চোলাই বিক্রির অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতে মিনাখাঁ থানার উত্তর আখড়াতলা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় রমেশ দাসকে। পুলিশ তাঁর কাছ থেকে ২৩ লিটার চোলাই এবং ৭৬ বোতল বিদেশি মদ আটক করে। ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে হাড়োয়া থানার পুলিশ মাদারতলা গ্রাম থেকে নিশিকান্ত সর্দার এবং নিমাই দাসকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের কাছ থেকে ৮০ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামে চোলাইয়ের ঠেক চালাচ্ছিলেন রমেশ দাস। চোলাইয়ের ঠেকে আসা দুষ্কৃতীদের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি গ্রামবাসীরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, চোলাইয়ের ঠেকে আসা দুষ্কৃতীরা এলাকায় চুরি-ছিনতাই শুরু করেছিল। সন্ধ্যার পর মহিলারা বাইরে বেরোতেও ভয় পেতেন। ইদানীং গ্রামের ছেলেদের একাংশ চোলাইয়ের নেশা শুরু করায় সমস্যা আরও বেড়েছিল। মহিলাদের অভিযোগ, ঘরের মানুষ রোজগারের টাকা খরচ করে চোলাই খাওয়া শুরু করেছিলেন। চোলাইয়ের ব্যবসা সরিয়ে নেওয়ার জন্য বার বার রমেশকে অনুরোধ করলেও কোনও কাজ হয়নি। বাসিন্দাদের অভিযোগ পেয়ে মিনাখাঁ থানার ওসির নেতৃত্বে শনিবার রাত ১০টা নাগাদ পুলিশ গিয়ে চোলাইয়ের ঠেক ভেঙে দেয়। গ্রেফতার করে রমেশ দাসকে।
একই অভিযোগ হাড়োয়ার মাদারতলা এলাকার বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, মদের ঠেকের জন্য গ্রামে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বাড়ছে। অথচ বার বার সাবধান করা সত্ত্বেও কয়েক জন রমরমিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ওই গ্রাম থেকে দুই মদ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে ঠেক ভেঙে দেয়। |