মর্গ্যানের মতে অন্তত গতবারের থেকে ভাল শুরু
ফেড কাপ চ্যাম্পিয়নরাও প্রথম ম্যাচে আটকে গেল
ইস্টবেঙ্গল-০
স্পোর্টিং ক্লুব দ্য গোয়া-০
ফেডারেশন কাপ জেতার পর আই লিগ ম্যারাথনের প্রথম পদক্ষেপ। লাল-হলুদ সমর্থকরা প্রত্যাশা করেছিলেন আর একটা মারকাটারি জয়। যেখানে চিডিরা যথেচ্ছ ‘শিকার’ করবেন।
কিন্তু ম্যাচটা ট্রেভর মর্গ্যানের দলের কাছে হয়ে দাঁড়াল মরসুমে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে হতাশার। যেখানে ইনজুরি টাইম-সহ ৯৫ মিনিট মাথা খুঁড়েও গোল করতে পারলেন না চিডিরা। ২০১২-১৩ মরসুমে প্রথম বার। আগের আট ম্যাচে ২৪ গোল করা ইস্টবেঙ্গলকে ফেড কাপ গ্রুপ ম্যাচের মতোই আটকে দিল একেন্দ্র সিংহের গোয়ান দল।
তফাতের মধ্যে, শিলিগুড়ির ১-১ হওয়া ম্যাচে স্পোটির্ংয়ে ছিলেন তিন বিদেশি। রবিবার মারগাওয়ের ফাতোরদা স্টেডিয়ামে স্পোর্টিং একেবারে ‘স্বদেশি’। মিডফিল্ডার ওগবা কালু ও ডিফেন্ডার কেইতা বৌবাকারের চোট।
মিলিয়ে গেল চিডির হাসি
ক্যামেরুনের স্ট্রাইকার বং বারট্র্যান্ডকে রাখেনি স্পোর্টিং। গতবারের সর্বাধিক গোলদাতা জেমস মোগা চলে গিয়েছেন পুণে এফসি-তে। তা সত্ত্বেও চিডি-মেহতাব-সঞ্জুদের সঙ্গে স্পোর্টিংয়ের দেশীয় ছেলেদের অসম লড়াই শেষ হল পয়েন্ট ভাগাভাগিতে। সে প্রথম মিনিট থেকে যতই লড়াইটা হোক চিডি-মননদীপ বনাম স্পোর্টিং ডিফেন্সের। অনেক বারই গোলের খুব কাছে পৌঁছেও বল জালে জড়াতে পারেননি চিডিরা। ইনজুরি টাইমে বলজিতের হেড ক্রসবারে লাগল।
আসলে এ দিন মর্গ্যানের স্ট্র্যাটেজিগুলো খাতায় ছিল এক, মাঠে হয়ে গেল আর এক। লাল-হলুদ কোচ চেয়েছিলেন পাসিং ফুটবল। বদলে মেহতাব-পেনরা অনেক বেশি স্কোয়ার পাস খেলে খেলাটাকে মন্থর করে তুললেন। দিশা খুঁজে পেতে লং বলের আশ্রয়ে চলে গেলেন ওপারা-মেহতাব। ম্যাচের গতির উল্টো দিকে বরং ডওসন ফার্নান্ডেজ একা পেয়ে গিয়েছিলেন লাল-হলুদ গোলকিপার অভিজিৎ মণ্ডলকে। যা নিয়ে মর্গ্যান ফোনে বললেন, “আমরা ভাগ্যবান যে প্রথমার্ধেই পিছিয়ে পড়িনি।”
চিডি-মননদীপ যুগলবন্দি দিয়েই স্পোর্টিং বধের ছক কষেছিলেন মর্গ্যান। গোড়ালিতে চোট পাওয়ায় ৪১ মিনিটে মননদীপকে তুলে সদ্য চোট থেকে ফেরা রবিন সিংহকে নামান মর্গ্যান। রবিন ফর্ম থেকে বহু যোজন দূরে থাকায় কার্যত এক স্ট্রাইকারেই খেলল ইস্টবেঙ্গল। সেই একমাত্র স্ট্রাইকার চিডি আবার হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন। এ দিন মাঠে নামা নিয়েই সংশয় টার্নিং বা ‘অফ দ্য বল’ দৌড়নোর ক্ষেত্রে ফেড কাপের ফর্মের চিডিকে পাওয়া যায়নি। বহু আক্রমণ করলেও সুসজ্জিত বাহিনী মনে হয়নি ইস্টবেঙ্গলকে।
মর্গ্যান অবশ্য বললেন, “এখানেই পৃথিবী শেষ হয়ে যাচ্ছে না। পুরো লিগটাই বাকি।” গতবার চার্চিলের কাছে হেরে আই লিগ শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল। ব্রিটিশ কোচ মনে করেন, এটা তার থেকে ভাল ফল। মেহতাবরা সোমবার ফিরে পর দিন রওনা দেবেন ভাইচুংয়ের শহরে। বৃহস্পতিবার আই লিগে মর্গ্যান-ব্রিগেডের বিপক্ষ ইস্টবেঙ্গলের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ডের নিজের দল ইউনাইটেড সিকিম।

ইস্টবেঙ্গল: অভিজিৎ, নওবা, অর্ণব, ওপারা, সৌমিক, সঞ্জু (বলজিৎ), মেহতাব, ইসফাক (লালরিন্ডিকা), পেন, চিডি, মননদীপ (রবিন)।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.