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বিসর্জনের যাবতীয় ব্যবস্থা পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে সরকারি ভাবে বিষয়টি পুলিশ, প্রশাসন সহ বিভিন্ন সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রায়গঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রণজকুমার দাস বলেন, “প্রায় বছর দশেক ধরে পুরসভার উদ্যোগে নির্বিঘ্নে বিসর্জন শেষ করতে শহরের বিভিন্ন নদীঘাটে ঘাট সহায়ক রাখা হচ্ছে। ফলে, বিসর্জন চলাকালীন দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। এ বছর ঘাট সহায়ক নিয়োগ করার পাশাপাশি গোটা বিসর্জন প্রক্রিয়াটাকেই পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, প্রশাসন ও বিভিন্ন সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।” পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ পুর এলাকায় বাড়ির পুজো ও সর্বজনীন মিলিয়ে প্রায় দেড়শোটি দুর্গাপুজো হয়। দশমীতে শহরের খরমুজাঘাট ও বন্দর এলাকার কুলিক নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। প্রায় এক দশক আগে প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে ওই দুই এলাকার নদীতে জলে ডুবে কয়েক জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটায় নির্বিঘ্নে বিসর্জন শেষ করতে পরের বছর থেকে প্রতি বছর দশমীতে ঘাট সহায়ক নিয়োগ করে চলেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। পুরসভার তরফে জানানো হয়, এবার দশমীর দিন খরমুজাঘাট ও বন্দরঘাটে ২৫ জন করে ৫০ জন ঘাট সহায়ক নিয়োগ করা হবে। যারা ওই দিন দুপুর ১২ টা থেকে বিসর্জন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কর্মরত থাকবেন। পুরসভার তরফে ঘাট সহায়কদের ৪০০ টাকা মজুরি দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হবে। বিসর্জনের জন্য ঘাটে প্রতিমা নিয়ে পৌছোনোর পরে কমিটির সদস্যদের থেকে প্রতিমা নিয়ে ঘাট সহায়করাই সাতপাক ঘুরিয়ে তা বিসর্জন দিয়ে দেন। অভিযোগ ঘাট সহায়কদের হাতে প্রতিমা তুলে দিলেও কমিটির সদস্যরাও নদীতে নেমে পড়েন। সে কথা মাথায় রেখেই পুর কর্তৃপক্ষের এবারের সিদ্ধান্ত, নদীঘাটের প্রায় ১০০ মিটার আগেই ঘাট সহায়করা উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে প্রতিমা সংগ্রহ করে নেবেন। দর্শনার্থীরাও যাতে নদীতে না নামতে পারেন তার জন্য পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের সহযোগিতা নিয়ে পুরসভার তরফে নদীর পাড়ে ব্যারিকেড তৈরি করে দেওয়া হবে। পুরসভার তরফে ঘাটগুলিতে আলো, পানীয় জল, প্রাথমিক চিকিৎসা, আ্যম্বুল্যান্সসহ বিপর্যয় মোকাবিলার ব্যবস্থা রাখা হবে। নজরদারির জন্য ঘাটগুলিতে পুরসভার একাধিক শিবির থাকবে। পুজো উদ্যোক্তাদের যাতে ঘাট সহায়কদের চিনতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য সহায়কদের বিশেষ রঙের পোষাক দেবে পুরসভা। ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, “পুরসভার নির্দেশ অমান্য করে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশে অভিযোগ জানানো হবে।” |
|
|
|
|
|