পৃষ্ঠপোষকতার ডাক গৌতম-মহেন্দ্রকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
জলপাইগুড়ি জেলা গ্রন্থাগারের উদ্যোগে প্রকাশিত হোক উত্তরবঙ্গের বিষয়ে একটি আর্ন্তজাতিক জার্নাল। জেলার তৃণমূল বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব এবং সিপিএম সাংসদ মহেন্দ্র রায় সেই জার্নালের পৃষ্ঠপোষকতা করুক। শনিবার জেলা গ্রন্থাগারের নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমনই প্রস্তাব দিয়েছেন সাহিত্যিক দেবেশ রায়। মঞ্চে বসে হাত তুলে প্রস্তাবে সন্মতি জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। শনিবার জলপাইগুড়ি জেলা গ্রন্থাগারের নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জলপাইগুড়ি শহরের ভূমিপুত্র সাহিত্যিক দেবেশ রায় বলেন, “মন্ত্রী গৌতম দেব আমার ছাত্রের ছাত্র এবং সংসদ মহেন্দ্র আমার ছাত্র। ওদের দুজনের কাছে গুরুদক্ষিণা চাই। উত্তরবঙ্গ বিষয়ে একটি আর্ন্তজাতিক জার্নাল প্রকাশ হোক জেলা গ্রন্থাগার থেকে। ওঁরা দুজন সেটাকে সাহায্য করুক। কোনও সরকারি প্রকল্পের থেকে বা প্রতিষ্ঠানের কাছে তাহলে টাকা চাওয়ার প্রয়োজনই হবে না। দেশ বিদেশের ইতিহাসবিদ, গবেষক, সাহত্যিকদের নিয়ে জার্নালের একটি জুরি বোর্ড আমিই তৈরি করে দেব।”
দেবেশ বাবুর বক্তৃতার শেষে হাত তুলে প্রস্তাবকে সমর্থন করেন মন্ত্রী গৌতম দেব। এদিন দেবেশ বাবু বক্তব্যের শুরুতেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর প্রশংসা করেন। দেবেশ বাবু বলেন, “শুক্রবার গৌতম দেব সড়ক পুর্নগঠনের দাবিতে ৬ ঘণ্টা অবস্থান করেছেন দেখলাম আর তার পরদিন শনিবার, জেলা গ্রন্থাগারের অনুষ্ঠানে এসেছেন। একজন মন্ত্রীর এমনই তৎপর এবং কর্মকুশল হওয়া প্রয়োজন।” শনিবার জলপাইগুড়ি জেলা গ্রন্থাগারের নতুন ভবনের উদ্বোধন হলেও, ভবনের সভাঘর সহ বেশ কিছু কাজ বাকি রয়েছে, সেই কাজে প্রয়োজনে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং তাঁর দফতর থেকে অর্থ সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন মন্ত্রী গৌতম দেব। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, “জেলা গ্রন্থাগার ভগ্নদশায় ছিল, এর নতুন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানাই। নতুন ভবনেও কিছু অসম্পূর্নতা রয়েছে। সেটা কাটিয়ে উঠতে অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি আমি দেখব।” জেলা গ্রন্থাগার সূত্রে জানানো হয়েছে, ১ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তিন তলা নতুন ভবন তৈরি করা হয়েছে। উদ্বোধন উপলক্ষে তৈরি গ্রন্থাগারের পরিচালন সমিতির তরফে প্রকাশ করা প্রতিবেদনে পাঠকদের চাহিদা মত গ্রন্থাগারে দৈনিক সংবাদপত্র না রাখতে পারায় রিডিং রুমে পাঠক সংখ্যা কমেছে বলে উল্লেখ্য করা হয়। গ্রন্থাগার পরিচালন সমিতির যুগ্ম সম্পাদক গৌতম গুহরায় বলেন, “২০০৮ সালে নতুন ভবন তৈরির শিলান্যাস হয়, জেলা পরিষদ সহ নানা দফতরের সহযোগিতাতে ভবনটি তৈরি হয়েছে।” |