ক্রেডিট কার্ড পরিষেবা নিয়ে গ্রাহকের অভিযোগ শোনার ক্ষেত্রে এ বার স্টেট ব্যাঙ্ককেও সামিল করতে উদ্যোগী জিই ক্যাপিটাল এবং স্টেট ব্যাঙ্কের যৌথ উদ্যোগ এসবিআই কার্ডস। এই সংস্থাটিই স্টেট ব্যাঙ্কের হয়ে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে।
এসবিআই কার্ডস-এর সিইও কদম্বী নরহরি জানান, “এসবিআইয়ের কিছু শাখাকে গ্রাহকের অভিযোগ শোনার জন্য নির্দিষ্ট করতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি। তা ছাড়া সমস্যা হলে তা এসএমএসের মাধ্যমে সমাধানের উদ্দেশ্যে ‘এসএমএস প্রবলেম’ শীর্ষক একটি পরিষেবাও চালু করেছি।”
প্রসঙ্গত, অনেক ক্ষেত্রে স্টেট ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড বিপণন করা হলেও পরিষেবা নিয়ে সমস্যায় পড়লে, স্টেট ব্যাঙ্কের সহযোগিতা সে ভাবে পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ রয়েছে অনেক গ্রাহকের। নরহরি বলেন, “গ্রাহক অভিযোগের সমাধান দ্রুত করার উদ্দেশ্যে আমরা স্টেট ব্যাঙ্কের সহযোগিতা পাওয়ার চেষ্টা করছি।”
এ দিকে গ্রাহকদের মধ্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কার্ডের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে বলে জানান নরহরি। বর্তমানে প্রায় ৪০% গ্রাহকই নির্ধারিত সময়ে বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিচ্ছেন। বাড়ছে ক্রেডিট কার্ডে কেনাকাটার পরিমাণও। ফলে ক্রেডিট কার্ড ব্যবসায় অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণও ৫ শতাংশের আশেপাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
এই তথ্য বিভিন্ন সংস্থার কার্ড ব্যবসায় উৎসাহ বাড়িয়ে দিয়েছে। এ পর্যন্ত ২৩ লক্ষ কার্ড বাজারে ছেড়েছে এসবিআই কার্ডস। নরহরি জানান, “তিন বছরে তা দ্বিগুণ করে ৪৬.৭৫ লক্ষে নিয়ে যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য।” অনলাইনে ক্রেডিট কার্ড মঞ্জুরের সিদ্ধান্তও নিয়েছে এসবিআই কার্ডস। নরহরির দাবি, “সব তথ্য পেশ করলে ‘ক্লিক টু কার্ড’ শীর্ষক অনলাইন ব্যবস্থায় আবেদন করার সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই কার্ড হাতে পেয়ে যাবেন গ্রাহক।” |