|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ২... |
|
হারানো সময় আর মূল্যবোধ |
‘আমরা যখন পড়াতে শুরু করেছিলাম ... আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা, আমাদের অধ্যাপক এবং অধ্যাপনা পদ্ধতি, সব কিছুরই বিরুদ্ধে একটা অভিমান নিয়ে শুরু করেছিলাম আমরা। অভিমানটা ছিল এই যে, সাহিত্যপড়াটা হয়ে উঠত জীবনবর্জিত সাহিত্যরসবর্জিত শুকনো পাণ্ডিত্যের নৈর্ব্যক্তিক প্রকাশ মাত্র। আমরা কেউ কেউ যৌবনের অহংকারে ভেবেছিলাম যে এই অবস্থাটাকে পালটাব, অন্যরকম ভাবে গড়ে তুলব ক্লাস।...’ শঙ্খ ঘোষের চিঠি শর্মিলা বসুদত্তকে। তাঁকে লেখা এমনই আর এক গুচ্ছ চিঠি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তের। নিদারুণ অসুস্থতার মধ্যেও অকালপ্রয়াত শর্মিলা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তাঁর এই দুই প্রিয় শিক্ষকের চিন্তা-ভাবনার সঙ্গে সংলগ্ন থাকতে চেয়েছিলেন। দুই কবির সঙ্গে তাঁদের ছাত্রীর পত্রালাপে উঠে আসে এক হারানো সময় আর মূল্যবোধের কথা। এটি অনুষ্টুপ-এর (সম্পা: অনিল আচার্য) ক্রোড়পত্র। প্রাক্ শারদীয় সংখ্যায় যেমন নবতর চিন্তাভাবনার প্রকাশ, তেমন সমসময়েরও অভিঘাত। গোলাম মুরশিদের ‘আদর্শবাদ ও মানবতার সংকট’-এর সঙ্গে তপোব্রত ঘোষের রবীন্দ্রসাহিত্য মন্থন-করা প্রবন্ধ ‘অমিত রায়ের জীবনস্মৃতি’। জরুরি প্রবন্ধ অভিজিত গুহের ‘জমি অধিগ্রহণ: তত্ত্ব ও তথ্য’, আশিস খাস্তগীরের ‘উনিশ শতকের ‘যন্ত্র’-কথা’, অমিতাভ গুপ্তের ‘উন্নয়ন আর হোমো আর্বানিকাসের গল্প’, স্থবির দাশগুপ্তের ‘লাইফ-স্টাইল-এর তদন্তে শার্লক হোমস আর ওয়াটসন’, অনাথনাথ দাসের আলেখ্য ‘ঋণবদ্ধ উপনন্দগণ’। সিনেমা ও কলকাতা নিয়ে দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের নিবন্ধ। এ ছাড়াও সংস্কৃতি সমাচার, প্রয়াণলেখ ইত্যাদি। সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা (পত্রিকাধ্যক্ষ: সুবিমল মিশ্র) মননশীল প্রবন্ধে ঋদ্ধ। রয়েছে বিজয় পাণ্ডার ‘খাদ্যাভ্যাসে মাছ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত বাংলায় মাছ ধরার উপকরণ’, মেঘদূত ভুঁইয়ের ‘বাঁকুড়ার ঘুসিং (ঘুটিং) চুন’, অলোক রায়ের ‘ধূর্জটিপ্রসাদ রচনাপঞ্জি’, অশোক উপাধ্যায়ের ‘সাময়িকপত্রে বঙ্কিমচর্চা: ১৯২৬-১৯৯০’। আছে অরুণ ঘোষ আর রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের প্রবন্ধ। অনিন্দিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ ‘উনিশ শতকে মেয়েদের কলমে প্রতিবাদী স্বর’, তাতে দেখি স্ত্রীশিক্ষা সম্পর্কে সে কালের আপত্তিগুলির একটি ছিল: বিদ্যাশিক্ষায় নারীগণের চরিত্রদোষ জন্মে।
সন্ধিৎসা-য় (সম্পা: রমাপ্রসাদ দে) সংকলিত হল ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকার সুবর্ণজয়ন্তী সংখ্যার বৃহৎ অংশ। বিশ্বজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শুরুতেই তাঁর ‘ভারতবর্ষ: ফিরে দেখা’-য় জানাচ্ছেন: ‘সন্ধিৎসা’ পত্রিকা যখন একাদশ বর্ষে উপনীত ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকার তখন শতবর্ষের সূচনা। আমরা তাই এই বিশেষ সংখ্যাটি উৎসর্গ করেছি ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকার শতবর্ষ সূচনার স্মারক হিসেবে।’ এর পাশাপাশি পত্রিকার সাম্প্রতিক অংশে উল্লেখ্য দিলীপকুমার রায়ের অপ্রকাশিত কবিতা, শ্রীঅরবিন্দের গল্পগুচ্ছ নিয়ে রবিন পালের প্রবন্ধ। |
|
|
|
|
|