তৃণমূল ছেড়ে ক্যানিংয়ের হাজার দু’য়েক নেতা-কর্মী সিপিএমে যোগ দিয়েছিলেন বলে গত শুক্রবারই দাবি করেছিল সিপিএম। এ বার ক্যানিংয়েই সিপিএম এবং আরএসপি-র হাজার খানেক কর্মী-সমর্থক তাঁদের দলে যোগ দিল বলে দাবি করল তৃণমূল।
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগ-সহ কেন্দ্রীয় নানা সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় রবিবার বিকেলে ক্যানিংয়ের ঢুঁড়ি থেকে সরবেড়িয়া পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার পদযাত্রা করে তৃণমূল। মিছিলে হাঁটেন তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, দলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সহ সম্পাদক শক্তি মণ্ডল, ক্যানিং ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সওকত মোল্লা প্রমুখ। ওই জমায়েতেই আরএসপি এবং সিপিএম ছেড়ে কর্মী-সমর্থকেরা তৃণমূলে যোগ দেন বলে দলীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে। |
শক্তিবাবু বলেন, “বামফ্রন্টের দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এবং তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে আস্থা রেখেই ওঁরা আমাদের দলে যোগ দিলেন।” তৃণমূলে যোগ দিয়ে মীর মহম্মদ, নিতাই হালদার, আবদুল শেখরা বলেন, “দলে সম্মান পাচ্ছিলাম না। নিরাপত্তার অভাবও বোধ করছিলাম। সে জন্যই দল ছাড়তে বাধ্য হলাম।”
এ বিষয়ে আরএসপি-র বিধায়ক সুভাষ নস্কর বলেন, “আমাদের দল ছেড়ে কারও তৃণমূলে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আর যাঁরা আমাদের দল থেকে তৃণমূলে গিয়েছেন বলে দাবি করছেন, তাঁদের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরেই আমাদের সম্পর্ক নেই। ওঁদের ব্যাপারে পুলিশি রেকর্ড দেখলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।”
অন্য দিকে, ক্যানিং পূর্ব কেন্দ্রের সিপিএম বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লার কথায়, “যারা তৃণমূলে যোগদান করেছেন বলে দাবি করছেন, তাঁদের সঙ্গে বিধানসভা ভোটের পর থেকেই আমাদের যোগাযোগ নেই।” তাঁর আরও দাবি, “এখন তো বহু লোক আমাদের সঙ্গেই আসতে চাইছে।” |