|
|
|
|
রুট ভাঙছে বাস, বিহিত চেয়ে পরিবহণ দফতরে নিত্যযাত্রীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রুট-পারমিট রয়েছে। অথচ, সব বাস নির্দিষ্ট রুটে চলছে না। অনেক বাস আবার রুট ভেঙে মাঝপথ পর্যন্ত যাতায়াত করছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমায় এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি। জেলা পরিবহণ দফতরের কাছে ঘাটাল-দেওয়ানচক ভায়া রাধানগর-কুঠিঘাট রুট নিয়ে ইতিমধ্যেই অভিযোগ জমা পড়েছে। যাত্রীদের বক্তব্য, এই রুটে ২০-২২টি বাসের পারমিট রয়েছে। অথচ, চলাচল করে ৫-৬ টি বাস। শুধু ঘাটাল নয়, জেলার অন্যত্রও এই সমস্যা রয়েছে বলে অভিযোগ জানান তাঁরা।
সম্প্রতি, ‘যাত্রী পরিবহণ সমন্বয় কমিটি’র এক প্রতিনিধি দল এ নিয়ে জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত, জেলা পরিবহণ আধিকারিক বিপুল বিশ্বাসের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগ জানানো হয়েছে ঘাটাল-দেওয়ানচক ভায়া রাধানগর-কুঠিঘাট রুট নিয়ে। ওই রুটে সব বাস না চলায় ‘ট্রেকার-রাজ’ চলছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ খতিয়ে পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন পরিবহণ আধিকারিক। জেলা পরিবহণ দফতরে সরকার মনোনীত সদস্য প্রদ্যোৎ ঘোষও বলেন, “নির্দিষ্ট অভিযোগ এলেই পদক্ষেপ করা হবে। সংশ্লিষ্ট বাস-মালিকদের ডেকে সতর্ক করা হবে। তারপরও পরিস্থিতি না পাল্টালে রুট-পারমিট বাতিল করাও হতে পারে।”
ঘাটালে ওই রুটের আশপাশে ৫২টি গ্রাম রয়েছে। এই পথেই মহারাজপুর, ডিঙ্গল, মনোহরপুর প্রভৃতি এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা সংযুক্ত। স্থানীয় যাত্রী পরিবহণ সমন্বয় কমিটির সম্পাদক সত্যসাধন চক্রবর্তী বলেন, “অনেক বাস ভেতরের রাস্তাগুলিতে না গিয়ে ঘাটাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত যাতায়াত করে। এর ফলে প্রচুর যাত্রী সমস্যায় পড়েন। বাধ্য হয়েই তাঁদের ট্রেকারের উপর নির্ভর করতে হয়।” গোলকবিহারী ঘোষ, কিঙ্কর প্রামাণিক, সন্দীপ বটব্যাল, আব্দুল মান্নান, বিকাশ হাজরারা জানালেন, কুঠিঘাট-গোপীগঞ্জ রুটের বাস ঘাটাল পর্যন্ত যায়, কুঠিঘাট পৌঁছয় না। সব রুটেই দাপট বাড়ে ট্রেকার চালকদের।
ট্রেকারে যাতায়াত তো আর এক বিপত্তি। এক-একটি ট্রেকারে ৩৫-৪০ জন যাত্রী ওঠেন। দু’পাশের হ্যান্ডেল ধরে ঝুলতে ঝুলতে যাওয়া তো রয়েইছে, ট্রেকারের ছাদেও অনেক যাত্রী তোলা হয়। পরিস্থিতি দেখে কয়েকটি রুটে সরকারি বাস চালানোরও দাবি জানিয়েছে সমন্বয় কমিটি। কুটগুলি হল হাওড়া-কুঠিঘাট, মেদিনীপুর-কুঠিঘাট, চন্দ্রকোনা রোড-কুঠিঘাট, বর্ধমান-কুঠিঘাট ভায়া আরামবাগ প্রভৃতি।
জেলা পরিবহণ দফতরের কাছে কমিটির দাবি,
১) প্রশাসনিক শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে রুট পারমিটপ্রাপ্ত বাসগুলিকে গন্তব্যস্থলের শেষ পর্যন্ত যেতে বাধ্য করতে হবে।
২) পারমিটপ্রাপ্ত বন্ধ হয়ে থাকা বাসগুলিকে পারমিট অনুযায়ী চালাতে হবে। না হলে ওই পারমিট বাতিল করে নতুন পারমিট দিতে হবে।
৩) মহকুমা সদর থেকে অন্তত রাত ৯টায় শেষ বাস চালাতে হবে।
৪) যাত্রীদের সুবিধার জন্য যান চলাচলের সুনির্দিষ্ট সময়সূচি তৈরি করতে হবে।
ঘাটালের মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারী ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্যের কাছেও এই দাবি সমূহের প্রতিলিপি পৌঁছনো হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিটি। |
|
|
|
|
|