পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে ২০০৭ সালের ৩ এপ্রিল লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি সন্দেহে ধৃত চার জনকে সোমবার ফের তোলা হয় বনগাঁ মহকুমা আদালতে। গত ১৬ জুলাই থেকে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ৭ জন বিএসএফ জওয়ানের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এ দিন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সুনীল মণ্ডল ওরফে সুনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সরকারপক্ষের আইনজীবী সমীর দাস ও অভিযুপক্ষের আইনজীবী সুব্রত বসু।
সোমবার দুপুরে বনগাঁ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (ফাস্ট ট্র্যাক ২) অপরাজিতা ঘোষের এজলাসে তোলা হয় ধৃত শেখ নঈম ওরফে সামির, শেখ আবদুল্লাহ, মুজফ্ফর আহমেদ রাঠৌড় এবং মহম্মদস ইউনুসকে। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে।
সুনীলবাবু পেট্রাপোল এলাকারই বাসিন্দা। পেট্রাপোল মোড়ে তাঁর মুদিখানা আছে। সরকারপক্ষের আইনজীবীর প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ২০০৭ সালের ৪ এপ্রিল ধরা পড়েছিল ওই চার জন। ঘটনার সময় তখন বেলা ১টা-দেড়টা হবে। চিৎকার-চেঁচামিচি শুনে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। দেখেন, তাঁর বাড়ির সামনের মন্দিরের চাতালে দু’জনকে বসিয়ে রেখেছেন বিএসএফের ১৯৩ ব্যাটালিয়নের জওয়ানেরা। পাশেই বাঁশ বাগান। সেখান থেকে আরও দু’জনকে ধরে সে দিকেই আনছেন জওয়ানেরা। চার জনকেই বসানো হয় মন্দিরের চাতালে। ধৃতেরা বাংলা ও হিন্দিতে কথা বলছিল। পর দিন সিআইডি অফিসারেরা তাঁর বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সুনীলবাবু জানান, বিএসএফ জওয়ানেরা তাঁদের কয়েক জনকে সাদা কাগজে সই করতে বললেও তাঁরা অস্বীকার করেন। এ দিন ধৃত চার জনকে সনাক্তও করেন সুনীলবাবু।
অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী তাঁর কাছে জানতে চান, সুনীলবাবুর মুদিখানায় বাংলাদেশের মালপত্র বিক্রি হয় কিনা। জবাবে তিনি জানান, সীমান্তবর্তী এলাকায় দোকানে বাংলাদেশি জিনিস বিক্রি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে তাঁর দোকানে তেমন কিছু বিক্রি হয় না। পেট্রাপোল সীমান্ত এলাকা থেকে তাঁর বাড়ি কত দূরে জানতে চান সুব্রতবাবু। সুনীলবাবু প্রথমে বলেন, ৩০ কিলোমিটার। পরে সংশোধন করে জানান, দূরত্ব তিরিশ গজ। এরপরেই এ দিনের মতো শুনানি শেষ হয়। পরবর্তী শুনানির দিন আজ, মঙ্গলবার। |