লক্ষ্য পঞ্চায়েত
ভোট আসরে নামল তৃণমূল
পুজোর পর পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখে আগেই আন্দোলনের ঘোষণা করেছে সিপিএম। পাশাপাশি, দেরি না করে রীতিমত ভোট চেয়ে জনসভা শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে শুক্রবার জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতে জনসভা করেছে তৃণমূল। সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী দোলা সেন-সহ জেলা নেতৃত্ব। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের ডাকে জনসভা হলেও আদতে সেই সভা নির্বাচনী ভারই চেহারা নেয়। পঞ্চায়েত এবং জেলা পরিষদগুলি দখল না করলে তৃণমূল সরকারের কাজ করতে পদে পদে সমস্যা হবে বলে জানিয়ে, দলের মধ্যে সব ধরনের বিভাজন ভুলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে সভামঞ্চ থেকে দোলাদেবী দলের নেতা কর্মীদের নির্দেশ দেন। কংগ্রেস ও সিপিএমকে প্রধান শত্রু ধরে নিয়ে এলাকার সব গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আবেদনও তিনি জানান। এলাকার বিধায়ক খগেশ্বর রায় সভায় বলেন, “জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের ক্ষমতা দখল করতে হবে, না হলে জেলায় উন্নয়ন হবে না।” তৃণমূল সূত্রের খবর, গ্রামীণ এলাকার অসংগঠিত শ্রমিকেরা সিপিএমের ভোটব্যাঙ্ক বলেই পরিচিত ছিলেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাঙ্কে ফাটল ধরেছে। জেলার পঞ্চায়েতে ভালো ফলের আশায় অসংগঠিত শ্রমিকদের টানতে শ্রমিক সংগঠনের সভা করেই পঞ্চায়েতের প্রাথমিক পর্বের প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। দোলা সেন বলেন, “বামফ্রন্ট সরকার অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার শুধু প্রতিশ্রুতিই দিয়েছে। গত এক বছর চার মাসে তৃণমূল সরকার এসে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের পেনশন সহ সামাজিক নিরাপত্তার সুযোগ দিতে একাধিক প্রকল্প তৈরি করেছে। স্মার্ট কার্ড তৈরি করা হয়েছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় যখন এত দূর করেছেন, ভেবেছেন, আপনাদের কাছে অনুরোধ আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে সর্বত্র তৃণমূল প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জেতান। পঞ্চায়েত তথা জেলা পরিষদ দখল না করলে যে রাজ্যে তৃণমূল সরকার সঠিক ভাবে কাজ করতে পারবে না। এর জন্য দলের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।” স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্য বন উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান খগেশ্বরবাবু সভায় বলেন, “জেলা পরিষদ আমাদের দখল করতেই হবে, তা না হলে কাজ করতে সমস্যা হবে। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূল প্রার্থীদের ভোট দিন। প্রার্থী বড় নয়, মনে রাখবেন তৃণমূলকে ভোট দেওয়া মানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়া।” দলের জেলা সভাপতি চন্দন ভৌমিক বলেন, “আমাদের লক্ষ্য জেলা পরিষদ। সরকারের উন্নয়ন-কাজ বোঝাতে প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে।” ১৫-১৬ অক্টোবর খাদ্যমন্ত্রীকে দিয়েও জেলার বিভিন্ন এলাকায় সভা হবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.