দিন কয়েক আগেও তাঁরা গির্জায় জমায়েত হচ্ছিলেন। রবিবারও হয়েছেন। তবে ফারাক একটাই। এত দিন ছোট্ট মেয়েটিকে ফিরে পেতে প্রার্থনা করছিলেন। আর রবিবার সেই শিশুরই আত্মার শান্তি-কামনায় গির্জায় এসেছিলেন তাঁরা। তাঁরা, ওয়েলশের ম্যাকিনলেথের বাসিন্দা। সম্প্রতি আদরের ক্ষুদে প্রতিবেশী এপ্রিল জোনসকে হারিয়ে যাঁদের প্রত্যেকেরই চোখে জল। পুলিশ অবশ্য এপ্রিলকে অপহরণের অভিযোগে মঙ্গলবারই গ্রেফতার করেছিল মার্ক ব্রিজারকে। কিন্তু এখনও খোঁজ মেলেনি এপ্রিলের। |
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার বিকেলে ম্যাকিনলেথে নিজের বাড়ির কাছেই বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিল বছর পাঁচেকের ছোট্ট এপ্রিল। সে দিনই তাকে শেষ বারের মতো দেখতে পাওয়া যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি ভ্যানে উঠতে দেখা গিয়েছিল এপ্রিলকে। তার পর থেকেই নিখোঁজ সে। এপ্রিলের অপহরণের অভিযোগে গত মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় তার বাবার বন্ধু মার্ক ব্রিজারকে। কিন্তু পরে মার্কের বিরুদ্ধে এপ্রিলের খুনের অভিযোগ আনে ওয়েলশ পুলিশ। তার পর থেকেই গোয়েন্দারা লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করে চলেছেন মার্ককে। আগামী কাল তাঁকে অ্যাবেরিস্টুইথ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পেশ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মার্কের বিচারের সঙ্গে চলেছে এপ্রিলের খোঁজ। শনিবারও প্রায় ৬০ জন পুলিশ অফিসার ম্যাকিনলেথ সংলগ্ন মাঠ, জঙ্গলে তন্নতন্ন করে খুঁজেছেন এপ্রিলকে। কিন্তু সে এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ ভাবে যতই সময় গড়াচ্ছে, এপ্রিলের জীবিত থাকার সম্ভাবনা ততই ক্ষীণ হয়ে আসছে বলে মনে করছেন পুলিশ কর্তারা। তাই তাকে মৃত ধরে নিয়েই তদন্ত এগোচ্ছে ওয়েলশ পুলিশ। এ জন্য ডাইফি নদীর তীরে মার্ক ব্রিজারের দোতলা বাড়িতে দ্বিতীয় বার তল্লাশিও চালিয়েছিল পুলিশ। সেখানেও এপ্রিলের দেহ পাননি তাঁরা।
যদিও এপ্রিলকে মৃত মানতে রাজি নন তার মা কোরাল জোনস। একই বিশ্বাস ম্যাকিনলেথের কিছু বাসিন্দারও। তাই এপ্রিলের ফেরত আসার আশায় এখনও প্রার্থনা করে চলেছেন তাঁরা। |