তিস্তার জলে জিপ, ওসি-সহ নিখোঁজ ৩ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
নিয়ন্ত্রণ হারানো জিপ তিস্তা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হলেন এক পুলিশ ফাঁড়ির ওসি-সহ ৩ জন। শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ কালিম্পং থানার রম্ভিতে ওই দুর্ঘটনায় নিখোঁজেরা হলেন রিয়াং ফাঁড়ির ওসি শিবসাগর ছেত্রী, ন্যাশনাল হাইড্রো-ইলেকট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশনের (এনএইচপিসি) অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং গাড়ির চালক গৌতম ছেত্রী। সৌমেনবাবু শিলিগুড়ির সুভাষপল্লির বাসিন্দা। ওসি-র বাড়ি কালিম্পংয়ের বোম বস্তিতে। গাড়ির চালকও কালিম্পঙের বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার রাত থেকেই পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় তল্লাশি শুরু করে। রবিবার দিনভর তল্লাশির পরেও কারও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এমনকী, গাড়িটির খোঁজও মেলেনি। দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, “এলাকাটা দুর্গম। তল্লাশি চলছে। কী কারণে দুর্ঘটনা হল, দেখা হচ্ছে।”
কালিম্পং ট্রাফিক পুলিশ থেকে মাস চারেক আগে রিয়াং ফাঁড়ির ওসি হিসেবে দায়িত্ব নেন শিবসাগরবাবু। পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার তিনি কালিম্পং শহরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। সংস্থার কাজে কালিম্পং সদরে গিয়েছিলেন সৌমেনবাবু। রাতে তাঁরা
এক সঙ্গে রিয়াঙে ফিরছিলেন। শিবসাগরবাবুর ফাঁড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। সৌমেনবাবু ২৭ মাইলে এনএইচপিসি-র প্রকল্প এলাকায় যাবেন বলে ঠিক ছিল। রম্ভির গেইলখোলায় জিপটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তা থেকে স’দেড়েক ফুট নীচে তিস্তায় পড়ে যায়।
কালিম্পংয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সংমিত লেপচা বলেন, “তিস্তায় প্রচণ্ড জল রয়েছে। এ দিন রাত থেকে ফের নতুন করে বৃষ্টি নেমেছে। তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কিন্তু লাভ হয়নি। গাড়িটাও দেখা যাচ্ছে না।” পুলিশের অনুমান, তিস্তায় জল বেশি থাকায় গাড়িটি ভেসে কিছুটা দূরে গিয়ে আটকে যেতে পারে। সে জন্য দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকাতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
চেষ্টা করেও এ দিন ওসি-র পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। সৌমেনবাবুর দুই ভাইছোটন এবং সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তাঁরা জানান, বাড়িতে স্ত্রী এবং পাঁচ বছরের শিশুপুত্র রয়েছে সৌমেনবাবুর। ছোটনবাবু বলেন, “অনেক তল্লাশির পরেও দাদার কোনও খোঁজ পাওয়া গেল না। জানি না, কী হবে!” |