আমাদের চিঠি |
|
অনাদরে শিবনিবাসের বিখ্যাত শীতলামন্দির |
|
নদিয়ার শিবনিবাসের শীতলামন্দির। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য। |
নদিয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের শিবনিবাস ও ভজনঘাটদুটি ইতিহাসপ্রসিদ্ধ পুরাতাত্ত্বিক পর্যটনকেন্দ্রিক প্রাচীন জনপদ। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র প্রতিষ্ঠিত শিবনিবাসের শীতলা মন্দিরটি বাংলার মন্দিরস্থাপত্যে অনন্য। গঠনশৈলীর দিক থেকে এর বহুমাত্রিকতা রয়েছে। গম্বুজাকৃতি মন্দিরটি সংস্কারের অভাবে জীর্ণ। মন্দিরের গর্ভগৃহে কালো কষ্টিপাথরের শীতলাদেবীর লৌকিক মূর্তি। পশ্চিমবঙ্গের কোথাও এত সুন্দর নিখুঁত শীতলা মূর্তি নেই বলে অনেক গবেষকই মনে করেন। গ্রামগঞ্জে আজও মঙ্গলকাব্যের ধারা বহমান। প্রতি বছর শীতলাষষ্ঠীতে এখানে মেলা হয়। প্রতি মঙ্গল ও শনিবার পূজাপাঠ হয়। সংস্কারের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রাচীন এই লোকায়ত ঐতিহ্য। ও দিকে ভজনঘাট ছেলিতলায় রাধাবল্লভ মন্দিরের পাশেই বৈষ্ণব কবি কৃষ্ণকমল গোস্বামীর বাড়িতে এক সময় বহু প্রাচীন পুঁথি ছিল। মন্দিরের তত্ত্বাবধানে থাকা সেই সব ভেষজসংক্রান্ত ও পৌরাণিক পুঁথির কোনও সংরক্ষণ নেই। প্রাচীন পুঁথিগুলির সংরক্ষণ প্রয়োজন। |
নানক নাথ, মাজদিয়া রেলবাজার, নদিয়া
|
অগ্নিনির্বাপণ প্রশিক্ষণ জরুরি |
মাসকয়েক আগে কলকাতায় ঘটে যাওয়া আমরি হাসপাতাল-সহ রাজ্যের কয়েকটি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের পর রাজ্য প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। অত্যাধুনিক অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ঠিকঠাক থাকলে তবেই ব্যবসার ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু রাজ্য সরকার কি ভেবে দেখেছে যে এই সব প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রটির সঠিক ব্যবহার কত জন কর্মী ঠিকমতো জানেন? শহরাঞ্চলে কী হয় জানি না, তবে মফস্সলে দেখেছি অধিকাংশ নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে অজ্ঞতার চিত্র। যদিও তাঁরা কিন্তু এই ব্যাপারটি জানতে আগ্রহী। সরকারের কাছে অনুরোধ, অবিলম্বে রাজ্যের প্রতিটি নার্সিংহোমের কর্মচারীদের অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের সঠিক ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দিলে ভবিষ্যতে দুর্ঘটনার হাত থেকে প্রতিষ্ঠানগুলি বাঁচবে। |
অরিন্দম চক্রবর্তী, সবং, প. মেদিনীপুর
|
সেচখালগুলি সংস্কার হোক |
কৃষিকাজে জল অপরিহার্য। নিজেদের জলাধার থেকে জল দিতে অপারগ হলে রাজ্য সরকার ভিন্ রাজ্য থেকে জল কিনে থাকে। কিন্তু যে খালগুলির মাধ্যমে জল দেওয়া হয় সেগুলির অবস্থা খুবই সঙ্গীন। যেমন ধনেখালির কানানদীর শাখা খাল ঝিমকি। ৯-১০ কিমি দীর্ঘ খালটির পাড় বা বাঁধ বলতে কিছু অবশিষ্ট নেই। গভীরতা সমতলে পৌঁছেছে। অনেকে নদীগর্ভে ফসল ফলাচ্ছে। নয়টি জলকপাটের সাতটি অকেজো। ফলে বর্ষায় জল ছাড়লে বন্যা দেখা দেয়। খরিফ মরসুমে যাদের কপাল ভাল তারা চাষ করে কিছু পান। মধ্য বা উঁচু জমির মালিকরা দ্বিগুণ ক্ষতিগ্রস্ত হন। এক, জলাভাবে তাদের চাষাবাদ হয় না। দুই, সেচ এলাকা বলে চিহ্নিত হওয়ায় বছরে বছরে জলকর দিতে হয়। এই অবস্থার অবসান কি আশা করতে পারি না? |
অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ধনেখালি, হুগলি
|
পাকা সেতু হোক |
দামোদর নদে হাওড়া-আমতার রসপুর বা থলিয়া খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। শুকনোর দিনে বাঁশের পাড়া আর ভরা বর্ষায় নৌকায় যাতায়াত। ছাত্রছাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যাওয়া-আসা করতে হয়। এক সময় থলিয়ায় বন্দর ছিল। ব্যবসা ছিল জমজমাট। এই এলাকায় পাকা সেতুর দাবি দীর্ঘ দিনের। এটি উদয়নারায়ণপুর বিধানসভার মধ্যে। বিধায়ক সমীর পাঁজা মহাশয়কে সেতুর ব্যপারে ভেবে দেখতে অনুরোধ করছি। |
দীপঙ্কর মান্না, চাকপোতা, আমতা
|
রাস্তার দিকে নজর দিন |
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সবচেয়ে বড় বাণিজ্য কেন্দ্র খড়্গপুর। বিভিন্ন রাজ্য থেকে রেলের ওয়াগনগুলো এখানে জমায়েত হয়। সেখান থেকে পণ্যসামগ্রী ট্রাকবাহিত হয়ে চলে যায় রাজ্যের নানা প্রান্তে। খড়্গপুরের মূল বাণিজ্যকেন্দ্র হল গোলবাজার। খড়্গপুর স্টেশন থেকে গোলবাজারগামী রাস্তাটির অবস্থা কহতব্য নয়। রাস্তার দু’পাশের পিচ ক্ষয়ে গিয়ে যে সব গর্ত হয়েছে, সেগুলি বর্ষার জলে ভর্তি। বাস, ট্রাক, মানুষজনের চলাচলের যথেষ্ট অসুবিধা হচ্ছে। রাস্তাটি সারানোর ব্যাপারে পুরসভা বা পিডব্লুডি কোনও বিভাগের নজর নেই। |
সঞ্জয় চৌধুরী, ইন্দা, খড়্গপুর
|
পুরসভা উদাসীন |
শেখ শোয়েব আলির চিঠি ‘খুচরোর সমস্যা মেটান’ পড়লাম। এ বিষয়ে জানাই খুচরোর সমস্যা মেটাতে ক্রেতা-বিক্রেতারা কিছু অলিখিত নিয়ম মেনে নিয়েছেন। স্টেশনারি দোকান বা মুদিখানায় খুচরোর পরিবর্তে লজেন্স নিতে হচ্ছে। বাজারে খুচরোর পরিবর্তে কাঁচালঙ্কা, পাতিলেবু ইত্যাদি দেওয়া হচ্ছে। আর একটা সমস্যা হল ১ টাকা, ২ টাকা, ৫০ পয়সার মুদ্রার আকারে খুব বেশি তফাত না থাকায় প্রায়ই ভুল হচ্ছে। |
বিকাশ রায়, কৃষ্ণনগর, নদিয়া
|
পথ চলাই দায় |
হাওড়া জেলার সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত বাণীপুর পঞ্চায়েতের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় দুটি পঞ্চায়েতে বিভক্ত হয়েছে। এক দিকে জনসংখ্যা বেড়েছে, অন্যদিকে চরম অবনতি হয়েছে পথঘাটের। তা ছাড়া, প্রোমোটারদের দৌরাত্ম্যে পথেই স্তূপীকৃত হয়েছে নানা ইমারত সামগ্রী। অন্যায়ের প্রতিকার দূরের কথা, জনপ্রতিনিধিরা অন্যায়কারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছেন। যেন, যত দোষ বেচারি পথচারীর। একটু নজর দিন। |
স্বপনকুমার ঘোষ ও মানিক ঘোষ। হাওড়া
|
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
আমাদের চিঠি,
সম্পাদকীয় বিভাগ,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১ |
|
|