|
|
|
|
সম্পাদক সমীপেষু... |
কৃষিতে সমবায় |
বীজ বাঁচাতে চাষিরা গড়েছেন সংরক্ষণাগার (২০-৭) শীর্ষক প্রতিবেদন প্রসঙ্গে এই চিঠি। নদিয়ার মদনপুরের নরপতিপাড়ার চাষিরা গড়ে তুলেছেন দেশের প্রথম সব্জিবীজ সংরক্ষণ কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদানে সমবায় স্থাপন করে তৈরি করেছেন প্রসেসিং যন্ত্র, প্যাকেজিং মেশিন, বীজ শোধন যন্ত্র এবং ভিজে বীজ শুকানোর যন্ত্র। বেসরকারি উচ্চফলনশীন সব্জিবীজ বিপণন সংস্থাগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতা চালাচ্ছে কৃষকদের সমবায়। সমবায় লাভের মুখ দেখছে।
পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান সরকার পরিবর্তনের স্লোগান দিয়ে, উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শাসনক্ষমতায় এসেছে। খুচরো ব্যবসায় বৃহৎ পুঁজির বিরুদ্ধে আন্তরিক বিরোধিতা করছে। কৃষক শ্রেণির আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা বলছে।
কৃষক তাঁর ন্যায্য পাওনা না-পাওয়ার পিছনে মধ্যস্বত্বভোগীদের দায়ী করছে এগুলো সবই অভিনন্দনযোগ্য। কিন্তু কোন উপায়ে কৃষক তাঁর প্রাপ্য অর্থ পাবে, ক্রেতাসাধারণ ন্যায্য মূল্যে চাল-সব্জি কিনতে পারবে, তার জন্য কোনও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা হয়ে থাকলেও বাস্তবায়িত হয়নি। নদিয়ার নরপতিপাড়ার চাষিভায়েরা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। এই পথেই অর্থাৎ সমবায় আন্দোলনের মাধ্যমেই কৃষি, কৃষক, উপভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে। |
|
বর্তমান শাসক দলে প্রত্যন্ত গ্রামেও অনেক আত্মনিবেদিত কর্মী আছেন। তাঁদের উপর দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে গ্রামে গ্রামে সম্ভব হলে এখনই প্রতিটি ব্লকে সমবায় প্রতিষ্ঠান গড়ার কাজ। সব্জিবীজ সংরক্ষণ, হিমঘর স্থাপন, চাষের জন্য জৈব সার, বীজ (উচ্চফলনশীল নয়), কৃষিজাত দ্রব্য বণ্টন ব্যবস্থা সমবায়ই করবে। এই ভাবেই হতে পারে সদর্থক উন্নয়ন। কৃষিকে বাঁচাতে হবে। কৃষিকাজ যদি বিপন্ন হয় আমাদের জন্যও অস্তিত্বের সঙ্কট নেমে আসবে। শিল্প থেকে তৈরি জিনিস বাজারে তখন খুব কমই বিক্রি হবে।
সরকারি আমলানির্ভর না-হয়ে মানুষের জন্য কাজ যদি মানুষই করে, তবেই তার সার্থক পরিণতি হয় নরপতিপাড়ার চাষি-সম্প্রদায়ের এই উদ্যোগ তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
সমরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়া ৭১১১০৪
|
উপেক্ষিত |
কলকাতার যমজ শহর হওয়া সত্ত্বেও হাওড়া বিভিন্ন দিক থেকে উপেক্ষিত। এই শহরের রাস্তার দু’ধারে বেআইনি ঘরবাড়ি, দোকানপাটের ফলে পথ চলার রাস্তা উধাও হয়ে গেছে। শুধু পঞ্চাননতলা রোড, বেলিলিয়াস রোড, নেতাজি সুভাষ রোড-ই নয়, এখানকার প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডভুক্ত রাস্তা থেকেই ফুটপাথ লুপ্ত।
এর মধ্যে ঐতিহ্যবাহী জি টি রোডের অবস্থা সম্ভবত সবচেয়ে খারাপ। পথচারীরা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তার ধার ধরে চলতে বাধ্য হন। তা ছাড়া খানাখন্দ, হাম্প, বহুতলবাসীদের ফেলে দেওয়া উচ্ছিষ্ট, আবর্জনা দুর্ভোগ বাড়ায়। শোচনীয় অবস্থা হয় বর্ষাকালে। তখন জল-জঞ্জালের উপর দিয়ে শুরু হয় শহরবাসীর নিরুপায় পথ চলা।
উজ্জ্বলকুমার মণ্ডল। শেওড়াফুলি, হুগলি
|
বালিতে দুর্ভোগ |
বালি হল্ট স্টেশনের কাছে বাসস্টপে যাত্রীদের জন্য কোনও ছাউনি নেই। রোদ-জলে খুব কষ্ট ও অসুবিধা হয়। এ ছাড়া, বাস থামার জন্য বাস-বে নেই। নেই কোনও অটো স্ট্যান্ড এবং প্রাইভেট তথা অন্যান্য গাড়ি দাঁড়ানোর জায়গা।
জর্জ অগাস্টিন। দমদম, কলকাতা-২৮ |
|
|
|
|
|