|
|
|
|
শহরে দেবী বিসর্জনের পুলিশ-বিধি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
কোন পথে বিসর্জনের শোভাযাত্রা যাবে, পুজোর আগেই লিখিত ভাবে জানিয়ে দিতে হবে প্রশাসনকে। গত বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি শহরের পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে বৈঠকে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা পুলিশের তরফে। শুধু শোভা যাত্রার পথ নয়, কখন শোভাযাত্রা হবে, কোন ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন হবে, বিসর্জনের আগে কতক্ষণ ঘাটে প্রতিমা রাখা হবে তার সবই লিখিত ভাবে জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট থানায়। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, অষ্টমীর মধ্যেই সব পুজো কমিটিকে এই বিষয়ে যাবতীয় তথ্য লিখিত ভাবে জানাতে হবে। বিসর্জনের দিন শহরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে। জলপাইগুড়ি শহরে করলা নদীর অন্তত দশটি ঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘাটে জায়গা পাওয়া, কোন শোভাযাত্রা আগে যাবে তা নিয়ে প্রতিবছরই বিভিন্ন পুজো কমিটির মধ্যে বচসা লেগে থাকে। গত দু তিন বছরের মধ্যে সেই বচসাকে কেন্দ্র করে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হলেও, সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বছর পাঁচেক আগে বিসর্জনকে কেন্দ্র করেই শহরে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। সে কথা মাথায় রেখেই এবছর দশমীর বিসর্জন নিয়ে কড়া মনোভাব নিয়েছে পুলিশ। ছোট বড় সব পুজো কমিটিকেই বিসর্জনের পথ এবং সম্ভাব্য সময় আগাম জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব কমিটির থেকে বিসর্জনসূচি জানার পরে প্রয়োজনে তা রদবদলের নির্দেশও দেওয়া হতে পারে বলে পুলিশ এদিনের বৈঠকে জানিয়েছে। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি কোকিলচন্দ্র রায় বলেন, “প্রতিটি কমিটিকেই আগে বিসর্জনের বিষয়ে লিখিত ভাবে জানাতে হবে। কমিটিগুলি যাতে সুষ্ঠভাবে প্রতিমা বিসর্জন দিতে পারেন এবং সাধারণ দর্শনার্থীরাও সেই বিসর্জন যাতে শান্তিপূর্ন ভাবে দেখতে পারেন তার জন্যই এই নির্দেশ।” জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ হলে পুলিশ প্রশাসনের তরফে দূর্গাপুজো এবং ঈদের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক ডাকেন। পুজো কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিভিন্ন মসজিদের ইমামরাও এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন। দুই উৎসবেই কঠোর ভাবে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানানো হয়েছে সকলের কাছে। তবে এদিনের বৈঠকে পুজো মণ্ডপে বিদ্যুৎ সংযোগের বর্ধিত মূল্য, মাইক ব্যবহারের জন্য অতিরিক্ত অর্থ দেওয়া এবং পুজোর অনুমতি নিতে বিভিন্ন দফতরে বারবার ঘুরে হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়েছেন পুজো কমিটির প্রতিনিধিরা। একটি কমিটির প্রতিনিধি বলেন, “পাশের শহর শিলিগুড়িতে পুজোর অনুমতি নেওয়ার জন্য এক জানালা ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু জলপাইগুড়ি প্রশাসন সেই ব্যবস্থা চালু করতে পারল না।” |
|
|
|
|
|