নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা |
৩টি গ্রামে যোগাযোগের প্রধান অন্তরায় রায়ডাক। বর্ষায় একটি নৌকা ও খরা মুরসুমে একটি বাঁশের সাঁকোর ব্যবস্থা হলেই তিনটি গ্রামের ৫০০০ মানুষ খুশি। ওই ব্যবস্থাটুকুর জন্য গ্রামের বাসিন্দারা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ব্লক প্রশাসন সর্বত্র দফায় দফায় আবেদন জানিয়ছেন। কিন্ত সমাধান হয়নি। তাই গ্রামের জনা ৩০ যুবক ১০ দিন পরিশ্রম করে রায়ডাকের উপর স্বেচ্ছাশ্রমে বানিয়ে ফেললেন ৮০ মিটার লম্বা বাঁশের সাঁকো। সেতু বানিয়ে গ্রামের হিরো ওঁরা। এই কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন গ্রামের সমস্ত মানুষ। কেউ দিয়েছেন টাকা, কেউ সাঁকো তৈরির উপকরণ। ঘটনাটি আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের পারোকাটার হলদিরডাঙ্গা গ্রামের। শনিবার সেতু বানানোর কাজ শেষ হয়েছে। |
গ্রামের যুবক অজয় দাস, বিকাশ দাস, রাজেশ দাস ও পরিমল বিশ্বাসরা বলেন, “নদী পার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়তে হয় তিনটি গ্রামের মানুষদের। তিন বছর আগে পর্যন্ত বর্ষার দু’মাস একটি নৌকা দেওয়া হত। গত তিন বছর ধরে সেটাও বন্ধ। প্রতি বর্ষায় গ্রামের বাসিন্দারা ভাড়া করে নৌকা নিয়ে আসেন। অন্যান্য সময় নদী পার হতে গিয়ে খুব সমস্যায় পড়তে হয়। গ্রাম পঞ্চায়েত সমস্যা মেটাতে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো বানালাম।” বাসিন্দারা জানান, ২৫০টি বাঁশ, ১২ কেজি সুতলি, ৫ কেজি লোহার তাঁর লেগেছে। ওই ঘটনায় খুশি গ্রামের সকলেই। গ্রামের এক বাসিন্দা বিনয় দাস বলেন, “গ্রামের ওই যুবকদের কাজে আমরা খুব খুশি। ওঁরা আমাদের গ্রামের গর্ব।” পারোকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনোরঞ্জন বর্মন জানিয়েছেন, “গ্রামের বাসিন্দারা নিজেরাই একটি সাঁকো বানিয়েছেন। খুবই ভাল খবর। এই সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হব।” আলিপুরদুয়ার ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অর্চনা দাস বলেন “এই সমস্যার সমাধান গ্রাম পঞ্চায়েত সহজেই করতে পারে। কিন্ত এক্ষেত্রে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত কেন উদ্যোগী হল না সেটা খোঁজ নিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেব। ওই গ্রামের যুবকরা নিজেরা উদ্যগী হয়ে যে কাজ করেছে সেটাকে সাধুবাদ জানাই।” |