লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে ভোট দেওয়া প্রায় ২৫ হাজার মানুষ ধর্মতলায় সিপিএমের সমাবেশে যোগ দেবেন বলে দাবি করলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সম্পাদক গৌতম দেব। সোমবার রানি রাসমণি রোডে জেলা সিপিএমের জমায়েত। শনিবার গৌতমবাবু বলেন, “অতীতে বামেদের ভোট দিতেন এমন বহু মানুষ আমাদের কাজ-কর্ম, ভুল-ত্রুটিতে ক্ষুব্ধ হয়ে পর পর দুটি ভোটে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিলেন। গত ছ’মাস নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে তাঁদের একাংশকে ফিরিয়ে আনা গিয়েছে। সমাবেশে তাঁরা থাকবেন।” গৌতমবাবুর দাবি, এঁরা আসবেন মূলত হাড়োয়া, সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ ও ব্যারাকপুর থেকে।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাম পরিচালিত জেলা পরিষদের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া, জেলায় নতুন শিল্প ও রেল প্রকল্পে গতি আনা, বাম কর্মী-সমর্থকদের উপরে ‘সন্ত্রাস’ বন্ধ করা ছাড়াও মহিলা-নির্যাতন ও আইন-শৃঙ্খলার অবনতির বিরুদ্ধে সিপিএমের এই সমাবেশ। বামফ্রন্টের প্রতিনিধি দল শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে স্মারকলিপিও দেবে। গৌতমবাবু বলেন, “এরপরেও সন্ত্রাস বন্ধ না হলে গণ-প্রতিরোধ করা হবে। এই সমাবেশ তারই প্রস্তুতি।”
সভায় বক্তার তালিকায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বিমান বসু ছাড়াও রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়া অমিতাভ নন্দীর নাম রয়েছে। রয়েছেন শরিক দলের শীর্ষ নেতারাও। কিন্তু দুই পলিটব্যুরোর সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র বা নিরুপম সেনের নাম নেই। তাঁরা কি সভায় উপস্থিত থাকবেন? জবাবে গৌতমবাবু বলেন, “কলকাতায় থাকলে ওঁরা আসতে পারেন। জ্যোতি বসুকে সামনে রেখে আমরা এই সমাবেশের ডাক দিয়েছি। বিতর্ক বাধিয়ে লাভ নেই!” |