দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরের সৈয়দপুর গ্রামপঞ্চায়েতে কংগ্রেসের প্রার্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও ক্ষমতা পাননি। এলাকা পুনর্বিন্যাস নিয়ে সিপিএমের তরফে মামলা করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারাও একটি মামলা করেন। ওই জটিলতায় সৈয়দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন স্থগিত হয়ে রয়েছে। রবিবার বালুরঘাটে সাংবাদিক বৈঠকে জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায় অভিযোগ করেন, গত ৪ বছর ধরে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে প্রশাসন উদ্যোগী নয় বলে কাজকর্ম সব বন্ধ হয়ে রয়েছে। এলাকার প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দা সমস্ত রকম উন্নয়ন প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দাবিতে এ বার আন্দোলনে নামবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ভারত বন্ধের দিন হরিরামপুর চলো অভিযানের ডাক দিয়ে সেখানে বড় জমায়েত করবে তারা। ওই জনসভায় সাংসদ অধীর চৌধুরী, মৌসুম নূর, মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক ওম প্রকাশ মিশ্রের উপস্থিত থাকার কথা। জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী বলেন, “সৈয়দপুর গ্রামপঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে জটিলতায় ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম ব্যাহত হয়ে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা হচ্ছে।”
|
পুজোর মরশুমের আগে রায়গঞ্জ শহরের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযানে নামল রায়গঞ্জ পুরসভা। রবিবার দিনভর পুরসভার চেয়ারম্যান মোহিত সেনগুপ্তের নেতৃত্বে পুরসভার একটি প্রতিনিধি দল শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ব্যবসায়ীদের ফুটপাত থেকে সামগ্রী সরিয়ে নেওয়ার কথা বলে সতর্ক করা হয়। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, আজ, সোমবার থেকে দুই দিন পুরসভার তরফে শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাইকে প্রচার করে ব্যবসায়ীদের ফুটপাত দখলমুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হবে। তারপরেও কোনও ব্যবসায়ী ফুটপাত দখল করলেই অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পুর কর্তৃপক্ষ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। ভাইস চেয়ারম্যান রণজকুমার দাস বলেন, “শহরের একাংশ ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে ফুতপাত দখল করে ব্যবসা করছেন। এতে পথচারীদের সমস্যা হচ্ছে। প্রতিদিনই দুর্ঘটনা, যানজট হচ্ছে। সম্প্রতি বকুলতলা মোড়ে বাসের ধাক্কায় এক কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু হয়। এদিন ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে।” ব্যবসায়ীদের সংগঠন রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অতনুবন্ধু লাহিড়ী পুরসভার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁরা ব্যবসায়ীদের ফুটপাত দখলমুক্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড় থেকে কসবা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাজ্য সড়কের দুই ধারে কয়েক হাজার দোকান রয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ব্যবসায়ীদের একাংশ দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার দুপাশে সামগ্রী রেখে বিক্রি করছেন। রাখা হচ্ছে সাইনবোর্ড। শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ধারে ফুটপাতে চা, তেলেভাজা ও খাবারের দোকান গজিয়ে উঠেছে। মোহনবাটি, নিউ মার্কেট, লাইন বাজার, সুপার মার্কেট, বিদ্রোহী মোড়, বিধাননগর মোড়ে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি।
|
বধূ নির্যাতনে স্বামী ও শাশুড়িকে পুলিশ ধরেছে। মালদহের চাঁচলের দক্ষিণপাড়া থেকে রবিবার দুপুরে তাদের ধরা হয়। ধৃত মৃন্ময় সরকার ও শাশুড়ি বীথি সরকার। মৃন্ময়বাবু ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জামের ব্যবসায়ী। বিয়ের পরও শ্বশুরবাড়ি থেকে আরও পণের টাকা নিয়ে আসার দাবিতে বধূর উপর ধৃতরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত বলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মাস দুয়েক আগে মালদহে বাপের বাড়িতে চলে আসেন শম্পা সরকার। এ দিন মালদহ থেকে চাঁচলে এসে পুলিশে অভিযোগ জানান তিনি। অভিযোগ পেয়ে দোকানে গিয়ে মৃন্ময়বাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ছেলের খোঁজ নিতে গেলে গ্রেফতার করা হয় মাকেও।
|
মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ইভটিজারদের হাতে মার খেলেন বাবা। শনিবার রাতে বালুরঘাট শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষুপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। প্রহৃতের নাম পিন্টু দাস। পেশায় রং ব্যবসায়ী পিন্টুবাবু তৃণমূল সমর্থক বলে পরিচিত। তাঁকে চড়-থাপ্পড় মারার পর ইট দিয়ে পিঠে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। রবিবার হামলাকারী ৩ যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পিন্টুবাবু। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তরা ঘোষপাড়া এবং মহামায়াপাড়া বাসিন্দা। তাঁরা পেশায় রংমিস্ত্রি। পিন্টুবাবু বলেন, “কয়েক দিন আগে ওই যুবকদের মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতে বারণ করি। ওরা হুমকি দেয়। শনিবার রাতে পাড়ায় মোবাইলের দোকানে বসেছিলাম। তিন জন দোকানে ঢুকে মারধর শুরু করে। ইট দিয়ে পিঠে এবং পায়ে আঘাত করে। চিৎকারে লোক এলে ওরা পালায়।”
|
রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল গড়ার দাবিতে প্রদেশ কংগ্রেসের নির্দেশে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর চাঁচলে জনসভা করা নিয়ে জেলা কংগ্রেস নেতাদের মতানৈক্য দেখা দিয়েছে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, রবিবার সভা নিয়ে জেলা কংগ্রেসের একটি বৈঠক হয়। সেখানে মূলত ইংরেজবাজারের বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী সভা করার বিপক্ষে মত দেন। একই মত পোষণ করেন আরও কয়েকজন নেতানেত্রী। তবে চাঁচলে ভা হচ্ছেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী। তিনি বলেন, “ইংরেজ বাজারের বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী, মন্ত্রী-সহ কয়েকজন আপত্তি করেন। তবে চাঁচলে মিছিল, সভা হবে। সোমবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। কর্মসূচিটি প্রদেশ কংগ্রেসের।”
|
রবিবার অন্ধকার ট্রেনে চেপে সারা রাস্তা আতঙ্কের মধ্যে কাটাতে হল মালদহ-কোচবিহার প্যাসেঞ্জার ট্রেনের কয়েকশ যাত্রীকে। যাত্রীরা ক্ষোভের কথা জানালেও ট্রেন যাত্রীদের দুর্ভোগ মেটাতে রেলের তরেফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ঘটনার বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছেন রেলের যাত্রী পরিষেবা কমিটির চেয়ারম্যান জোয়াকিম বাক্সলা। তিনি বলেন, “দুভার্গ্যজনক ঘটনা। আমি বিষয়টি খোঁজখবর নিচ্ছি।” ওই যাত্রীরা জানান, ৭৫৭১৯ আপ মালদহ-কোচবিহার প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়ি হয়ে কোচবিহারের রওনা হওয়ার কথা ছিল বেলা আড়াইটা। কিন্তু ওই ট্রেন সময় মত আসেনি। বিকাল পাঁচটা নাগাদ ট্রেন ছাড়ে। সেই সময় পাখা চলছিল না। তা দেখে অনেকে ভেবে ছিলেন ট্রেন ছাড়লে তা ঠিক হবে। তবে ট্রেন ছাড়ার পর বিকাল থেকে সন্ধ্যা গড়িয়ে আসতে অন্ধকার আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে গোটা ট্রেনটি। মহিলা, শিশুরা ভয়ে কান্নাকাটি শুরু করে দেন। অনেকে মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে বসে থাকেন। তবে তা দিয়ে বেশিক্ষণ চলেনি। আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের কমার্শিসাল ম্যানেজার অলকানন্দা সরকার বলেন, “ভবিষ্যতে এই ধরণের ঘটনা যাতে না ঘটে তা লক্ষ্য রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানানো হবে।” সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ শালবাড়ি স্টেশনে পৌঁছতেই যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। |
মালদহের চাঁচল থেকে এক পরিবহণ ব্যবসায়ী নিখোঁজের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গত সোমবার সকালে বাড়ি থেকে বার হয়ে আর বাড়ি ফেরেননি ওই ব্যবসায়ী। গত বৃহস্পতিবার পরিবারের তরফে পুিশে অভিযোগ জানানো হয়। পুলিশ জানায়, নিখোঁজ ব্যবসায়ীর নাম পান্ডব দাস (৪৫)। তিনি অবিবাহিত। তার সঙ্গে থাকা দুটি মোবাইলের ফোনও বন্ধ রয়েছে। |