|
|
|
|
|
|
|
নাটক সমালোচনা... |
|
দেবতাদের স্বার্থে |
সল্টলেক থিয়েটারের ‘হিপ্পোলিটাস’। লিখছেন শতরূপা চক্রবর্তী |
সম্প্রতি সল্টলেক থিয়েটারের প্রযোজনায় এবং হীরকশুভ্র চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় নাট্যরূপ পেল ইউরিপিডেসের ‘হিপ্পোলিটাস’। আড়াই হাজার বছর আগের রচিত গ্রীক পৌরাণিক অবলম্বনে নাটকটির সৃষ্টি, যা এক সময় ইউরোপের নাট্যমহলে সাড়া জাগিয়েছিল। ইউরিপিডেসের রচনায় ছিল সামাজিক প্রভাব। সমাজ পরিবর্তিত হয়েছিল গণতন্ত্র থেকে রাজতন্ত্রে। মানুষের মূল্যবোধের বিনাশ ঘটেছিল। দেবতার প্রতি সকল আস্থা ও বিশ্বাসে ফাটল ধরেছিল। যার জায়গা নিয়েছিল অবৈজ্ঞানিক কুসংস্কার আর বুদ্ধিজীবীদের দৌরাত্ম্য। ইউরিপিডেস দেখিয়েছেন দেবতাগণ নিজেদের স্বার্থে মনুষ্যকুলকে কী ভাবে ব্যবহার করতেন। নাট্যরূপ নিরূপ মিত্রের। |
|
হিপ্পোলিটের ভগ্নি অ্যান্টিয়োপ। তাঁর সঙ্গে এথেন্স রাজ থিসিয়াসের গোপন অভিসারের জারজ সন্তান হিপ্পোলিটাস। পরবর্তীকালে থিসিয়াস এ্যান্টিয়োপকে ত্যাগ করেন। বিবাহ করেন মিনোস কন্যা ফেড্রাকে। হিপ্পোলিটাস তখন তরুণ। আদর্শবান। তাঁর উপাস্য দেবী আর্তেমিস। প্রেমের দেবী আফ্রোদিতের ব্যভিচারের জন্য তাঁকে অবজ্ঞা করে হিপ্পোলিটাস। অভিনয়ে মণিকা মুখোপাধ্যায়, বিমান রায়, শাশ্বতী সরকার, সঞ্জয় বণিক, তৃষা দাস, শম্পা মিত্র, জয়ী মৈত্র, হীরকশুভ্র, সোনালী, প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী প্রশংসনীয়। আলোয় উত্তীয় জানা, সন্দীপ দে-র আবহ, যন্ত্রসঙ্গীতে সীতাংশু মজুমদার। নৃত্য পরিকল্পনায় জয়ী মৈত্র। |
|
|
|
|
|