|
|
|
|
বিদেশ সফরে খরচ নিয়ে তরজা |
মোদীর ফাঁদে পা দিচ্ছেন না সনিয়া, জবাব দিচ্ছে সরকারই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
আর্থিক সংস্কারের লক্ষ্যে মনমোহন সিংহ যে পদক্ষেপ করছেন, গুজরাতে ভোট প্রচারে গিয়ে তার পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছেন সনিয়া গাঁধী। আর আজ কংগ্রেস সভানেত্রীর ভাবমূর্তি রক্ষায় এগিয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদীর অভিযোগ খারিজ করে তাঁর সচিবালয়ের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, ইউপিএ চেয়ারপার্সনের বিদেশ সফর বা চিকিৎসার জন্য সরকার কোনও টাকাই খরচ করেনি। সনিয়ার বিদেশ সফরে ১৮০০ কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে বলে যে প্রচার করা হচ্ছে তা ডাহা মিথ্যা।
মোদী ওই অভিযোগ করেছেন সনিয়া গুজরাতে ভোট প্রচারের যাওয়ার ঠিক আগে। কংগ্রেস বুঝতে পারছে, গত বিধানসভা ভোটের মতো এ বারও প্রচারকে ব্যক্তিগত আক্রমণের স্তরে নামিয়ে আনার কৌশল নিয়েছেন মোদী। যাতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়নের সমস্যাগুলি ধামাচাপা দেওয়া যায়। গত বার কৌশলে সাফল্য পেয়েছিছিলেন মোদী। কিন্তু, দ্বিতীয় বার বেলতলায় যেতে নারাজ কংগ্রেস। দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, “মোদীর প্ররোচনায় কংগ্রেস পা দিচ্ছে না। সনিয়া গুজরাতে গিয়ে শুধু রাজ্যের উন্নয়ন ও আইনশৃঙ্খলার বিষয়েই বলেছেন। মোদীর অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তাতে মোদী অকারণে বাড়তি গুরুত্ব পেয়ে যেতেন।”
কংগ্রেস নীরব থাকার কৌশল নেওয়ায়, মোদীর আক্রমণ মোকাবিলায় খোদ প্রধানমন্ত্রীর দফতর এগিয়ে এলেও তাদের বিবৃতিতেও কিন্তু মোদীর নাম করা হয়নি। শুধু এটাই স্পষ্ট ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, মোদী মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রচার চালাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের বক্তব্য, “ইউপিএ চেয়ারপার্সনের চিকিৎসা ও বিদেশ সফরে কেন্দ্র কোনও অর্থ খরচ করেনি। তাঁর নিরাপত্তার খরচ বহন করেছে স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ।”
প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের তরফে আরও জানানো হয়েছে, গত আট বছরে সনিয়া সরকারি সফরে বিদেশে গিয়েছেন মাত্র এক বার। বেলজিয়াম সরকারের নিমন্ত্রণে সেই সফরে খরচ হয়েছিল তিন লক্ষের কম। তাও বহন করেছিল ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর কালচারাল রিসার্চ।
এর পরেও অবশ্য সনিয়াকেই নিশানা করছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র প্রকাশ জাভড়েকর আজও বলেছেন, “সনিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় ভয় পেয়েছে কংগ্রেস। তাই প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়কে দিয়ে বিবৃতি দেওয়াতে হল।
রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের মতে, গোটা পর্বে সনিয়া-মনমোহন তথা কংগ্রেস ও সরকারের মধ্যে তালমিলের ছবিটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এর আগে বারবারই সরকার ও দলের সমন্বয়ের অভাব দেখা গিয়েছে। সঙ্কটের পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন পর একসুরে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে উভয় পক্ষকে। কংগ্রেস নেতারা এই তালমিলকে দলের ঐক্য ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ক্ষেত্রে অগ্রগতি বলেই মনে করছেন। |
|
|
|
|
|