এক ট্রাম, অনেক পুজো।
পুজোর ভিড়ে নিশ্চিন্তে ঠাকুর দেখার সুযোগ করে দিতে পুজোর চার দিনে বিশেষ পরিষেবা দেবে কলকাতা ট্রাম কোম্পানি (সিটিসি)। ষষ্ঠী থেকে নবমী রাজাবাজার ও গড়িয়াহাট ডিপো থেকে সকালে একটি, বিকেলে ধর্মতলা থেকে দু’টি ট্রাম দর্শনার্থীদের কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরবে।
যে সব এলাকায় অনেক পুজো হয়, তার কাছের ট্রাম গুমটিতে দাঁড়াবে ট্রাম। যাত্রীরা বড় পুজোগুলি দেখে ফিরে এলে রওনা দেবে পরবর্তী আকর্ষণ-বিন্দুর দিকে। সকাল আটটায় রাজাবাজার থেকে পুজো-স্পেশাল ট্রামটি যাবে পার্ক সার্কাস। গড়িয়াহাট, খিদিরপুর ও শ্যামবাজার হয়ে ফিরবে রাজাবাজারে। সকাল আটটায় গড়িয়াহাট থেকে ছাড়া ট্রামটি পার্ক সার্কাস, খিদিরপুর, বাগবাজার, শ্যামবাজার হয়ে গড়িয়াহাটে ফিরবে। বিকেল সাড়ে তিনটে ও চারটেয় ধর্মতলা থেকে দু’টি ট্রাম গ্যালিফ স্ট্রিট, খিদিরপুর, পার্ক সার্কাস, গড়িয়াহাট, রাজাবাজার হয়ে ফিরবে। রাজাবাজার ও গড়িয়াহাট দু’জায়গা থেকে ছাড়বে দু’টি হেরিটেজ ট্রাম ‘বনলতা’ বা ‘বলাকা’র একটি। |
সিটিসি-র এক মুখপাত্র শুক্রবার বলেন, এই পরিষেবা পেতে মাথাপিছু ৫০ টাকার আগাম টিকিট কাটতে হবে। ওই সব ট্রামে বোতলবন্দি জল কেনা যাবে। থাকবেন এক জন যাত্রী-সহায়ক। শুধু শহরবাসীর জন্যই নয়, পুজোর চার দিনে বাগনান, আমতা, জাঙ্গিপাড়া, মুন্সিরহাট, ডোমজুড়, বারাসত, মধ্যমগ্রাম, মালঞ্চ, ঘটকপুকুর, বারুইপুরের মতো যে-সব জায়গায় সিটিসি-র বাস চলে, সেখানেও সকাল সাতটায় ছাড়বে কলকাতার পুজো দেখার বাস। দূরত্ব বুঝে মাথাপিছু ভাড়া হবে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। এর পাশাপাশি, ষষ্ঠী থেকে নবমী ১০০ টাকার ‘অল-ডে’ টিকিটে কলকাতার চৌহদ্দি (উল্টোডাঙার হাডকো থেকে গড়িয়া স্টেশন, হাওড়া স্টেশন থেকে বিদ্যাসাগর সেতু ও আনোয়ার শাহ রোড থেকে বেলগাছিয়া ডিপো)-র মধ্যে সিটিসি-র বাস বা ট্রামে ইচ্ছেমতো ঘোরা যাবে। |