|
|
|
|
|
এক ঝলকে... |
পৃথিবী
২৩ সেপ্টেম্বর - ২৯ সেপ্টেম্বর |
|
দামাস্কাস লন্ডন ভ্যাটিকান প্যারিস ওয়াশিংটন ডি সি |
|
মায়া নাসের ইরানের তরুণ টিভি-সাংবাদিক। সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে বিপর্যস্ত বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে ঘুরে রিপোর্টিং করছিলেন। বন্দুকের গুলি সোজা এসে বিঁধল বুকে। মুহূর্তে মৃত্যু। এমন তো কতই হচ্ছে, তবে কি না এই সংবেদনশীল ইরানি ক’দিন আগেই লিখেছিলেন, সিরিয়ার অবস্থা চোখে দেখা যায় না। কেবল আতঙ্কে শিহরিত হতে হয়, কখন নিজের মৃত্যুও ধেয়ে আসবে। প্রসঙ্গত, সরকারি হানায় মনুষ্যনিধনের হিসেবে গত সপ্তাহটি রেকর্ড তৈরি করেছে সিরিয়ায়। এক দিনে তিনশোর বেশি মানুষের মৃত্যুর খবরও এসেছে ইতিমধ্যে।
• মিকেলেঞ্জেলোর বিখ্যাত শিল্পকীর্তি ধ্বংস করে দিচ্ছে রোমের সিস্টিন চ্যাপেলের অনিয়ন্ত্রিত দর্শকরা, যাঁদের মধ্যে নেশাগ্রস্তরাও আছেন। সুতরাং ভ্যাটিকান থেকে চাপ আসছে, দর্শকসংখ্যা যে ভাবে হোক কমাতে হবে। বছরে প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ মানুষ আসেন এই শিল্প দেখতে।
• ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া অয়্যান্দ ঘোষণা করলেন, ২০১৩ সালে যে বাজেট পেশ করবেন তিনি, তা হবে গত ত্রিশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কঠোর বাজেট। আগে থেকেই মানুষের মন তৈরি করে রাখতে চাইলেন তিনি এই ঘোষণার মাধ্যমে।
• ভোটের কথা মাথায় রেখে মার্কিন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মিট রমনি সমানে চিনকে গাল দেন। এ দিকে ফাঁস: চিনা কোম্পানিতে বড় বড় শেয়ার কিনে রেখেছেন তিনি।
|
• মিশরীয়রা যখন বারাক ওবামার মুখে বাক্স্বাধীনতার বাণী শুনছিল, নিশ্চয়ই তারা বিস্তর অবাক হয়েছিল! মার্কিন বাহিনীর কাঁদানে গ্যাসের জ্বলুনি তাদের চোখ থেকে এখনও তো পুরোটা যায়নি!’ উইকিলিকস্-খ্যাত জুলিয়ান আসাঞ্জের বিদ্রূপ। ওবামার ওপর হাড়ে চটা তিনি। বলেছেন, ওবামার আগে আর কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট মানুষের বাক্-স্বাধীনতায় এতখানি হস্তক্ষেপ করেননি। |
|
তেল আভিভ
|
|
মাটিতে দাগ কেটে বেড়াল বলেছিল, ‘এই ধরো গেছোদাদা।’ আর একটা দাগ কেটে ‘এই গেছোবৌদি রান্না করছে।’ ঠিক তেমনই সুর শোনা গেল ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহুর গলায়। বক্তৃতার ফাঁকে হঠাৎ একটা বড় গোল-আঁকা সাদা কাগজ সামনে তুলে ধরে তিনি সমবেত ভদ্রমণ্ডলীকে বললেন, ‘এই ধরুন বোমা।’ কিয়ৎকাল নীরবতা। তার পর, ‘এই ধরুন বোমার ফিউজ।’ আবার নীরবতা। তার পর ‘এই বোমার ইউরেনিয়াম।’ কোথায় থামলে তবে বোমা ফাটার ঘটনাকে আটকানো যাবে? ‘এইখানে’: বলে একটা মোটকা লাল দাগ! ইরানের পরমাণু বোমা কার্যক্রম আটকানোর চেষ্টায় খামোখা দেরি হয়ে যাচ্ছে, এই ব্যাপারটা বোঝাতেই তাঁর এই অভূতপূর্ব প্রয়াস! সমবেত ভদ্রমণ্ডলীর একাংশ বিষম বিরক্ত, একাংশ পরম আপ্লুত। |
জেনিভা |
এলেন। বক্তৃতা দিলেন। জয় করলেন। মিশরের নতুন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুর্সি সমানেই প্রমাণ করে চলেছেন যে তাঁর সম্পর্কে একটু বেশিই কমিয়ে ভেবে ফেলেছিল কূটনীতির দুনিয়া, মিশরের মতো গুরুত্বপূর্ণ দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট পটু তিনি। প্রথম বার রাষ্ট্রপুঞ্জের বক্তৃতা দিতে উঠেই গভীর প্রত্যয়ের সঙ্গে বললেন, আরব দুনিয়া একনায়কতন্ত্রের শেষ দেখে নিয়েছে। এবং আরব দুনিয়া তাদেরও মেনে নেবে না, যারা পরমাণু অস্ত্র নিরোধ চুক্তিতে সই না করে পরমাণু অস্ত্র বানিয়েছে (অর্থাৎ ইজরায়েল)। বললেন, সিরিয়া হল আমাদের সময়কার সর্ববৃহৎ ট্র্যাজেডি। এই বজ্রগম্ভীর মন্তব্য শুনতে পেলেন কি, সিরিয়া-পতি আসাদ-আল বাশার? |
ইসলামাবাদ |
মুসলমানদের বিরুদ্ধে ধর্ম-যুদ্ধ আরম্ভ করেছেন বারাক ওবামা।’ বললেন পাকিস্তানের শীর্ষ সন্ত্রাসবাদী হাফিজ সাইদ, লস্কর-ই-তইবার নেতা। তাঁর মতে, যে ‘ইনোসেন্স অব ইসলাম’ সিনেমাটি নিয়ে এখন গোটা দুনিয়া উত্তাল, ওবামার উচিত ছিল অনেক আগেই সেই সিনেমাটিকে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করা। ওবামা তা করেননি। ফলে গভীর সংকট তৈরি হয়েছে, এবং খুব অল্পে এই সমস্যার সমাধান হবে না। বিতর্ক আরম্ভ হতেই ওবামা-প্রশাসন এই সিনেমাটিকে ‘অত্যন্ত বিরক্তিকর’ বলে, কিন্তু তাকে নিষিদ্ধ করতে রাজি হয়নি, ইন্টারনেট থেকেও সরায়নি। গোটা পশ্চিমি দুনিয়া একমত, এটা মতামত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রশ্ন, ইসলামি চাপের মুখে নতিস্বীকার করার প্রশ্ন নেই। |
লন্ডন |
টোনি ব্লেয়ার কিন্তু পারতেন ইরাক-যুদ্ধ বন্ধ করতে। সাক্ষাৎকারে বললেন কোফি আন্নান। ইরাক-যুদ্ধের সময় আন্নান রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব ছিলেন। তাঁর মতে, ২০০৩ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জে আমেরিকা, ব্রিটেন আর স্পেন সাদ্দাম হুসেনের ইরাককে আক্রমণ করার জন্য যে প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল, তা যখন পাশ হল না, তখনই ব্লেয়ার বুশকে ডেকে বলতে পারতেন, ‘জর্জ, আমি আর এর বেশি এগোবো না। এর পর ইরাকের বিরুদ্ধে কিছু করতে হলে তোমায় একাই করতে হবে।’
|
শেষ পাত |
ভাল কথা বলছি, ওবামাকে ভোট দেবেন, কেমন?’ অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের বললেন পপ-কুইন ম্যাডোনা। কেন ওবামাকে ফেরত চান তিনি? ‘ওবামা সমকামীদের অধিকারের জন্য লড়াই করছেন, তাঁকে তো সমর্থন করবই’, জানিয়েছেন ম্যাডোনা। হোয়াইট হাউসে যদি এই ‘কালো মুসলমান’টি (ভুল তথ্য, অবশ্যই!) ফেরত আসেন, সেই আনন্দে নগ্ন হবেন তিনি, কথা দিয়েছেন বহু কোটি হৃদয়ের সাম্রাজ্ঞী। কথার কথা নিশ্চয়ই নয়, এই অনুষ্ঠানেই তো শুধু অন্তর্বাস পরিহিত অবস্থায় দেখা দিয়েছেন তিনি। তাঁর পিঠে বড় বড় হরফে ওবামার নাম লেখা দেখিয়েছেন। পুনম পাণ্ডের সঙ্গে দেখা হয়েছিল নাকি ম্যাডোনার? |
|
|
|
|
|