|
|
|
|
মনোনয়ন দিতে বাধা |
ময়নাগুড়ির স্কুলে অভিযুক্ত তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়নাগুড়ি |
স্কুলের গেট আটকে পরিচালন সমিতির নির্বাচনে সিপিএম, আরএসপি এবং কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ময়নাগুড়ির পুঁটিমারি মথুরামোহন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ওই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ দিন স্কুলে ঢুকতে বাধা পেয়ে তিন দলের সমর্থিত প্রার্থীরা ফিরে যান। পরে সিপিএমের তরফে ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। এ দিন অবশ্য বিজেপি এবং কেপিপি সমর্থিত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেন। সিপিএমের ময়নাগুড়ি জোনাল কমিটির সম্পাদক অরুণ ঘোষ বলেন, “তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা এ দিন সকাল থেকে স্কুলের গেট আটকে বসে থাকে। সিপিএম, আরএসপি এমনকী কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীদেরও মনোনয়নপত্র জামা দিতে দেওয়া হয়নি। ঘটনাটি সময় মতো প্রশাসনের কর্তাদের জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।” |
|
ছবিটি তুলেছেন দীপঙ্কর ঘটক। |
তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব অবশ্য স্কুলের গেট আটকে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা তথা দলের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির এক সদস্য শিবশঙ্কর দত্ত বলেন, “তৃণমূলের তরফে কোনও প্রার্থীকে বাধা দেওয়া হয়নি। সেটা হলে বিজেপি এবং কেপিপি সমর্থিত প্রার্থীরা কেমন করে স্কুলে ঢুকলেন! স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ গেটের সামনে বসেছিল এটা ঠিক। কিন্তু সিপিএমের তরফে তাঁদের অনুরোধ করা হয়নি।” এ দিকে প্রশাসনের উদাসীনতার অভিযোগ অস্বীকার করেন স্থানীয় বিডিও কল্যাণ বড়ুয়া। তিনি বলেন, “ঘটনার কথা জানার পরে এলাকায় পুলিশ পাঠিয়েছি। কিন্তু তার পরেও কেন ওরা স্কুলে ঢুকলেন না বুঝতে পারছি না।” ময়নাগুড়ির আইসি অভিজিৎ সরকার বলেন, “ঘটনার কথা শোনামাত্র পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। নিরাপত্তার সমস্যা ছিল না। এর পরে কী হয়ে সেটা বলতে পারব না।” স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিচালন সমিতি এতদিন সিপিএম এবং আরএসপির দখলে ছিল। ৬টি আসনের মধ্যে ৪টি সিপিএম এবং ২টি আসন আরএসপি সমর্থিত প্রার্থীদের দখলে ছিল। ১৪ অক্টোবর ফের পরিচালন সমিতির ৬টি আসনের জন্য ভোট নেওয়া হবে। এ দিন ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার তারিখ। তৃণমূল ৮টি, বিজেপি এবং কেপিপি ৬টি করে মোট ২১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র পেশ করেন। মনোনয়নপত্র পরীক্ষার পরে বাড়তি দু’জন প্রার্থী তুলে নেওয়া হবে বলে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়। সকাল থেকে স্কুলের সামনে টেবিল নিয়ে তৃণমূল, বিজেপি এবং কেপিপির পাশাপাশি বসেন সিপিএম, আরএসপি এবং কংগ্রেস কর্মীরা। সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, স্কুল খুলতে তৃণমূলের সমর্থকরা লাঠিসোটা নিয়ে গেটের সামনে দাঁড়িয়ে যায়। একই অভিযোগ ব্লক কংগ্রেস নেতৃত্বের। কেন সিপিএম অথবা কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা করতে পারেনি সেই বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ মুখ খোলেননি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাহানুর আলম বলেন, “মোট ২১টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। স্কুলের বাইরে কী হয়েছে জানি না। স্কুলে যাতায়াত স্বাভাবিক ছিল। কে মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি কেন দেয়নি বলতে পারব না।” |
|
|
|
|
|