|
|
|
|
শিক্ষক সম্মেলনে হামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদ |
নিজস্ব সংবাদাদাতা • তমলুক |
তৃণমূল সাংসদের উদ্বোধন করা একটি শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সম্মেলনে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্র পরিষদেরই (টিএমসিপি) নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। তমলুক কলেজে শুক্রবার রাতের এই ঘটনায় তিন শিক্ষক-সহ জখম হন সাত জন। তাঁদের মধ্যে ছ’জনকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
বাম-বিরোধী বলে পরিচিত ‘মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি’র রাজ্য সম্মেলন শুক্রবার তমলুক কলেজে শুরু হয়েছে। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ওই কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতিও। শুভেন্দুবাবু বলেন, “শুক্রবার রাতেই ঘটনার কথা শুনেছি। এটা মদ্যপদের কাজ। এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। পুলিশকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” সমিতির তরফে টিএমসিপি-র তমলুক কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়। পুলিশ অবশ্য শনিবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
ঘটনাস্থলে গিয়ে এ দিন দেখা যায়, প্রবেশ পথের তোরণ, শহিদবেদী-সহ বেশ কিছু চেয়ার ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ‘মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি’ আয়োজিত দু’টি চিত্র প্রদর্শনীও তছনছ করা হয়েছে। ওই ঘটনায় জখম শিক্ষক সমিতির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক তপন জানার অভিযোগ, “আমরা কয়েকজন শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবক সম্মেলনস্থলের কাছে বসেছিলাম। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ টিএমসিপি-র কলেজ ইউনিট সভাপতি সৌমেন চক্রবর্তী ও কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস সাঁতরার নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন মদ্যপ অবস্থায় লাঠি নিয়ে এক জনের খোঁজ করতে আসে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওরা আমাদের মারধর করে ভাঙচুর চালায়।” প্রতিবাদে শিক্ষক সমিতি শনিবার তমলুক শহরে মিছিল করে। সমিতির রাজ্য সম্পাদক শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শুভেন্দুবাবু হামলায় অভিযুক্ত টিএমসিপি সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকেও ঘটনার কথা জানাব।”
অভিযুক্ত সৌমেন চক্রবর্তীর পাল্টা অভিযোগ, “মেস থেকে আমাদের পাঁচ সমর্থককে শুক্রবার রাতে ডিএসও কর্মীরা তুলে নিয়ে যায়। ওই ডিএসও কর্মীরা সম্মেলনে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করছিলেন বলে খবর পেয়ে মেসের ছাত্ররা সেখানে যায়। উত্তেজনা তৈরি হওয়ায় আমি গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিই। মারধরের অভিযোগ মিথ্যা।”
স্থানীয় সূত্রের খবর, সামনেই তমলুক কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন। ডিএসও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে মনস্থ করায় শুক্রবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে টিএমসিপি-র সঙ্গে তাদের গোলমাল বাধে। ডিএসও-র জেলা সম্পাদক মানস প্রধান দাবি করেন, “কলেজ নির্বাচন নিয়ে টিএমসিপি ক্রমাগত ঝামেলা করে যাচ্ছে। নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।”
|
|
|
|
|
|