দুপুরেই আঁধার উত্তর কলকাতা
ছুটির দিনে অন্যান্য এলাকার মতো উত্তর কলকাতা ও শহরতলির মানুষও যখন পুজোর বাজার করতে পথে নেমেছেন, বাদ সাধল বিদ্যুৎ-বিভ্রাট। রবিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লোডশেডিং চলে উত্তর কলকাতার অধিকাংশ এলাকায়। হাতিবাগান বাজার, বিভিন্ন শপিং মল, বাজার ও দোকানে কেনাকাটা করতে গিয়ে অন্ধকারে ঘেমেনেয়ে নাজেহাল হয়ে যান শহরবাসী। মাথায় হাত পড়ে দোকানিদেরও। বেলা ৩টে ৪০ মিনিট থেকে ৪টে ১৬ মিনিট পর্যন্ত বিমানবন্দরেও বিদ্যুৎ ছিল না। কর্তৃপক্ষ নিজেদের জেনারেটর চালু করে বিমান ওঠানামা বজায় রাখেন।
সমস্যার সূত্রপাত সিইএসসি-র টিটাগড় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে। ওই সংস্থার সূত্রের খবর, এ দিন বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ টিটাগড় কেন্দ্রে যান্ত্রিক গোলযোগ শুরু হয়। সেখানকার বিদ্যুৎ আসে নিউ কাশীপুর কেন্দ্রে। তাই টিটাগড়ে বিভ্রাটের জেরে কাশীপুর কেন্দ্রও সম্পূর্ণ বসে যায়। উত্তর কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় অন্ধকার নেমে আসে। বিভ্রাট থেকে রেহাই পায়নি জরুরি পরিষেবাও। হাসপাতাল-সহ অনেক জায়গাতেই বিদ্যুতের অভাবে কাজকর্ম ব্যাহত হয়। কোথাও টানা দু’ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না।
পুজোর কেনাকাটা করতে গিয়ে দোকানে দোকানে আলো না-থাকায় সমস্যায় পড়েন ক্রেতারা। তুমুল ভিড়ের মধ্যে ‘ইমার্জেন্সি’ আলোয় জামাকাপড় পছন্দ করে কিনতে পারেননি অনেকেই। বিকেলে আমহার্স্ট স্ট্রিট থেকে স্ত্রী, মেয়েকে নিয়ে হাতিবাগান বাজারে এসেছিলেন সরকারি কর্মী সম্রাট বসু। তিনি বলেন, “আলো না-থাকায় তেমন কিছুই কিনতে পারলাম না। ফের এখানে আসার সময় পাব কি না জানি না।”
সিইএসসি জানায়, গরম কিছুটা কম থাকায় এ দিন তুলনামূলক ভাবে বিদ্যুতের চাহিদাও কিছুটা কম ছিল। সন্ধ্যার পরে পরিস্থিতি ক্রমে স্বাভাবিক হতে থাকে। বিভ্রাটের জেরে প্রায় ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ-ঘাটতি হয়।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.