টুকরো খবর
আজ শেষকৃত্য খড়্গবাহাদুরের
জিজ্ঞাসা করলে নিচু স্বরে বলতে শুরু করতেন গুরুদেবের সান্নিধ্যে যাওয়ার স্মৃতিকথা। এক বার নয়। বারবার। সে কথা বলতে তাঁর ক্লান্তি থাকত না। তাঁর কাছ থেকে মংপুতে রবীন্দ্রনাথের উপস্থিতিতে ১৯৪০ সালে কবিগুরুর জন্মদিন পালনের সেই কথা শুনেছেন অনেকেই। মংপুতে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি চারণের সেই স্বর আর শোনা যাবে না। ৯০ বছরে দার্জিলিঙের লেবংয়ে মেয়ে উমার বাড়িতে রবিবার মারা গিয়েছেন খড়্গবাহাদুর ইয়ানজন। ৬ সেপ্টেম্বর মেয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন। রবিবার বিকেলে সিমলের বাড়িতে যখন তাঁর দেহ আনা হয় তখন শোকস্তব্ধ মংপু। খবর যায় ৫ কিমি দূরে রবীন্দ্র সংগ্রহশালা এলাকার লোকজনদের কাছেও। রবীন্দ্র সংগ্রহশালা দেখভালের দায়িত্বে থাকা শিশির রাউত বলেন, “খবর পেয়েই মনটা খারাপ হল। গুরুদেবকে দেখার স্মৃতি তাঁর মুখ থেকে আর শোনা যাবে না।” আত্মীয় পরিজনদের অনেকে এসে না পৌঁছনোয় মঙ্গলবার তাঁর শেষকৃত্যের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরিবারের লোকেরা। মংপুর রবীন্দ্র স্মৃতি সংরক্ষণ সমিতির যুগ্ম সম্পাদক সুরেন্দ্র সিংহ বলেন, “কবিগুরুর কথা অনেকেই ওঁর মুখ থেকে শুনেছি। তার মতো মানুষকে হারানোয় আমাদের অনেক ক্ষতি হল।” মংপুতে ২২ বৈশাখ রবীন্দ্র জয়ন্তী বা ২২ শ্রাবণ প্রয়াণ দিবসের উৎসবে অতিথিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন খড়্গবাহাদুর ইয়ানজন। রবীন্দ্র স্মৃতি সংরক্ষণ সমিতির সদস্যরা জানান, মংপুর সিনকোনা ফ্যাক্টরির স্টোরকিপার ছিলেন খড়গবাহাদুর। ১৯৪০ সালে কবি যখন মংপুতে তখন খড়্গবাহাদুর ১৭ বছরের। সে সময় হুইল-চেয়ারে কবিকে বাংলোয় ঘোরানো হয়েছিল। খড়্গবাহাদুর তা ঠেলে নিয়ে যান। তাঁর কাছে সে কথা শুনেছেন অনেকেই।

ধার নিয়ে জেরবার মৃৎশিল্পীরা
প্রতিমা গড়ার টাকা জোটাতে মহাজনই ভরসা। অভিযোগ উঠেছে সরকারি তালিকায় নাম থাকলেও ব্যাঙ্ক ঋণের সুযোগ মিলছে না। ওই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন আলিপুরদুয়ারের মৃৎশিল্পীরা। প্রতিমা বিক্রি করে রোজগারের বেশিটা চলে যাচ্ছে সুদ মেটাতে। যদিও জেলা শিল্প কেন্দ্রের আধিকারিক নিরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, “জেলায় অন্তত ১৩৮ জন মৃৎশিল্পী দফতরে নাম নথিভূক্ত করেছেন। আরও প্রায় ৩০ জনের নাম নথিভূক্ত করার কাজ চলছে। তাঁদের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সাহায্যের চেষ্টা চলছে।” কিন্তু সরকারি কর্তার ওই আশ্বাসে ভরসা রাখতে পারছেন না শিল্পীদের কেউ। তাঁদের অভিযোগ, প্রতি বছর বাড়ছে মাটি, বাঁশ, খড় সহ নানা সরঞ্জামের। কিন্তু সেই তুলনায় দাম বাড়ছে না প্রতিমার। তাই কমছে লাভ। সরকারি সাহায্য না মেলায় সমস্যা আরও জটিল হয়েছে। মৃৎশিল্পীরা জানান, মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে প্রতিমা গড়তে হচ্ছে। বিক্রি করে যে টাকা মিলছে সেটা চলে যাচ্ছে সুদ মেটাতে। আলিপুরদুয়ার শোভাগঞ্জ এলাকার শিল্পী নিখিল পাল ও গৌতম পাল বলেন, “দুর্গা পুজোর সময় বড় বরাত মেলে। বছরভর আমরা অপেক্ষায় থাকি। কিন্তু নিজেদের মূলধন না থাকায় মনের মতো কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।” জেলা শিল্প কেন্দ্রের দেওয়া কার্ড নিয়ে মাস কয়েক আগে ব্যাঙ্কে ঋণের আবেদন করেছিলেন এলাকার কয়েকজন শিল্পী। কিন্তু লাভ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে এ বারও মহাজনের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। জলপাইগুড়ি জেলা মৃৎশিল্পী সংস্থার সভাপতি গোপাল পাল বলেন, “জলপাইগুড়ি জেলার অধিকংশ মৃৎশিল্পী জেলা শিল্প কেন্দ্রে নথি ভুক্ত হলেও ব্যাঙ্কগুলিতে ঋণের আবেদন করে লাভ হয়নি।”

পৃথক আদালত গঠনের দাবি
আদিবাসী ও রাজবংশীদের জমি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে পৃথক সেল ও আদালত গঠনের দাবি জানাল আদিবাসী ও ভূমিপূত্র জমি রক্ষা কমিটি। সোমবার কমিটির তরফে জলপাইগুড়ির বিভাগীয় কমিশনার অমরেন্দ্র কুমার সিংহের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। অখিল ভারত আদিবাসী বিকাশ পরিষদ, কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি, প্রোগ্রেসিভ টি ওয়ার্কাস ইউনিয়ন ও সিপিআইএমএলের সদস্যদের নিয়ে এই কমিটি তৈরি করা হয়েছে। কমিটির দাবি, আদিবাসীদের নামে থাকা জমি অবৈধভাবে হাতবদল হয়েছে সেগুলি তদন্ত করে ফিরিয়ে দিতে হবে। উত্তরবঙ্গ জুড়ে জাতীয় সড়কের দুই পাশে শিল্পস্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহণ করেও দীর্ঘদিন ফেলে রাখা হলে সেই জমি পুনরায় অধিগ্রহণ করে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। কমিটির সভাপতি তেজকুমার টোপ্পো বলেন, “বিভাগীয় কমিশনারকে স্মারকলিপি দিয়ে সরকারের কাছে এই দাবি জানিয়েছি। যে জমিদাতারা এখনও সরকারি চাকরি পাননি তাদের চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।”

গাড়ি তিস্তায়, মৃত ১
সিকিম থেকে শিলিগুড়ি ফেরার পথে পিকআপ ভ্যান তিস্তায় পড়ে মৃত্যু হল চালকের। সোমবার সকাল ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে সেবকে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সুকমান ছেত্রী (৩২)। তাঁর বাড়ি ভক্তিনগর এলাকায়। ওই ঘটনায় অর্পণ ছেত্রী এবং থম্বে ছেত্রী নামে আরও ২ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের শিলিগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি কারনো হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার তাঁরা পিকআপ ভ্যান নিয়ে গ্যাংটকে যায়। সেখানে ব্যবসার কাজ সেরে এদিন সকালে তিনজন ফিরছিলেন। সেবকে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে গাড়ি খাদে পড়ে যায়। পুলিশ গিয়ে ৩ জনকে উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলেই চালকের মৃত্যু হয়। বাকি ২ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, “কি কারণে দুর্ঘটনা হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

ভরদুপুরে ছিনতাই
মালবাজার শহরের জনবহুল ঘড়ি মোড় এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, লালবাহাদুর শেরপা নামে এক ব্যক্তি মালবাজারের বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া একটি ব্যাঙ্ক থেকে ৫০ হাজার টাকা তোলেন। টাকা একটি ব্যাগে ঢুকিয়ে তিনি হেঁটে ঘড়ি মোড় এলাকায় গিয়ে সোনার দোকানের সামনে দাড়ান। ব্যাগটি দোকানের বারান্দায় নামিয়ে রাখামাত্র বাইকে আসা দুই দুষ্কৃতী সেটিকে তুলে নিয়ে চম্পট দেয়। হতচকিত হয়ে তড়িঘড়িতে বাইকের নম্বরও দেখতে পারেননি তিনি। পরে তিনি মালবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

মন্ত্রীকে আর্জি মঞ্চের
দফায় দফায় লোডশেডিংয়ের দাপটে নাকাল হয়ে বিদ্যুৎমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন অভিভাবক মঞ্চের কর্তারা। সোমবার সকালে বিদুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্তর দফতরের ফ্যাক্স পাঠিয়ে তাঁরা আলিপুরদুয়ার শহর সংলগ্ন এলাকায় দ্রুত বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবি জানান। ওই স্বেচ্ছেসেবী সংস্থার কর্তাদের অভিযোগ, কয়েক দিন থেকে লোডশেডিংয়ের দাপটে বাসিন্দাদের জেরবার দশা হয়েছে। সংস্থার সম্পাদক ল্যারি বসু বলেন, “বারবার লোডশেডিং হচ্ছে। শনিবার দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ ছিল না। রবিবার বাজ পড়ে বীরপাড়া সাব স্টেশনের যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরে প্রায় ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না শহরে। সোমবারেও শহরে দফায় দফায় লোডশেডিং হয়েছে। মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে।”

গ্রাম পঞ্চায়েতে তালা
প্রধানের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল দিনভর পঞ্চায়েত ঘেরাও করে বিকালে অফিসে তালা ঝোলাল। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি ব্লকেরঝাড়আলতা ২ পঞ্চায়েতে। তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নিয়ম নীতির তেয়াক্কা না করে নানা অনিয়ম করছেন। ধূপগুড়ির বিডিও সৌমেন্দ্র দূতরাজ বলেন, “বিষয়টি দেখা হচ্ছে। যুগ্ম বিডিও-কে সেখানে পাঠানো হয়েছে।” গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান অবশ্য অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

পদ থেকে ইস্তফা
নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত এবং পরিবহণ বিভাগের স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন গৌতম কীর্তনিয়া। সোমবার বিডিওর কাছে এ ব্যাপারে তিনি লিখিত আবেদন করেন। দলীয় নেতৃত্ব কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন। গৌতমবাবু আবেদন পত্রে জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কারণে তিনি ওই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাইছেন।

কমিশনারেটে গোয়েন্দা বিভাগ চালু
ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট চালু হল শিলিগুড়ি কমিশনারেটে। সোমবার কমিশনারেটে পুলিশ কর্তাদের নিয়ে এক বৈঠকের পর তা চালু করা হয়। আপাতত এক জন ইন্সপেক্টরকে ওই ডিপার্টমেন্টে নিয়োগ করা হয়েছে। কমিশনারেট সূত্রের খবর, বিশেষ কোনও অপরাধের তদন্তে করবে ওই ডিপার্টমেন্ট। এদিন জল কামানও সামিল করা হয় কমিশনারেটে। এক পুলিশ কর্তা জানান, কমিশনারেটের কোথাও গণ্ডগোল হলে জল কামান ব্যবহার করা হবে। জলে রং বা এক ধরনের পাউডার ব্যবহার করা হবে। পাউডার মেশানো জল লাগলে শরীর চুলকোতে শুরু করবে আর রংয়ে জামাকাপড় রঙিন হয়ে যাবে। তা দেখে অভিযুক্তদের সহজেই শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.