কমে আসছে কলকাতা-ঢাকা উড়ান সংখ্যা। কিংফিশার কলকাতা থেকে সমস্ত উড়ান তুলে নিয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস এবং বাংলাদেশের জিএমজি সংস্থাও এই রুট থেকে গুটিয়ে নিয়েছে তাদের উড়ান। ফলে, এক দিকে যেমন চাহিদা ও জোগানের ফারাক বেড়েছে, তেমনই বেড়েছে ভাড়া।
ব্যবসার কাজে কলকাতা থেকে নিয়মিত বাংলাদেশ যাতায়াত করেন অনেকেই। যেমন, কাকলি মিত্র। তাঁর কথায়, “খুব অসুবিধায় পড়ে গিয়েছি। এখন এই রুটে বাংলাদেশ বিমান, জেট এবং ইউনাইটেড এয়ারের উড়ান চলে। ইউনাইটেড এয়ার ও বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত উড়ান নেই। জেট-এর উড়ান অনেক ভোরে।” একটি গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার হয়ে বাংলাদেশে রয়েছেন সায়ন মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আগের থেকে ভাড়া বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। কলকাতা-ঢাকা উড়ান ধরতে ভোর চারটের সময়ে ঘুম থেকে উঠে আসতে হয়। বেশ কষ্টসাধ্য। এই মুহূর্তে উড়ান সংখ্যা বাড়ানো উচিত।”
কলকাতায় ট্রাভেল এজেন্ট সংগঠনের চেয়ারম্যান অনিল পঞ্জাবী জানালেন, গত কয়েক বছরে এই রুটে যাত্রী সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। শুধু ব্যবসার কাজে নয়, বেড়াতে, আত্মীয়-বন্ধুদের কাছে এবং চাকরির জন্য অনেকে এই রুটে যাতায়ত করেন। তাঁরা নিয়মিত উড়ান চান।
তবে সম্প্রতি কলকাতায় এসে বাংলাদেশের আর এক বেসরকারি বিমান সংস্থা রিজেন্ট এয়ারওয়েজ এই রুটে বিমান চালানোর কথা ঘোষণা করল। রিজেন্টের বিপণন ডিরেক্টর আখতার আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার জন্যও অনেকে কলকাতায় আসতে চান। তাঁরাও উড়ান পাচ্ছেন না।” তবে, এখনও আন্তর্জাতিক রুটে উড়ান চালানোর অনুমতি রিজেন্টের হাতে আসেনি। সংস্থার দাবি, ডিসেম্বরে কলকাতা রুটে সপ্তাহে সাতদিন উড়ান শুরু করবেন তাঁরা। আপাতত ৫০ আসনের বিমান ব্যবহার করা হবে। পরে বড় বিমান ভাড়া করা হবে বলে দাবি সংস্থার। ভারতে বিপণনের জন্য সংস্থা বার্ড গ্রুপ-কে দায়িত্ব দিয়েছে। |