|
|
|
|
একই দিনে অপসারিত সৌরভ ও মোহিন্দর |
রাজ্যের বিদ্রোহ উড়িয়ে দিয়ে শ্রীনিবাসনই ‘সুপার সিলেক্টর’ |
গৌতম ভট্টাচার্য • মুম্বই |
দিনটা চিহ্নিত ছিল সুপার এইটে সহবাগ বসবেন না যুবরাজ, তা নিয়ে ভরপুর চর্চার জন্য। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আগামিকালের ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ ছাপিয়ে যে বোর্ডের নির্বাচক বাছার বৈঠক শিরোনামে
চলে আসবে কে জানত? কে জানত একই দিনে অপসারিত হয়ে যাবেন ভারতীয় ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তনের দুই চিরপুরুষ মোহিন্দর অমরনাথ ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়?
মোহিন্দর যে নির্বাচনী বৈঠকে ধোনি-বিরোধী আওয়াজ তোলার জন্য বহিষ্কৃত হতে পারেন, আনন্দবাজারে সপ্তাহ তিনেক আগে তার প্রথম আভাস দেওয়া হয়েছিল। গত দু’দিন ধরে ভারতের জাতীয় সংবাদমাধ্যমের একাংশ, এমনকী ট্যাবলয়েডও লিখতে শুরু করে, মোহিন্দরকে রেখে দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার নির্বাচনী বৈঠকের আগে দেখা গেল, পুরোটাই বোর্ডের শীর্ষ কর্তার প্রচারমাধ্যমে ভাসিয়ে দেওয়া খবর। যাতে মোহিন্দরের মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতে তাঁর বিরুদ্ধে বোর্ডের মধ্য থেকেই কোনও সংগঠন তৈরি না হয়।
এ-ও দেখা গেল, ধোনির তীব্র সমালোচনা করলে আধুনিক ভারতীয় ক্রিকেটে তার রক্ষা নেই। মোহিন্দরের ‘অপরাধ’, তিনি দিল্লির নির্বাচনী বৈঠকে বলেছিলেন ০-৮ হারের পর কোনও অধিনায়ককে রাখা উচিত নয়। এমনই জোরালো ভাবে বলেছিলেন যে, দুই নির্বাচককে সঙ্গে পেয়ে যান। এর পর থেকে শ্রীনিবাসনরা বলতে শুরু করেন, ওকে কমিটিতে রাখতে পারি কিন্তু নির্বাচক প্রধান কিছুতেই করব না। |
|
চিরবিদ্রোহী মোহিন্দর নিছক নির্বাচক হিসেবে তাঁর চেয়ে অনেক জুনিয়রের অধীনে থাকতে রাজি হননি। মোহিন্দর আনন্দবাজারকে বলেছেন, “ঈশ্বর একটা দরজা বন্ধ করে দিলে জানলাটা কোথাও না কোথাও তিনিই খুলে দেন।” মোহিন্দরের ভাষায় ‘খুলে দেওয়া জানলা’ বোধহয় জাতীয় টিভি চ্যানেলে বিশেষজ্ঞ হিসেবে বসার চারদিক থেকে লোভনীয় অফার। কারণ আজকের পর থেকে ব্যাট হাতে না নিয়েও জনতার চোখে তিনি সংগ্রামী এক ব্যাটসম্যান। যাঁকে প্রতিষ্ঠান বিদ্রোহী হওয়ার অপরাধে সরিয়ে দেওয়া হল। কলম্বো-স্থিত ভারতীয় দলে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে মোহিন্দরকে সময়সীমার আগেই সরানোয়। কিন্তু তাতে ভারতীয় বোর্ড কর্তারা বিচলিত নন। কথা না-ও শুনতে পারে, এমন বেয়াড়া কাউকে তাঁরা নির্বাচক কমিটিতে রাখবেন না। আর নির্বাচক প্রধান তো কোনও মতেই নয়। কথা ছিল নির্বাচক কমিটি বাছবে বোর্ড। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে সদস্যরা অবাক হয়ে দেখলেন অন্য বারের মতো কোনও মনোনয়ন-টনোনয়ন নেই। অন্য বার বলা হয়, অমুকের নাম আমি প্রস্তাব করলাম। আর এক জন সেই প্রস্তাবে সমর্থন জানাতেন। এ বার প্রেসিডেন্ট নিজেই গড়গড় করে বলে দেন নামগুলো। সন্দীপ পাটিল চেয়ারম্যান। সাবা করিম (পূর্বাঞ্চল), বিক্রম রাঠৌর (উত্তরাঞ্চল), রজার বিনি (দক্ষিণাঞ্চল) এবং রাজিন্দর সিংহ হংস (মধ্যাঞ্চল)। নামগুলোর মধ্যে একটাই বিশেষত্ব, এঁরা প্রত্যেকে বোর্ডের ‘আচরণবিধি’ মেনে চলতে রাজি। যে আচরণবিধি বলে, ধোনি এবং বোর্ড পরিচালন পদ্ধতির সমালোচনা করতে যেও না।
এর প্রমাণ পেলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। বোর্ডের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর আরও এক বছরের জন্য নবীকরণ হতেই পারত যদি শ্রীনিবাসন চাইতেন। সৌরভের কমিটি বোর্ডে প্রচুর কাজ করেছে। রঞ্জি ট্রফির
নতুন পদ্ধতি চালু করেছে যা বোর্ড কর্তাদেরও প্রশংসা কুড়িয়েছে। অথচ রাতে যে নতুন টেকনিক্যাল কমিটি গঠন হল তার শীর্ষে অনিল কুম্বলে। পূর্বাঞ্চল থেকে আছেন দীপ দাশগুপ্ত। রাতে সৌরভের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বললেন, “আমি তো জানতামই না। রাত্তিরে জানার চেষ্টা করব ঠিক কী হল। একটা কথা হচ্ছিল যে আমি ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলে যাচ্ছি আবার কমিটিতেও আছি। এই সিদ্ধান্ত সে জন্যই কি না, জানি না।” সৌরভ দৃশ্যতই খুব বিস্মিত। তাঁর ঘনিষ্ঠ শিবির থেকে অবশ্য বলা হচ্ছে, ধোনি আর শ্রীকান্তকে যেমন সাহসী ভাবে লাগাতার সমালোচনা করেছে তাতে এটা আর আশ্চর্য কী। এই জমানায় এটাই তো স্বাভাবিক। সিএবি কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানা গেল, তাঁরাও বিস্মিত। কিন্তু তাঁদের কিছু করণীয় নেই কারণ, টেকনিক্যাল কমিটির পুরোটারই মনোনয়ন প্রেসিডেন্ট করেন। এমনকী বাংলা থেকে যিনি কমিটিতে আছেন, সেই দীপের নামও সিএবি পাঠায়নি। সৌরভের নাম যে নেই, সেটা কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে এবং যুগ্মসচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় এ দিন মুম্বইয়ে থেকে গিয়েও জানতেন না। আর টেকনিক্যাল কমিটি ঠিক হওয়ার আগেই জগমোহন ডালমিয়ারা রাত্তিরে কলকাতার বিমান ধরেছেন। বাংলা ক্রিকেটমহল হতবুদ্ধি হয়ে গিয়েছে, এত বড় সিদ্ধান্ত যদি কোনও টেকনিক্যাল কারণেও হয় তা হলে সেটা সৌরভকে জানানোর মতো সৌজন্য দেখানো হল না কেন? |
বাংলা থেকে কে কোথায়... |
জগমোহন ডালমিয়া
নিউ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কমিটি (চেয়ারম্যান) |
চিত্রক মিত্র
ভিজি ট্রফি চেয়ারম্যান |
দেবাঙ্গ গাঁধী
সিনিয়র টুর্নামেন্ট কমিটি |
বিশ্বরূপ দে
জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির সদস্য |
সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়
মার্কেটিং কমিটি |
অরূপ ভট্টাচার্য
জুনিয়র নির্বাচক কমিটি |
সুজন মুখোপাধ্যায়
মিউজিয়াম কমিটি |
দীপ দাশগুপ্ত
টেকনিক্যাল কমিটি |
গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায়
মহিলা নির্বাচক কমিটি |
|
বৃহস্পতিবারের সভার পর আবার প্রমাণ হয়ে গেল, নির্বাচক বাছা নিয়ে দৃশ্যত যতই মারামারি-ফাটাফাটি হোক, সুতোয় খেলানো পুতুলের মতো সেগুলোকে অদৃশ্য নিয়ন্ত্রণ করেছেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসন। বন্ধুদের কাছে যিনি ‘শ্রীনি’, তিনিই এখন ভারতীয় ক্রিকেটের সুপার সিলেক্টর।
এক-একটা নাম বিভিন্ন অঞ্চলের ঝগড়া থেকে উঠে এলেও সভা শেষে প্রত্যেকের মনে হচ্ছে যে, চূড়ান্ত অনুমোদন (পড়তে হবে প্রতীকী নির্বাচন) শ্রীনিবাসনেরই ছিল। গত কালের আনন্দবাজারে লেখা হয়েছিল, পূর্বাঞ্চল নির্বাচক বাছবেন শ্রীনিবাসন। ঠিক তাই-ই হল। সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ভাবে সাবা করিমের নাম তোলেন তিনি। মজার কথা হল, সাবা যে রাজ্যের প্রতিনিধি, সেই ঝাড়খণ্ডের তাঁর সম্পর্কে তীব্রতম আপত্তি ছিল। অথচ সাবাকে প্রবল বিরোধিতার মধ্যেও শ্রীনিবাসন নিয়ে এলেন। সিএবি কর্তাদের চারটে নামের মধ্যে সাবা কোথাও ছিলেন না। ভারতীয় ক্রিকেট-অলিন্দে জনশ্রুতি, সাবার নাম বোর্ড প্রধানের কাছে প্রস্তাব করেছিলেন স্বয়ং মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। বৃহস্পতিবারে ভারতীয় বোর্ডের যে নতুন নির্বাচক কমিটি দাঁড়াল তাতে শ্রীনিবাসন যদি সুপার সিলেক্টর হন, তা হলে ‘জুনিয়র সিলেকশন কমিটি’র প্রধান যেন ধোনি নিজে। এমন এক জনও কমিটিতে থাকলেন না যিনি উৎপটাং প্রশ্ন তুলে ভারত অধিনায়ককে বিব্রত করতে পারেন। অশোক মলহোত্রের নাম যেমন সিএবি প্রস্তাব করা মাত্র বোর্ড প্রধান গত কাল রাতেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, ওই নামটা হবে না। মলহোত্রেরও অপরাধ, ধোনি এবং ধোনির বোর্ডের বিরুদ্ধে টেলিভিশনে (এবং আনন্দবাজারে) নিয়মিত সমালোচনা করা। তৃণমূল সমর্থিত অরূপ ভট্টাচার্যকে বোর্ডকর্তারা মূল কমিটিতে ঢুকতে দেননি। তাঁকে সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়েছে জুনিয়র সিলেকশন কমিটি। অরূপ রাতে বললেন, “ঠিক আছে যা দিয়েছে। জুনিয়র থেকেই শুরু করি।”
পশ্চিমাঞ্চল থেকে আবে কুরুভিল্লার আসার কথা ছিল। সেই মতো মুম্বই ক্রিকেট সংস্থা তাঁকে জুনিয়র ও সিনিয়র দুটোরই সিলেকশন কমিটির চেয়ারম্যান আগাম বেছে রেখেছে। শেষ বেলায় শ্রীনিবাসন যে ‘সন্দীপ পাটিল কার্ড’ খেলবেন কেউ ভাবতেই পারেননি। মোহিন্দর চলে যাওয়ায় কমিটিতে ওজন হ্রাসের সম্ভাবনা রুখতে এনসিএ চেয়ারম্যান পদ থেকে আনা হল সন্দীপকে। তাঁর সঙ্গে অনায়াসে আরও এক বছর চুক্তির নবীকরণ করা যেত। রাতে মুম্বই ক্রিকেটমহলে কেউ কেউ বলছিলেন, এটা খুব পরিষ্কার, সিনিয়র নির্বাচক কমিটিকে কিছুতেই চোখের আড়াল করতে রাজি নন শ্রীনিবাসন। সেটা ওঁর নির্বাচনের পদ্ধতি দেখে বোঝা গেল। শ্রীনিবাসনের ঘনিষ্ঠমহল বলছে, মিডিয়া যে ভাবে দেখছে সেটা ঠিক নয়। এ বার খুব বেছে বেছে নির্বাচক নিয়োগ করা হয়েছে। সাবা, বিক্রম রাঠৌর, সন্দীপ, এঁদের প্রত্যেকেরই ক্রিকেট নিয়ে নিজস্ব দৃষ্টিকোণ রয়েছে। এঁদের সততাও প্রশ্নাতীত।
কিন্তু আসল নাটক হল পূর্বাঞ্চল নির্বাচক বাছা নিয়ে। এ দিন সকালে জগমোহন ডালমিয়া এবং বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট চিত্রক মিত্র যখন শ্রীনিবাসনের চেম্বারে কথা বলতে যান, তাঁরা প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাঁরা স্বপ্নেও ভাবেননি যে পূর্বাঞ্চলের অন্য রাজ্যগুলো ডালমিয়ার বিরুদ্ধে এমন প্রকাশ্য বিদ্রোহ ঘোষণা করবে। অসম, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা তখন জানিয়ে দেয় তাদের প্রতিনিধি দেবাশিস মোহান্তি। ডালমিয়ার নেতৃত্ব আর তারা মানে না। এমনকী তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসতেও রাজি নয়। ডালমিয়া তাঁর প্রশাসনিক জীবনে নিজের অঞ্চলে এমন বিদ্রোহের মুখে জীবনে পড়েননি। ভোটে তখন তাঁরা ২-৪ হারছেন। বাকি রাজ্যগুলো ঠিক করে ফেলেছে, জাতীয় নির্বাচক হতে গেলে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে পাঁচ বছর দূরে থাকতে হবে, এই নিয়মটা সভায় তুলে দেবে। এমনকী তারা আক্রমণাত্মক ভাবে বলে যে এনসিসি-র অনুমোদন বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এনসিসি-র কার্যত কোনও অস্তিত্বই নেই।
ডালমিয়া তখন শ্রীনিবাসনকে বলেন জুনিয়র নির্বাচক কমিটিতে অরূপ ভট্টাচার্যকে তো রাখতেই হবে, তার সঙ্গে সিনিয়রটাও তাঁদের চাই। এ ভাবে অসম্মানিত হয়ে তাঁরা ফিরতে রাজি নন। শ্রীনিবাসন তখন দু’টো নাম বলেন। সাবা করিম এবং সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্তারা সাবাকে বেছে নেন। সাবা শুধু বাংলার হয়ে দীর্ঘদিন খেলেনইনি, এখান থেকে অবসরও নেন। তাঁরা শুধু ভেবে পাচ্ছিলেন না, এবিপি নিউজের সঙ্গে লোভনীয় মিডিয়া চুক্তি ছেড়ে সাবা নির্বাচক হতে রাজি হবেন কি না। শ্রীনিবাসনের অফিস থেকেই চিত্রক মিত্র ফোন করেন সাবাকে। সাবা বলেন, রাজি। পরে অবশ্য আঁচ করা যায় সাবা আগে থেকেই রাজি ছিলেন। বোর্ড আগেই তাঁকে বাজিয়ে রেখেছিল। সিএবি কর্তাদের বেশ তৃপ্ত শোনায়। দেবাঙ্গ, দীপ, অরূপ নানান কমিটিতে ঢুকে গিয়েছেন। তিন কর্তা সুজন মুখোপাধ্যায়, বিশ্বরূপ দে এবং সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় তিনটে কমিটিতে। তখনও তাঁরা জানেন না যে, সৌরভ কার্যত অপসারিত। সিএবি প্রতিনিধিরা অবাক হয়ে গিয়েছেন সাবার নাম প্রস্তাব হওয়ার পর পূর্বাঞ্চলের বাকি প্রতিনিধিদের মারমুখী হয়ে উঠতে দেখে। সাবা যে সংস্থার ক্রিকেটার, সেই ঝাড়খণ্ড তাঁর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ দেখায়। ওড়িশা, অসম, ত্রিপুরাও বলতে থাকে সাবাকে নির্বাচক করা চলবে না। দিল্লিতে থেকে কী ভাবে কেউ পূর্বাঞ্চল নির্বাচক হতে পারেন? ক্ষোভে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে যে সব কথা পূর্বাঞ্চল কর্তারা মধ্যাহ্নভোজের বিরতির সময় বলতে থাকেন, তাতে বোর্ডের শীর্ষ কর্তারা আশ্চর্য হয়ে গিয়েছেন। খানিকটা রুষ্টও বটে।
এন শ্রীনিবাসন অবশ্য আগাগোড়াই অচঞ্চল ছিলেন। পূর্বাঞ্চলের বাকি রাজ্যগুলোর বিদ্রোহ তাঁকে এক চুলও নড়াতে পারেনি। আসলে সাবাকে নির্বাচক করে আনায় ডালমিয়া সায় দিয়েছেন মাত্র। সাবা তো শ্রীনিবাসনের নিজের প্রতিনিধি। যেমন সন্দীপ পাটিলরা। নির্বাচক বাছার বৈঠকে সবচেয়ে বড় নির্বাচক বোর্ড প্রধান নিজেই। বেসরকারি ভাবে তিনিই ‘সুপার সিলেক্টর’। |
|
|
|
|
|