|
|
|
|
|
|
নাটক: লাভ অ্যান্ড ইনফর্মেশন
দেশ: ইংল্যান্ড
পরিচালক: জেম্স ম্যাকডোনাল্ড
সাল: ২০১২ হিরণ্য সান্যাল |
|
এক ঘণ্টা চল্লিশ মিনিটের নাটকে ৫৮টা দৃশ্য, একশোরও বেশি চরিত্র, অভিনয় করছেন ১৬ জন, ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে। ঝড়ের মতো দৃশ্য আসছে, যাচ্ছে। অনেক দৃশ্যের দৈর্ঘ্য জাস্ট ৩০ সেকেন্ড। কোনওটার এক মিনিট। সবচেয়ে লম্বা দৃশ্যটা পাঁচ মিনিট। সবচেয়ে ছোটটায় মাত্র একটা সংলাপ। পুরো নাটকটাই হচ্ছে একটা বিরাট সাদা চৌকো জায়গার মধ্যে (আলোয় কখনও রং বদলাচ্ছে), যা বাথরুমের টালির মতো ছোট ছোট চৌকো দিয়ে ঘেরা। প্রতি দৃশ্যের পর স্টেজ কুচকুচে অন্ধকার, শোনা গেল কোনও সিরিয়ালের টাইট্ল মিউজিক বা বাচ্চার হাসি, আলো জ্বলতেই পরের দৃশ্য। দৃশ্যগুলোর মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। প্রতিটি দৃশ্যে আলাদা চরিত্র, আলাদা পরিস্থিতি। এই ‘আলাদা’-দের মধ্যে কি তা হলে কোনও যোগসূত্র আছে? কিচ্ছু না। একটুও না। যেন কেউ চোখের সামনে চ্যানেল চেঞ্জ করে চলেছে, যেমন খুশি।
|
|
বা ঘুম আসছে না বলে ফেসবুকের ওয়াল থেকে ওয়ালে লাফাচ্ছে। এই যুগ ইনফর্মেশনের যুগ। কম্পিউটারে কাজ করছি, একই সঙ্গে এস এম এস চেক করে নিলাম, কানে তার গোঁজা আছে গান শুনছি, আর মাঝে মাঝে রসালো যে কেচ্ছা পাশের টেবিলে চলছে তার দিকে তেরছা কমেন্ট ছুড়ছি। কেবলই যে দৃশ্যের জন্ম হয়, যে যুক্তির, আবেগের জন্ম হয়, সেগুলো অতি দ্রুত খুঁটে খাওয়াকেই মস্তিষ্কের, চোখের, কানের অভ্যেসে পরিণত করেছি। সেই আঙ্গিকটা উপড়ে এনে নাটকে ফেলে চমকে দিলেন নাট্যকার ক্যারিল চার্চিল।
আবার, অন্য ভাবেও দেখা যায়: পৃথিবীর সবই তো আদতে ইনফর্মেশন। ভালবাসাও। এই নাটকের এক দৃশ্যে জিম-এ স্থির সাইকেলে প্যাডেল করে চলা একটি লোক যখন বলে, ভার্চুয়াল প্রেমিকা তাকে সত্যিকারের প্রেম দেয়, বন্ধু প্রতিবাদ করে বলে, ‘আরে ও তো জাস্ট একটা ইনফর্মেশন!’ যার উত্তরে সাইকেল-বাজ হেসে ওঠে, ‘আর তুইও কি তা ছাড়া কিছু?’ মানুষ কী, কিছু জেনেটিক তথ্যের বান্ডিল ছাড়া? আকর্ষণ, বা ঘৃণা, বা একটা নাটক ‘বুঝে ফেলা’ কী, মস্তিষ্কের নিউরোনে জন্মানো তথ্য-সমাহার ছাড়া?
প্রথম দৃশ্যে এক মহিলাকে এক পুরুষ অনুনয়-বিনয় করছে একটা গোপন কথা বলতে। মেয়েটি কিছুতেই বলবে না। শেষে সে পুরুষটির কানে কানে কথাটি বলে। দর্শকরা কিচ্ছু শুনতে পায় না। পুরুষটি আঁতকে ওঠে, ‘অ্যাঁ, এ বার কী হবে?’ সঙ্গে সঙ্গে অন্ধকার। পরের দৃশ্য। তা হলে ওই দৃশ্যে মেয়েটি কী বলল? কে জানে। যেন রাস্তা থেকে হঠাৎ একটা চলন্ত বাসের ঘটনার কিছুটা দেখে ফেললাম। এই ভাবে দৃশ্যের মিছিল চলে। একটি পরিবার সবাই মিলে একটা বিয়ের ভিডিয়ো দ্যাখে, এবং ওই ভিডিয়োর বাইরে বিয়ের আর কোনও ঘটনাকেই মনে করতে পারে না। এক যুবকের হঠাৎ মনে পড়ে ১৯৯৮ সালের একটা দুপুরে সে ঠিক কী কী খেয়েছিল। এক রেস্তোরাঁর ওয়েট্রেস টেবিলকে কোন ভাষায় কী বলা হয় তাই নিয়ে বক্তৃতা দেয়। তার ‘ট্রাপেজি স্টোল মেসা মেজা তারাং টাবুলকা’ শুনে এক বৃদ্ধা বলেন, ‘নাঃ, আমার কিন্তু মনে হয় এটা টেবিল-ই।’একটি ছোট ছেলে ব্যথা কাকে বলে কিছুতেই বুঝতে পারে না। পায়ে ব্যথা মানে কী? ‘তার মানে মনখারাপ হচ্ছে, কিন্তু সেটা পায়ে?’ কিছু দৃশ্য মজার। কিছু দুঃখের। অধিকাংশই এমনি-এমনি। জীবনের মতোই, তা স্রেফ ঘটে, তার মানেবইও নেই, জন্মেছে বলে দাগ রেখে যাওয়ার দায়ও নেই। হয়তো গল্পগুলো আমাদের খুঁজে নিতে হবে। বা, গল্প খুঁজে নেওয়ার দায় থেকে নিজেদের মুক্তি দিতে হবে। বা, একই ঘটনায় কেউ বোর হবে, কেউ খুঁজে পাবে আশ্চর্য কাহিনি-বীজ। যেমন এক দৃশ্যে এক জন বলে সুনামির ফুটেজ দেখে সে কেঁপে গেছে, আর এক জন কিছুতেই বুঝতে পারে না এতে এত আলোড়িত হওয়ার কী আছে। নাটক করতে গেলে একটা জমজমাট গল্প বলতে হবে, বা অনেকগুলো গল্প বললে তাদের মধ্যে সংলগ্নতা থাকতে হবে, বা সংলগ্নতাও যদি নিতান্ত না-থাকে তা হলে অন্তত এক একটা দৃশ্যকে নাটকীয় হতে হবে সব ধারণা, সব দায় (একই সঙ্গে, চলতি সব ফর্মকেই) হাওয়ায় উড়িয়ে দেন চার্চিল। পরিচালক অসম্ভব দক্ষতায় এই সুপার-কোলাজকে প্রতিষ্ঠা করেন, ম্যাজিকের মতো গজিয়ে ওঠে বিছানা কাফে প্লেনের সিট, অভিনেতাদের ভুরু বা আঙুলের নড়াচড়ায় দিনলিপি ফোটে। আর অ্যাত্ত ঘনঘটা নিয়ে, একটি কিচ্ছু-না যেন হাঁ করে থাকে। একটি দৃশ্যে মহিলা পুরুষকে বলেন, তিনি ওঁর দিদি নন, আসলে মা। ব্যস, দৃশ্যটা আর টানা হয় না। অথচ এই নিয়েই একটা দু’ঘণ্টার নাটক হতে পারত। চার্চিল বোধহয় বলেন, এগুলো নেহাত তথ্য, বা ভালবাসা, দুই-ই শিমুল তুলো, এসেছে, চলে যাবে, ফুঃ! |
|
২ জুলাই ২০৫০ |
অবশেষে সব অনিশ্চয়তাকে নস্যাৎ করে গতকাল রাষ্ট্রপতি অটো-কে জাতীয় পাখি ঘোষণা করলেন। প্রসঙ্গত, ৩০ বছর আগেই মহিম সরকার-এর তুমুল আবিষ্কারের পর, অটো যখন প্রতি দু’কিলোমিটারে সতেরো মিটার ওড়ার ক্ষমতা অর্জন করল (গোড়ায় দিকটায় হামেশাই চলন্ত বাসের মাথায় উড়ে বসতে গিয়ে টিপ ফসকে পথচারীর মাথায়), এই দাবি তুলেছিল বিভিন্ন অটো ইউনিয়ন। ২০২৮ সালে যখন পশ্চিমবঙ্গের পরিবহণ মন্ত্রী অ.ড্রা.অ্যা-র সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর ঘোষণা করেন, অটো-চালকরা যে কোনও প্যাসেঞ্জারকে ইচ্ছে করলেই ঠাটিয়ে থাপ্পড় কষাতে পারবেন, মুখের গঠন আপত্তিকর মনে হলে ঝুঁটি ধরে মাঝপথে নামিয়ে দিতে পারবেন, কেউ গানের ভলিউম কমাতে বললে কানে ফুটন্ত ডিজেল ঢেলে দিতে পারবেন, কেউ খুচরো চাইলে বাঁ হাতের তিনটে আঙুল পেঁচিয়ে ছিঁড়ে নিতে পারবেন এবং প্রতি ট্রিপে প্রতি অটো ৩৫ জন যাত্রী নিতে পারবে (২৮ জন উঠবেন, সাত জন অটোর পেছনে দৌড়বেন, রোটেশন পদ্ধতিতে দৌড়বাজরা ফের সওয়ারি হবেন), তখন থেকে অটোকে জাতীয় বিহঙ্গ করার দাবি জোরালো হয়। গত বছর অটো-চালকরা ময়ূরকে ‘শালা ফাঁকিবাজ চিড়িয়া’ অভিহিত করেন, সে বেশি উঁচুতে ওড়ে না, রিপাবলিক ডে প্যারেডে আসে না, বর্ষায় তার নাচ আসলে ব্যালান্স হারানো ল্যাগব্যাগানি। পক্ষিবিদরা এই বিবৃতি সমর্থন করেন। পার্লামেন্টে তিরিশ অধিবেশন তর্কাতর্কির পর যখন প্রধানমন্ত্রী মার্সিডিসের বদলে সোনার অটো চড়তে শুরু করেন |
এর পর ছিয়াশির পাতায় |
|
|
|
মশার হাত থেকে বাঁচার
দশটা নিশ্চিত উপায় উপল সেনগুপ্ত |
|
|
শত্রুর গা থেকে এক কাপ রক্ত টেনে আপনার ঘরের কোণে রেখে দিন। মশা সেখানেই যাবে। |
দেওয়ালে অদৃশ্য আঠা
লাগান। মশা চিপকে যাবে। |
মশার ভাষা শিখে, পোস্টার টাঙান: ধরতে
পারলে কী ভয়াবহ টর্চার অপেক্ষা করছে। |
|
|
|
নিজের অনেক ডামি বানান, মশা
বুঝতেই পারবে না কোনটা আপনি।
|
পোকাখেকো গাছ টবে পুঁতুন,
পুরো পল্টন সাবাড় করে দেবে। |
সাংঘাতিক অসুখ বাধিয়ে আই.সি.উ-তে
চলে যান, মশা ওখানে ঢোকে না।
|
পোষা তোতাকে মশার নামে জঘন্য খিস্তি
শেখান, অপমানে আর আসবে না। |
|
|
মশা ধরে কালো হাত ভেঙে দিন
গুঁড়িয়ে
দিন, ‘হাত’ থেকে তো রক্ষা পেলেন। |
মশাদের চরিত্র করে তৈরি সিরিয়াল টিভি-তে দেখান,
হাঁ করে সারা দিন ওটাই দেখবে, কামড়ানো মাথায় উঠবে। |
|
|
হ্যামলিনের বাঁশিওলাকে খবর দিন, মশাগুলোকে নিয়ে গঙ্গায় ফেলবে। |
|
|
|
এই মুহূর্তে যে সিনেমাটি দেখে গোটা ভারতের লাল পড়ছে, যেটি অস্কারেও যাচ্ছে ভারতের হয়ে ‘সেরা বিদেশি ছবি’ বিভাগে লড়তে, সেই ‘বরফি!’ ছবির বহু দৃশ্যই বিশ্বখ্যাত কিছু ফিল্মের দৃশ্য থেকে স্রেফ টোকা। পরিচালক অনুরাগ বসু অভিযোগ শুনে বলেছেন, এগুলো ওই মহান ছবিগুলোর প্রতি ওঁর ‘শ্রদ্ধাজ্ঞাপন’। এ এক দারুণ সময়, যখন চুরিবিদ্যা মহাবিদ্যা, যদি বা পড়ে ধরা। আগে চুরির ইংরিজি অন্যান্য শব্দ ছিল, এখন ‘হোমেজ’ বা ‘ট্রিবিউট’। আমি রবীন্দ্রনাথের একটি পদ্য ঝেড়ে নিজের নামে চালিয়ে দিলাম, ধরলে বললাম, ওঁর প্রতি ট্রিবিউট। বাংলা ছবি যেমন এখন অহরহ দক্ষিণ ভারতীয় ছবির প্রতি ট্রিবিউট দিতে মুখিয়ে আছে। ডাকাতের মা’র বড় গলা। সে মা হিট হলে তো কথাই নেই। তাই বাংলা বাজারে বুক বাজিয়ে বলা হয়, যদি ছবি হাউসফুল হয়, তা হলে টুকলি করেছি বেএএশ করেছি। তথাকথিত আঁতেল পরিচালকরাও ঘটরঘটর মাথা নড়তে থাকেন (কারণ প্রোডিউসার এমন ক্ষমতাবান, যথাযথ না নাড়লে ওই মাথা খাটানো এ ইন্ডাস্ট্রিতে পর দিন সকাল থেকে বন্ধ)। আর, গোটা দেশ ও সমাজের আদর্শগত দেউলিয়াপনা ফিল্ম-ম্যাপে ছড়াবেই না বা কেন? সে দিন বেশি দূরে নেই, যখন কাগজে রিপোর্ট বেরবে: বারাসতে গত রাত্রে দুষ্কৃতীরা পর পর তিনটি বাড়িতে ট্রিবিউট দিয়েছে! |
|
ফরাসি সাংবাদিকের লেখা বইতে জানা গেল, লিবিয়া-র নিহত স্বৈরাচারী মুয়াম্মর গদ্দাফি কিশোরীদের স্কুল থেকে কিডন্যাপ করাতেন ও যৌন ক্রীতদাসী রাখতেন। ১৫ বছরের একটি মেয়েকে অপহরণ করে ছোট্ট পোশাক পরিয়ে গদ্দাফির ঘরে পাঠানো হলে, সে আঁতকে দ্যাখে, উনি উলঙ্গ। ৬২ বছরের নেতাটি বলেন, ‘ভয় কী? আমি তোমার বাবা। কিন্তু আমি একই সঙ্গে তোমার ভাই, আবার তোমার প্রেমিক। আমি তোমার সব।’ অনেকটা ভগবানের ডায়লগের মতো শোনাচ্ছে না? ক্ষমতার স্বর শেষ অবধি কোনও না কোনও স্যান্স্ক্রিট শ্লোকের সঙ্গে মিলে যাবেই। এখানে যৌনতাটা আদৌ বড় কথা নয়, বড় কথা: নিয়ন্ত্রণ। একটা মানুষের সম্পূর্ণ সত্তাটাকে মুঠোয় চিপে রাখা। তাকে আমি যে ভাবে খুশি ভোগ করব, বেধড়ক পেটাব, আবার, এই অত্যাচারের অধ্যায় এক সর্বব্যাপী প্রেমের কম্বলে ঢেকে রাখব। যেন, এই কাণ্ডের এক গভীর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য আছে, প্রভু-কাম-প্রিয়’র কাছে নিবেদনের ভেতর-গল্প আছে, যেন ধর্ষণ এক প্রার্থনা-মঞ্জুর। প্রজাটির যৌনাঙ্গ নয়, গদ্দাফির আসলি মহড়া তার মগজের সঙ্গে। তা নইলে, প্রেমল সংলাপের দরকার পড়ত না, চাবুকেই কাজ চলত। |
|
|
সময় চলিয়া যায়, প্রথম প্রেমের প্রায়
যে জন বুঝে না তার পিছে মারো কিক
হাসিছে আলসেগ্যাঁড়া
ফিক! ফিক!! ফিক!!! |
|
|
|
গোঁফখেজুরে হল পিপুফিশু-র দাদা। সে খেজুর গাছের তলায় হাঁ করে শুয়ে থাকে, কখন খেজুর পড়বে। গোঁফে পড়লেও হবে না, কাউকে এসে মুখে ঢুকিয়ে দিতে হবে। গোঁফ-পপকর্নে মানুষের কী হবে? যারা পপকর্ন খাবে, কিন্তু হাত দিয়ে তোলো রে মুখে টিপ করে ছোড়ো রে ভাবতে মুচ্ছো যায়? ঢ্যানট্যাঁর্যাঁঅ্যাঁএল পপিনেটর! বিদেশি যন্ত্রটিতে: ভর্তি পপকর্ন আর একটা মাইক। যেই না বলবেন ‘পপ!’, মাইক-টা ওই শব্দ ক্যাচ করে, ঠাঁই করে একটি পপকর্ন হাঁ-র দিকে অব্যর্থ ছুড়বে। এই ভাবে সোফায় শুয়ে সিনেমা দেখতে দেখতে আপনি ক্রমাগত পপকর্ন খেয়ে চলবেন হাত দু’টিকে এতটুকু খাটান না দিয়ে, আর প্রতিবেশী ভাববে কচি ছেলেকে নিষ্ঠুর বাপ হেভি বকছে, ‘পপ পপ পপ পপ পপ!’
(আলস্যকে কাজের চেয়ে বেশি সম্মান দিতে শিখলে) নার্ভের অসুখ, ক্লান্তি এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের বদলে পৃথিবীতে আসবে সুখ।...যেহেতু মানুষ ক্লান্ত থাকবে না, অবসর সময়ে সে মোটেই চাইবে না পানসে আর বোকা-বোকা শিল্প, যেখানে তাকে ব্রেন খাটাতে হয় না।...মানুষের নিষ্ঠুরতা, অবিশ্বাস কমবে, দয়া বাড়বে। যুদ্ধের প্রবণতাও কমবে, আর যুদ্ধ মানেই তো সকলের দীর্ঘ ও কঠোর শ্রম সেটাও লোকে আর করতে চাইবে না।
বার্ট্রান্ড রাসেল-এর ‘ইন প্রেজ অফ আইড্লনেস’ প্রবন্ধ থেকে |
|
|
|
প্রঃ গর্গরেফ, সভ্যতায় কুঁড়ের অবদান কী?
গর্গরেফ: চাকা আবিষ্কার! সার্থক কুঁড়েই তো বলতে পারে, ‘আআবাআআর অতটা হাঁটব!?’
প্রঃ কুঁড়ে-কৃত সর্বনাশ?
গর্গরেফ: জনসংখ্যা বৃদ্ধি! কুঁড়ে ককিয়ে বলে, ‘আবাআর কন্ডোম পরব?’ প্রঃ দাঁড়ান দাঁড়ান, বরং কুঁড়ে তো বলবে, আবাআর সেক্স করব?
গর্গরেফ: উঁহু, ভুল। সার্থক কুঁড়ে উত্তেজনা জাগলে বলবে, ‘আআবাআআর কন্ট্রোল করব?’
|
|
|
আপনিও লিখে পাঠাতে চান ভবিষ্যতের একটা রিপোর্ট? ঠিকানা:
টাইম মেশিন, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|