টুকরো খবর
সিপিএমের সমর্থনে পঞ্চায়েতে জয়ী কংগ্রেস
সিপিএমের সমর্থনে হাওড়ার শ্যামপুর ২ ব্লকের শশাটি পঞ্চায়েতটি দখল করল কংগ্রেস। ২০০৮ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে এই পঞ্চায়েতে প্রধান পদটি পায় তৃণমূল। তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে কংগ্রেস। গত ২৪ সেপ্টেম্বর অনাস্থা প্রস্তাবের উপরে ভোটাভুটি হলে তাতে হেরে যান তৃণমূল প্রধান। শুক্রবার নতুন প্রধান নির্বাচন করা হয়। পঞ্চায়েতের সদস্য সংখ্যা ১৬। কংগ্রেস ও তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা যথাক্রমে ৭ ও ৫ জন। সিপিএমের সদস্য ৪ জন। এ দিন তৃণমূলের সদস্যেরা অনুপস্থিত ছিলেন। প্রধান পদে কংগ্রেস প্রার্থী করে সিদ্ধার্থ খাঁড়াকে। সিপিএমের চার জন সদস্য তাঁকে সমর্থন করেন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর অনাস্থা প্রস্তাবের উপরে ভোটাভুটিতেও একই ভাবে হারেন তৃণমূল প্রধান নীলোৎপল সামন্ত। শুক্রবার তিনি বলেন, “সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যে ভাবে কংগ্রেস বোর্ড গঠন করল তা সকলে দেখলেন। আর মাত্র কয়েক মাস পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সাধারণ মানুষই এই অশুভ আঁতাতের জবাব দেবেন। সেই কারণেই আমরা আর ভোটাভুটিতে অংশ নিইনি।” অন্য দিকে, কংগ্রেস নেতা আতিয়ার খান বলেন, “তৃণমূলের সঙ্গে জোট করেই আমরা এত দিন চলছিলাম। কিন্তু আমাদের দলের সদস্যদের কোনও গুরুত্ব দেওয়া হত না। তৃণমূল নিজের মতেই সব কাজ করত। দুর্নীতি, স্বজন-পোষণও হয়েছে।” সিপিএমের সাহায্য নেওয়ার প্রসঙ্গে আতিয়ার বলেন, “সিপিএমকে সমর্থন করতে বলিনি। কিন্তু কেউ যদি পরিস্থিতির সুযোগ নেয় আমাদের কী বলার আছে?” সিপিএমের স্থানীয় নেতৃত্ব কোনও মন্তব্য করেননি।

চুঁচুড়ায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট
ধনেখালি, তারকেশ্বরের পর এ বার জেলা সদর চুঁচুড়ায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী মারপিটে জড়িয়ে পড়ল। একটি পার্টি অফিস তৈরি নিয়ে শুক্রবার দুপুরে দলের জেলা সভপতি তপন দাশগুপ্ত এবং চুঁচুড়ার বিধায়ক তপন মজুমদারের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে বচসা বাধে, পরে মারপিট হয়। শেষ পর্যন্ত চুঁচুড়া থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। দু’পক্ষই থানায় ডায়েরি করেছে। পুলিশ ও তৃণমূল সূত্রের খবর, এ দিন পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মিয়ারবেড় এলাকায় টিএমসিপি-র কিছু কর্মী সংগঠনের একটি কার্যালয় তৈরি করতে যান। তারা জেলা সভাপতির অনুগামী বলে পরিচিত। অভিযোগ, তাঁদের বাধা দেন ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সঞ্জিত মিত্র। তিনি আবার বিধায়কের ঘনিষ্ঠ বলে সুবিদিত। প্রথমে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। সেই খবর চাউর হতেই দুই গোষ্ঠীর ছেলেরাই সেখানে জড়ো হয়। তাতে উত্তেজনা বাড়ে। শুরু হয় মারপিট। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সঞ্জিতবাবু বলেন, “ওখানেই আমাদের দলের একটি পার্টি অফিস রয়েছে। আবার কেন একটা অফিস খোলা হবে, সে কথাই ওদের বলতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা কথা তো শুনলই না, উল্টে অসভ্যতা করল।” এ বিষয়ে দলের জেলা সভাপতি বলেন, “বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। দু’পক্ষই মারপিট করেছে। দলে কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করব না। যারা গোলমালে জড়িয়েছিল, তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।” বিধায়ক তপনবাবু বলেন, “সিপিএম ছেড়ে যোগ দেওয়া কিছু ছেলেই চুঁচুড়ায় আমাদের দলের পুরনো কর্মীদের মারধর করেছে। ওরাই দলে বিশৃঙ্খলা করছে।”

কারখানার দাবি, সিঙ্গুরে মিছিল করল কৃষকসভা
ছবি: দীপঙ্কর দে।
সিঙ্গুরে কারখানার দাবিতে প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিল সিপিএমের কৃষকসভা। শুক্রবার হুগলি জেলার সিঙ্গুরের ব্লক কৃষকসভার নেতারা স্থানীয় বিডিও বিষ্ণু কবিরাজের কাছে ৫ দফা দাবিতে ওই স্মারকলিপি দেন। তাতে খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগ, বিদ্যুতের মাসুল বৃদ্ধিরও প্রতিবাদ জানানো হয়। বিডিও অফিস চত্ত্বরে মাইকে বক্তব্য রাখেন কৃষকসভার নেতারা। সিঙ্গুর স্টেশন-সংলগ্ন এলাকায় মিছিলও করেন আন্দোলনকারীরা। সরকারি অনুদান ইচ্ছুক-অনিচ্ছুক নির্বিশেষে দেওয়ার দাবি ওঠে মিছিল থেকে। টাটাদের কারখানার জন্য স্বেচ্ছায় জমি দিয়ে চেক নিয়েছেন, এমন কয়েক জন কৃষক এ দিনের কর্মসূচিতে যোগ দেন। তাঁরা অবিলম্বে সিঙ্গুরে কারখানার দাবি জানান।

আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার ২
আগ্নেয়াস্ত্র ও জাল টাকা-সহ গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে শ্রীরামপুর স্টেশন-সংলগ্ন মুখার্জিপাড়া থেকে তাদের ধরা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম বিনয়কুমার সিংহ এবং ফিরোজ খান ওরফে ফুলবাবু। ফিরোজ থাকে রিষড়ার বাগখালে। পুলিশের কাছে সে দাগি দুষ্কৃতী হিসেবেই পরিচিত। বিনয় বিহারের মুঙ্গেরের বাসিন্দা। ধৃতদের কাছ থেকে একটি ছ’ঘড়া রিভলভার এবং ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। পাওয়া যায় ১০টি ১ হাজার টাকার জাল নোট। তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, বিনয় মুঙ্গের থেকে রিভলভার এনে বিক্রি করত।

নকল মদ উদ্ধার, ধৃত ৩
নকল দেশি মদ তৈরির কারখানায় হানা দিয়ে পুলিশ কারখানার মালিক দিবাকর সাহা-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার সাঁকরাইলের নাথপাড়ার ওই কারখানায় জেলা পুলিশ ও আবগারি দফতর যৌথ ভাবে হানা দেয়। কারখানা থেকে হাজার বোতল নকল মদ, ২০০ লিটার স্পিরিট উদ্ধার হয়েছে বলে জানান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা। দীর্ঘ দিন ধরে কারখানাটি চলছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।

শ্লীলতাহানি, ধৃত
বধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগে শুক্রবার ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়ায় এক যুবককে ধরে পুলিশ। কৃষ্ণকান্ত প্রসাদ নামে ওই যুবককে আটকে রেখে স্থানীয় ক্লাবের ছেলেরা পুলিশে খবর দেয়। গ্রেফতার হন কৃষ্ণকান্ত।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.