সিপিএম কর্মীকে মারধর গোঘাটে
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সভায় যাওয়ার ‘অপরাধে’ সিপিএমের এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাটের সুন্দরপুর গ্রামে। কৌসর আলি নামে গুরুতর জখম ওই ব্যক্তিকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, কৌসরের হাত-পা এবং কোমরে চোট আছে। হাড় ভেঙেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রবিবার সকালে আরামবাগের রবীন্দ্রভবনে সিপিএমের কর্মিসভায় হাজির ছিলেন বুদ্ধবাবু। সভা শুরুর আগে তৃণমূলের জমায়েতের জেরে উত্তেজনা ছড়ায়। বুদ্ধবাবুর উদ্দেশে ‘গো ব্যাক’ ধ্বনি ওঠে। কৌসরের অভিযোগ, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তৃণূমল নেতা ফরিদ খান দলবল নিয়ে পথ আটকান। সভায় যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে লাঠি-রড নিয়ে মারধর শুরু হয়। প্রচণ্ড যন্ত্রণার মধ্যেও জনা কুড়ি গ্রামবাসীর সামনে হাঁটু মুড়ে ‘ক্ষমা’ চাইতে বাধ্য করা হয় কৌসরকে। কৌসরের বক্তব্য, “তৃণমূলের লোকজন দাবি করে, আমি নাকি গ্রামের ওই সব মানুষের উপরে আগে অত্যাচার করেছি।” ফরিদ-সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে কৌসরের পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়।
গোঘাট ২ ব্লক যুব তৃণমূল নেতা ফরিদের বক্তব্য, “অতীতে বহু অপরাধ করে থাকলেও কৌসরকে গ্রামে থাকতে বাধা দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছিল, এলাকায় শান্তি যেন বজায় থাকে। কিন্তু সে সিপিএমের সভা থেকে ফিরে অশান্তি করছিল। বলছিল, তৃণমূলের দিন নাকি শেষ। আমরা তারই প্রতিবাদ করেছি।” সিপিএমের গোঘাট জোনাল কমিটির সম্পাদক অরুণ পাত্র বলেন, “তৃণমূল নানা সময়ে বিভিন্ন অজুহাত তুলে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের মারধর করছে। জরিমানা করছে।” সিপিএমের অভিযোগ, বুদ্ধবাবুর সভায় যাওয়ার কারণে কামচে গ্রামের গোবিন্দ মণ্ডলের বাড়িও রবিবার রাতে চড়াও হয় তৃণমূল। মহিলাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হয়। আরামবাগের সাঁপরাজোল গ্রামের সিপিএম কর্মী জিয়াউর রহমানকেও ডিহিবাগনান বাজারে মারধর করা হয়েছে। আরামবাগের ঘরগোয়ালেও এ দিন ৫ সিপিএম কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ সব অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে তৃণমূল শিবির।

অভিযোগ দায়ের
বালি পুরসভার পুরনো অফিস থেকে নথি সরানো নিয়ে সোমবার থানায় লিখিত অভিযোগ করলেন পুর-চেয়ারম্যান অরুণাভ লাহিড়ি। তিনি বলেন, “এ নিয়ে বিভাগীয় তদন্তও হবে।” পুরসভার কেয়ারটেকার রাজেন্দ্র সিংহ, ম্যাটাডর চালক রাজেশ পাসোয়ান ও খালাসি মহম্মদ আকবর গ্রেফতার হন। সোমবার পুরসভার বিরোধী দলনেতা রেয়াজ আহমেদ ও বালি কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তপজিল আহমেদও অভিযোগ দায়ের করেন। চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সমর্থকেরা। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বাম আমলে ওখানে অনেক অবৈধ কাজ হয়েছে। বিগত অডিটেও গোলমাল রয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টির তদন্তের জন্য সদর মহকুমা শাসককে বলেছি। সে জন্যও পুরনো নথি সরানো হতে পারে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.