আরও একটা নজির গড়ে ফেললেন সাইনা নেহওয়াল! এ বার কোর্টের বাইরে।
অলিম্পিক ব্রোঞ্জজয়ী ব্যাডমিন্টন তারকার সঙ্গে চল্লিশ কোটি টাকার চুক্তি করল দিল্লির এনডোর্সমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা রীতি স্পোর্টস। যে কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি আছে ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরও। ক্রিকেটারদের বাদ দিলে ভারতে আর কোনও খেলোয়াড়ের সঙ্গে এমন চক্ষু ছানাবড়া করা অঙ্কের চুক্তি নেই কোনও কোম্পানির। কোনও মেয়ে ক্রীড়াবিদের তো নেই-ই। হায়দরাবাদেরই আর এক তারকা, গ্ল্যামার-রানি সানিয়া মির্জাও তাঁর সেরা সময়ে এত বড় এনডোর্সমেন্ট পাননি। |
রীতির সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি হয়েছে সাইনার। বুধবার সন্ধ্যায় ব্যাডমিন্টন তারকাকে মোবাইলে ধরা হলে বললেন, “এনডোর্সমেন্টে আমি ক্রিকেটারদের পরেই, ব্যাপারটাকে এ ভাবে দেখছি না। ৪০ কোটি টাকাটাও শেষ কথা নয়। এটা আসলে আমার পরিশ্রম, ত্যাগ, সাফল্যের স্বীকৃতি। আমাকে উদ্ধত ভাববেন না, কিন্তু আমি তো ২০৪টি দেশের মেয়ে ব্যাডমিন্টন প্লেয়ারদের মধ্যে তিন নম্বর। অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জেতা মানে তো সেটাই, নাকি?” প্র্যাক্টিস সেরে সদ্য ফিরেছেন গোপীচন্দ অ্যাকাডেমি থেকে। বেশ খুশি খুশি শোনাচ্ছিল ব্যাডমিন্টন-রানিকে। জানালেন, রীতি যোগাযোগ করে অলিম্পিকের আগেই। সাইনার কথায়, “অফারটা প্রথম আসে অলিম্পিকের আগে। তখন লন্ডনের প্রস্তুতিতে চূড়ান্ত ব্যস্ত থাকায় কোনও উচ্চবাচ্য করিনি। তা ছাড়া ওদের প্রোডাক্ট-টোডাক্ট নিয়েও কোনও ধারণা ছিল না।” |
এনডোর্সমেন্টের দৌড়ে কে কোথায় |
ধোনি |
১২৪ কোটি |
সচিন |
৮৯ কোটি |
* এক বছরের হিসেব |
|
এখন ধারণাটা স্পষ্ট। অলিম্পিক থেকে ফেরার পর রীতি কর্তারা ফের যোগাযোগ করেন। এবং কোম্পানিটি ধোনি, রায়না, রবীন্দ্র জাডেজা এবং চেন্নাই সুপার কিংস দলেরও স্পনসর জানার পরে রাজি হয়ে যান। সাইনা বললেন, “এদের বড় গুণ, প্লেয়ারের খেলা আর বিজ্ঞাপনের প্রচারের কাজ, দু’টোর মধ্যে সুন্দর ভারসাম্য বজায় রেখে চলে। ফলে প্লেয়ারকে কখনওই শুটিংয়ের জন্য টুর্নামেন্ট তো বটেই, ট্রেনিং শিডিউলের ব্যাপারেও সমস্যায় পড়তে হয় না। এরা সেবামূলক কাজকর্মও করে। সেগুলোর সঙ্গে যুক্ত হতে পারব।” নতুন কোম্পানি সাইনার সমস্ত এনডোর্সমেন্ট আর ব্র্যান্ডের কাজ, মানে তিনি যত পণ্যের প্রচারে যুক্ত বা ভবিষ্যতে নতুন করে যুক্ত হবেন, সবই দেখভাল করবে। ফলে, ঝাড়া হাত-পা সাইনা মন দিয়েছেন পরের মাসে ডেনমার্ক আর ফ্রান্সে দুটো সুপার সিরিজের প্রস্তুতিতে।
চল্লিশ কোটির চুক্তি চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টনের দুনিয়াতেও। যেখানে হায়দরাবাদের তরুণী এখন সবচেয়ে ধনী খেলোয়াড়দের অন্যতম। পুরুষদের সিঙ্গলসে বিশ্বের এক নম্বর, চিনের মহাতারকা লি দানের বার্ষিক আয় মোটামুটি ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। মালয়েশিয়ার লি চং ওয়েই বছরে রোজগার করেন প্রায় ৯ কোটি। সাইনা এখন উপার্জনে এই দু’জনকেই ছাড়িয়ে যাচ্ছেন! |