মোবাইল ফোন চুরি করে পালানোর সময়ে ধরে ফেলে থাপ্পড় মেরেছিলেন এক শিক্ষক। দলবল জুটিয়ে ফিরে এসে ওই শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠল বর্ধমানের নীলপুরে।
রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে নীলপুর আমবাগান সুকান্তপল্লি এলাকায়। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (ইউআইটি) শিক্ষক শুভেন্দু বিশ্বাস জানান, এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বাড়ির বারান্দায় বসে চা পান করছিলেন তিনি। মাঝে এক বার বাড়ির ভিতরে যান। পুলিশের কাছে অভিযোগে শুভেন্দুবাবু জানান, ভিতর থেকে ফিরে এসে দেখেন বারান্দার টেবিলে রাখা তাঁর মোবাইল ফোনটি নেই। সঙ্গে সঙ্গে অন্য একটি ফোন থেকে মোবাইলে রিং করতেই শব্দ শুনতে পান তিনি। বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখেন, এক যুবক ফোনটি নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। তিনি ছুটে গিয়ে তাকে ধরে ফেলেন। প্রথমে অস্বীকার করলেও চড়-থাপ্পড় মারতে ওই যুবক মোবাইলটি ভের করে দেয় বলে জানান শুভেন্দুবাবু।
|
শুভেন্দু বিশ্বাস।
—নিজস্ব চিত্র। |
কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই গোলমাল বাধে। শুভেন্দুবাবু ও তাঁর সহকর্মী পার্থপ্রতিম সরকার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, ওই যুবক পাড়ার ১০-১২ জনকে নিয়ে তার বাড়িতে চড়াও হয়। মাটিতে ফেলে মারধর করার পরে রক্তাক্ত অবস্থা তাঁকে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ শুভেন্দুবাবুর। পার্থপ্রতিমবাবুকে নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করানোর পরে থানায় অভিযোগ করতে যান তিনি।
দুই শিক্ষকের দাবি, ঘটনার তদন্তে পুলিশ এলাকায় গেলে তৃণমূলের স্থানীয় কিছু লোকজন তাদের ফিরিয়ে দেয়। নীলপুরের তৃণমূল নেতা ঝন্টু চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, “এই ঘটনায় আমাদের কেউ জড়িত নয় বলেই জানি। তবে এখন তো সকলেই তৃণমূলের সমর্থক। তাই কারা এই ঘটনায় জড়িত তা খোঁজ নিচ্ছি।” এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) অম্লানকুসুম ঘোষ বলেন, “শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় নির্দিষ্ট কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরা হবে।” |