দীর্ঘদিনের আইনি টানাপোড়েনের পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে হলদিয়া মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা প্রথম সেমেস্টারে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও তাঁদের ফল প্রকাশ করা হয়নি। এই অবস্থায় আসন্ন সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষায় বসা যাবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু বৃহস্পতিবার জানিয়ে দেন, তিনি ফল প্রকাশ করার রায় দিচ্ছেন না। তবে যে-সব ছাত্রছাত্রীর ফল অনুযায়ী সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন আছে, রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়কে তাঁদের সেই পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এবং এই পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে হাইকোর্টের রায়ের প্রতিলিপি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই।
দেবস্মিতা চক্রবর্তী নামে এক ছাত্রী পরীক্ষার ফল প্রকাশের ব্যবস্থা করার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন। তাঁর বক্তব্য, কোনও পরীক্ষার্থী কোনও বিষয়ে কম নম্বর পেলে তিনি সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পান। চলতি মাসের শেষেই ওই সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। কিন্তু হলদিয়ার ওই মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার ফল না-বেরোনোয় তাঁদের সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা দিতে হবে কি না, তা জানা যাচ্ছে না। বিচারপতি বিশ্ববিদ্যালয়কে বলেছেন, ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থের কথা ভেবে কোন কোন পরীক্ষার্থীর সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন আছে, সেটা দেখতে হবে তাদেরই। সেই সব ছাত্রছাত্রীর ওই পরীক্ষায় বসার ব্যবস্থাও করতে হবে। পরীক্ষার ফল ভরে রাখতে হবে একটি বন্ধ খামে।
আইকেয়ার সোসাইটি পরিচালিত হলদিয়া মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন খারিজ করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার, স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কাউন্সিল। অনুমোদন খারিজের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হয়। বিচারপতি গিরীশ গুপ্ত জানিয়ে দেন, অনুমোদন বাতিলের ওই সিদ্ধান্ত অবৈধ। বিচারপতি গিরীশ গুপ্তের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হয় ডিভিশন বেঞ্চে। সেই মামলার শুনানি এখনও শুরু হয়নি। এ দিকে সুপ্রিম কোর্ট ওই কলেজের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা নিতে বললেও ফল প্রকাশ না-করার নির্দেশ দিয়েছিল। পরবর্তী কালে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, ফলপ্রকাশের ব্যাপারে আবেদন জানাতে হবে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এ দিন জানান, ডিভিশন বেঞ্চই ফলপ্রকাশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে। |