|
|
|
|
কমার্স কলেজে সিপি’র হ্যাটট্রিক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মেদিনীপুর কমার্স কলেজের ছাত্র সংসদ নিজেদের দখলেই রাখল ছাত্র পরিষদ (সিপি)। এই নিয়ে পরপর ৩ বছর। শুক্রবার কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন ছিল। ৩০টি আসনের মধ্যে সিপি পেয়েছে ২২টি, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) ৭টি। বাকি ১টি আসন এসএফআইয়ের। ফল বেরোনোর পর সিপি’র জেলা সভাপতি মহম্মদ সইফুল বলেন, “সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা যে কলেজ ক্যাম্পাসে কিছু সুবিধাবাদী-ক্ষমতালোভী ছাত্রছাত্রীর দাপাদাপি পছন্দ করেন না, নির্বাচনের ফলাফলে তা স্পষ্ট।”
কমার্স কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন ঘিরে কয়েক সপ্তাহ ধরেই উত্তেজনা ছিল। কলেজ ক্যাম্পাস এবং বাইরে দফায় দফায় ছাত্র সংঘর্ষ হয়েছে। সিপি’র সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে টিএমসিপি। টিএমসিপি কর্মীরা জেলা কংগ্রেস অফিসে হামলা চালায় বলেও অভিযোগ। আগে এই কলেজে এসএফআইয়ের ‘একাধিপত্য’ ছিল। তখন এসএফআই-সিপি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হত। রাজ্যে পরিবর্তনের পরে সংগঠন বেড়েছে টিএমসিপি’র। কমার্স কলেজের ছাত্র সংসদে অবশ্য ‘পরিবর্তন’ এসেছে ২০১০ সালেই। ওই বছর এসএফআইকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসে সিপি। ২০১১ সালেও জেতে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন। গত বছর ৩০টি আসনের মধ্যে সিপি পেয়েছিল ২৫টি। টিএমসিপি ৩ ও এসএফআই ২। |
|
ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
এ বার কমার্স কলেজের ছাত্র সংসদের দখল নিতে ‘তৎপর’ ছিল টিএমসিপি। সেই ‘তৎপরতা’র স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলে প্রার্থী তালিকায়। সংসদের ক্ষমতাসীন সিপি যেখানে সব আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি, সেখানে ৩০টি আসনের সবক’টিতেই প্রার্থী দিয়েছিল টিএমসিপি। সিপি’র প্রার্থী ছিল ২৮টি আসনে। এসএফআই লড়েছে ১৫টি আসনে। নির্বাচন ঘিরে শুক্রবার সকাল থেকেই কমার্স কলেজে উত্তেজনা ছিল। অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে এলাকায় ‘বাড়তি’ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। সঙ্গে ছিল নজরদারি। নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর উচ্ছ্বাস চেপে রাখেননি সিপি’র কর্মী-সমর্থকেরা। বিজয় মিছিল বেরোয়। পা মেলান সংগঠনের রাজ্য সভাপতি রাহুল রায়ও। সিপি’র জেলা সভাপতি বলেন, “সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা আমাদের পাশে রয়েছেন। আমরা তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ।” পরাজয় প্রসঙ্গে টিএমসিপি’র জেলা চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ গিরির বক্তব্য, “আগে আমাদের ৩টি আসন ছিল। এ বার বেড়ে ৭টি হয়েছে। কয়েকটি আসনে আমরা কম ব্যবধানে হেরেছি। সংগঠনের মধ্যে এই ফলাফল পর্যালোচনা হবে।” |
|
|
|
|
|