দরজাটা খুলে গিয়েছে, বিনিয়োগের পথে আর কোনও বাধা রইল না রাহুল গাঁধীর উদ্যোগে জম্মু ও কাশ্মীরে গিয়ে এমন আশার কথাই শোনালেন রতন টাটা।
উপত্যকায় প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে, এই মন্তব্য করে টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধার সাধুবাদ দিলেন রাহুল গাঁধীকেও। কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের আলোচনা-পর্বের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রতন টাটা। তিনি বলেন, “উনি শুধু একটা জানলা খুলে দেননি, খুলে দিয়েছেন একটা দরজা।” |

সাক্ষাৎ। রাহুল গাঁধীর সঙ্গে রতন টাটা। শুক্রবার শ্রীনগরে। ছবি: পিটিআই |
এর আগে কাশ্মীর সফরে এসে রাহুল গাঁধী ছাত্রছাত্রীদের কাছে শুনেছিলেন তাদের রাজ্যে চাকরির সুযোগ নেই। তখন রাহুল প্রতিশ্রুতি দেন, শিল্পপতিদের নিয়ে আসবেন। সেই সূত্রেই টাটা-বিড়লাদের মতো বড় শিল্পপতিদের এখানে আসা।
মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গেও টাটা ও বিড়লা-সহ আজ অন্য শিল্পপতিদের বৈঠক হয়। যেখানে রতন টাটা জানান জম্মু ও কাশ্মীরে অর্থনৈতিক উন্নতির শরিক হতে চায় ভারতীয় শিল্পমহল। পাশাপাশি ওমরও বলেন, রাজ্যে বহুজাতিক সংস্থাগুলো এখন আসতেই পারে কারণ নিরাপত্তা পরিস্থিতির ক্রমে উন্নতি হচ্ছে।
রতন টাটা মনে করিয়ে দেন, “শিল্পমহলে আমাদের মতো মানুষকেই সাধারণ জায়গাগুলোর বাইরে দেখতে হবে। কাশ্মীরে কিছু করতে হবে, কাশ্মীরের মানুষের জন্য কিছু করতে হবে যাতে পরিবর্তন এবং উন্নতি হয়।”
এরই পাশাপাশি ফিরে এল ৭৪ বছরের প্রবীণ শিল্পপতির শৈশবের স্মৃতিও। দাদুর সঙ্গে কাশ্মীরে এসে নিগিন হ্রদে হাউসবোটে ছিলেনতিনি। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন সে দিনের অভিজ্ঞতাও। |