কলকাতার পথে ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ বসানোর বরাতে ‘অনিয়ম’ নিয়ে পুরসভার ডিজি (আলো) গৌতম পট্টনায়ককে শো-কজ করলেন পুর-কমিশনার। সোমবার গৌতমবাবুকে কারণ দর্শানোর চিঠিটি ধরানো হয়। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁকে চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ত্রিফলা-বরাতে দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে রাজ্যপালের চিঠির প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার পুর-প্রশাসন রাজভবনে রিপোর্ট পাঠাচ্ছেন বলে পুর-সচিবালয় সূত্রের খবর।
শহর কলকাতার সৌন্দর্যায়নের লক্ষ্যে ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পুরসভা। আর সেই পরিকল্পনা রূপায়ণের পদ্ধতি ঘিরেই উঠেছে বিতর্কের ঝড়। ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাস্তায় সব মিলিয়ে প্রায় কুড়ি হাজার ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ বসানো হয়ে গিয়েছে। পুর-সূত্রের খবর: এ বাবদ খরচ মেটানোর বিল পুরসভার অর্থ দফতরে জমা পড়তেই ‘অনিয়ম’ ধরা পড়ে। অভিযোগ ওঠে, দরপত্রের বালাই না-রাখতে ৩০ কোটি টাকার কাজ ৫ লক্ষ টাকার কম অঙ্কের ছ’শোটি ভাগে ভাগ করে বরাত দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নজরে আসার পরে পুর-কমিশনার খলিল আহমেদ সংশ্লিষ্ট সমস্ত বিল আটকে দেন। পুর-বিধি লঙ্ঘনের জন্য অভিযোগের আঙুল ওঠে ডিজি (আলো)-র দিকে। মেয়র পরিষদের বৈঠকে ওই অফিসারকে কারণ দর্শানোর সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো এ দিন তাঁকে ওই শো-কজের চিঠি ধরানো হয়েছে। কী বলা হয়েছে তাতে?
পুর-সচিবালয়ের খবর: ডিজি (আলো)-র কাছে পুর-কর্তৃপক্ষ ব্যাখ্যা চেয়েছেন মূলত তিনটি প্রশ্নের।
১) ত্রিফলা আলো বসানোর পুরো কাজটাকে কেন তিনি ছোট ছোট ভাগে ভেঙেছেন?
২) অর্থ দফতরের সবুজ সঙ্কেত না-নিয়ে কেন ওগুলোর বরাত দেওয়া হল?
৩) পুরসভার ‘টেন্ডার-বার্তা’ এবং ওয়েব পোর্টালে কাজের নোটিস দেওয়া হল না কেন? ডিজি (আলো) গৌতমবাবু অবশ্য এর আগে পুর-কমিশনার ও মেয়রকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, ‘তাড়াহুড়ো’র কারণে সব নিয়ম মানা যায়নি। যদিও কর্তৃপক্ষের একাংশ ওই ‘ব্যাখ্যা’ মানতে নারাজ। পুর-সচিবালয়ের এক পদস্থ আধিকারিকের দাবি, “পদ্ধতি মেনে টেন্ডার না-ডাকার জন্য তাড়াহুড়োর কথা বলা হলেও ফাইল ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, কোনও কোনও ক্ষেত্রে বরাত দেওয়া হয়েছে এক মাস পরেও!” |