পাট চুরি নিয়ে সালিশিসভায় দু’পক্ষের গোলমাল চেহারা নিল সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষের। সোমবার সকালে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থানার জিয়াখুড়ি গ্রামে ওই গণ্ডগোলে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ গেল এক তৃণমূল সমর্থকের। জখম হন দু’পক্ষের অন্তত চার জন। পুলিশ চার জনকে আটক করেছে।
পুলিশ জানায়, নিহত সাহিদুল রহমানের (২৫) বাড়ি ইসলামপুরের দাদগছ এলাকায়। জিয়াখুড়ি গ্রামে তাঁর চাষের জমি রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত কয়েক দিন ধরে জিয়াখুড়িতে পাট চুরি নিয়ে গোলমাল চলছিল। তা নিয়ে এ দিন সকালে সালিশি সভা বসে। বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ সেখানেই বাধে গণ্ডগোল। সিপিএম এবং তৃণমূল ঘটনার জন্য একে অন্যের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে।
সাইদুলের কাকা তথা এলাকার তৃণমূল নেতা মহম্মদ পইমুদ্দিনের অভিযোগ, “সাইদুল চাষ করার সময়ে খবর পায়, এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে হামলা করেছে সিপিএমের লোকেরা। সেখানে গেলে ও গুলির মুখে পড়ে। |
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ইসলামপুর হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও ওকে বাঁচানো যায়নি।” তাঁর দাবি, “সিপিএমের লোকেদের ছোড়া বোমায় জখম হন আর এক তৃণমূল কর্মী।” পুলিশ জানিয়েছে, বোমার ঘায়ে চোখে চোট লেগেছে মহম্মদ ওসমান নামে ওই ব্যক্তির। তিনি ইসলামপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগারমন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরীর মন্তব্য, “সিপিএমের লোকেদের গুলিতে আমাদের এক কর্মী মারা গিয়েছেন। এক জন জখম হয়েছেন। এলাকায় প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। পুলিশকে তা বাজেয়াপ্ত করতে হবে। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে।”
পক্ষান্তরে ঘটনার সঙ্গে সিপিএম কোনও ভাবেই যুক্ত নয় বলে দাবি করেছেন দলের ইসলামপুরের জোনাল কমিটির সম্পাদক স্বপন গুহনিয়োগী। তিনি বলেন, “ওই এলাকায় পাট চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সালিশি সভায় গোলমাল হয়। তা থেকে তৃণমূলের দু’টো গোষ্ঠীর মধ্যেই সংঘর্ষ হয়েছে।” এসডিপিও (ইসলামপুর) সুবিমল পাল বলেন, “দু’পক্ষের সংঘর্ষের সময়ে গুলিতে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। বোমার আঘাতে এক জন জখম হয়েছেন। কী কারণে, কাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে তা খতিয়ে দেখে এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |