সম্প্রতি শিশির মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল বেলেঘাটা ‘তিন কন্যা’ নাট্যসংস্থা আয়োজিত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। শুরুতে মধুমিতা বসুঠাকুরের পরিচালনায় বসুন্ধরা শিল্পী গোষ্ঠীর উদ্বোধনী সঙ্গীত। পরে তিন কন্যা মধুমিতা বসুঠাকুর, সরমা সেন ও কুমকুম বন্দ্যোপাধ্যায় নিবেদন করেন বিভিন্ন কবির লেখা গীতিনাট্য ‘পথের পরিক্রমা’। পরবর্তী শিল্পীরা ছিলেন সুছন্দা ঘোষ, দীপঙ্কর পাল, লালি বসু, দেবলীনা দত্ত, অরিন্দম মুখোপাধ্যায়, কালিদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। এঁরা প্রত্যেকেই নিজেদের সুনাম বজায় রেখেছেন। নৃত্যে রাজন্য সেন, দেবজিৎ মুখোপাধ্যায়, দেবকন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখযোগ্য। যোগ্য সঙ্গত করেন তবলায় তড়িৎ আচার্য, কী-বোর্ডে সুরজিৎ চক্রবর্তী এবং পারকাসনে বিবেক ঘোষ।
|
প্রতিশ্রুতিমান তবলা শিল্পী হিন্দোল মজুমদার প্রতি বছরের মতো এ বারেও নিজের মা সুনন্দা মজুমদারের স্মৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিলেন কলাকুঞ্জে। এই স্মৃতিমেদুর সঙ্গীত-সন্ধ্যায় প্রধান আকর্ষণ ছিলেন প্রখ্যাত বংশীবাদক রূপক কুলকার্নি। রাগ সরস্বতীতে সুমধুর আলাপ জোড় এবং ঝাঁপতাল-ত্রিতালে গত শুনিয়ে মুগ্ধ করলেন। সুসঙ্গত সহ তবলায় ছিলেন হিন্দোল। প্রথম পর্বে সুনন্দা রেকর্ডের সানশাইন শীর্ষক একটি ভিডিও সিডির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হয় প্রখ্যাত ফুটবলার ও গায়ক সুকুমার সমাজপতির হাতে। এতে প্রভাতী রাগ বাজিয়েছেন রূপক কুলকার্নি (বাঁশি) এবং গণেশ মোহন (সেতার)। এর পর পণ্ডিত যশরাজের সুকণ্ঠী যুবা শিষ্য সপ্তর্ষি চক্রবর্তী ভ্রাতা অরিন্দম (তবলা) ও সনাতন গোস্বামীর (হারমোনিয়াম) সহযোগিতায় রাগ বেহাগে সুখশ্রাব্য খেয়াল শোনান। অনুষ্ঠানটির সূচনা হয়েছিল কিশোর চক্রবর্তীর তবলা লহরা দিয়ে।
|
রণজিৎকুমার সেনের ৯৫ তম জন্মদিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করল ‘গানের ভুবন’। বর্ষা-সঙ্গীত, কাব্য ও স্মৃতিচারণ। অংশ নিলেন সুছন্দা ঘোষ, সংযুক্তা ভাদুড়ি, দীপান্বিতা সেন, চন্দ্রা মহলানবিশ, অশোক ঘোষ, শৈবাল চক্রবর্তী, আশিস ঘোষ, সুচিন সিংহ, অব্যয় চট্টোপাধ্যায়, তপোব্রত ব্রহ্মচারী এবং রুনু ঘোষ। তবলা ও পারকাশনে স্বপন আচার্য ও উদয় হালদার। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন দীপান্বিতা সেন। |