সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে ওষুধ-বিধি ভাঙার প্রবণতায় ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড উদ্বিগ্ন। ওষুধ-বিধি যথাযথ ভাবে অনুসরণ না-করার অভিযোগ ওঠায় বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতালকে সতর্ক করে চিঠি দিচ্ছে তারা। চিঠি দেওয়া হয়েছে কলকাতার দু’টি হাসপাতালকে। বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে শহরের আরও চার হাসপাতালে।
ওই সব হাসপাতালের বিরুদ্ধে ‘নার্কোটিক ড্রাগ’ অর্থাৎ নেশা ও মরফিন জাতীয় ওষুধ রাখার অভিযোগ তো আছেই। সেই সঙ্গে অভিযোগ উঠেছে, বেআইনি ভাবে অতিরিক্ত ওষুধ মজুত রাখা হচ্ছে এবং একটি ফার্মাসির লাইসেন্স নিয়ে হাসপাতালের মধ্যে একাধিক ফার্মাসি চালানো হচ্ছে। ওষুধ মজুত রাখার জন্য হাসপাতাল ও নার্সিংহোমকে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। কিন্তু ওই সব হাসপাতালে গিয়ে দেখা গিয়েছে, তারা সেই নিয়ম মানছে না। এর আগেও ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড ওই সব হাসপাতালকে সতর্ক করে দিয়েছিল। তার পরেও তারা নিয়ম ভাঙছে। তার পরেই তাদের সতর্ক করে চিঠি পাঠাতে শুরু করেছে বোর্ড।
সতর্কীকরণ চিঠি পাওয়া একটি হাসপাতালের সিইও বা চিফ এগ্জিকিউটিভ অফিসার ব্রিগেডিয়ার স্বরাজব্রত পুরকায়স্থ জানান, গাফিলতিটা খুব বড় কিছু নয়। ছোট কিছু ত্রুটি থেকে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের মনে হয়েছে, নিয়মগুলি আরও কঠোর ভাবে মানা উচিত। তাঁরা খুব তাড়াতাড়িই নিয়মবিধি মেনে বোর্ডকে চিঠি দেবেন বলে জানান পুরকায়স্থ। একই কথা বলেছেন চিঠি পাওয়া অন্য হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ।
চিঠি পেয়েও বিধি না-মানলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে? ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের এক কর্তা জানান, তালিকাভুক্ত ওষুধ মজুত রাখার কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলি না-মানলে ক্রেতাদের সমস্যা হবে। সম্প্রতি ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন হাসপাতালগুলি পরিদর্শনে গিয়ে অনিয়ম ধরে ফেলেন। এ ব্যাপারে বোর্ড আগেও হাসপাতালগুলিকে সতর্ক করে দিয়েছিল। কিন্তু সরকারি ও বেসরকারি সব ক্ষেত্রেই গা-ছাড়া মনোভাব দেখা গিয়েছে। এ বার চিঠি পেয়েও হাসপাতালগুলি যদি ত্রুটি না-শোধরায়, তা হলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে। |