আজ বাম-বিজেপি-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ডাকে চলছে ভারত বনধ। এর মধ্যে সকালে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটল বাগুইআটিতে। বিজেপি সমর্থকেরা জোর করে স্থানীয় দোকানপাট বন্ধ করার চেষ্টা করে ও গাড়ি আটকায়। এই সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুড়ও ভাঙচুড় করতে থাকে বনধ সমর্থকেরা। এদের মধ্যে ৩৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অন্যদিকে হাওড়ায় তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বাধে। বিজেপি সমর্থকেরা মিছিল করে বাস বন্ধ করার চেষ্টা করে। এই সময় তৃণমূল সমর্থকেরা বাধা দেওয়ার ফলে তাদের মধ্যে বচসা শুরু হয় পরে তা পৌঁছায় হাতাহাতিতে।
শ্যামবাজারে ১৪ জন এসইউসিআই সমর্থককে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ জোর করে পথ অবরোধ করার চেষ্টা করছিল তারা। দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়ায় পুলিশ ও বনধ সমর্থকেদের মধ্যে হাতাহাতি লাগে। পরে অবরোধকারীদের হটিয়ে দেয় পুলিশ।
কেবলমাত্র বনধের ছায়া বাস বা ট্যাক্সিতেই পড়েনি এর প্রভাব পড়েছে রেল লাইনেও। হাওড়া মেন ও কর্ড লাইন, বৈদ্যবাটি-ভদ্রশ্বের, ব্যান্ডেল-কাটোয়া লাইনগুলিতে অবরোধ চলতে থাকে। এর ফলে ব্যাহত হয় রেল পরিষেবা।
ধমর্ঘটে কোনও সরকারি কর্মী অনুপস্থিত থাকলে তাদের একদিনের বেতন কেটে নেওয়া হবে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অথচ পথে বেড়িয়ে কর্মস্থলের পৌঁছতে পারছিলেন না স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ঘটনাটি ঘটে বেহালা ১৪নং বাসরুটে। ওই রুটে একটি মাত্র সরকারি বাস পাওয়া যায় কিন্তু বনধের কারণে সেটিও আজ পাওয়া যাবে না বলে জানায় বাস কর্তৃপক্ষ। পরে পুলিশি সহায়তায় ঠাকুরপুকুর ডিপো থেকে তাঁদের জন্য একটি বাস যায়।
|
আক্রান্ত এসইউসিআইয়ের সমর্থকেরা |
বনধ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহারে হরিশপাল চৌখট্টিতে। এসইউসিআইয়ের বনধ সমর্থকেরা রাস্তায় পিকেটিং করার চেষ্টা চালাছিল। খবর পেয়ে তৃণমূল সমর্থকেরা মিছিল করে সেই জায়গায় পৌঁছায়। এর পর তাদের উপর চড়াও হয় ও ব্যাপকভাবে মারধর শুরু করে। এমনকি মহিলাদের উপরও অত্যাচার চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে আক্রমণকারীদের থানায় নিয়ে গেলেও এরপর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ এসইউসিআইয়ের। এই ঘটনার সত্যতা নিয়ে যাচাই করতে বিষয়টিকে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন পরিবহনমন্ত্রী মদন মিত্র। |
বারাসতে একটি সরকারি বাস ভাঙচুড় করল বনধ সমর্থকেরা। তারা বাস থামিয়ে সমস্ত যাত্রী ও বাস চালককে জোর করে নামিয়ে দিয়ে বাসে পাথর ছুড়তে থাকে। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা শুরু হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশবাহিনী। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। |