খাদ্য দফতরের সচেতনতা শিবির কালনায় |
যে চাষিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই, তাঁরা যাতে শূন্য ব্যালান্সে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন ও অভাবি মূল্যে ধান বিক্রি না করেন, সে জন্য রাজ্য সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ দফতর সপ্তাহব্যাপী সচেতনতা শিবির শুরু করল। ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই শিবিরগুলি চলবে জেলা ও মহকুমা আদালতের কাছাকাছি স্থানে। সোমবার কালনা নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতিতে এই রকমই একটি শিবিরের উদ্বোধন করেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। |
খাদ্যমন্ত্রী জানান, আগামী ১ অক্টোবর থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ রাজ্যের সব ব্লক অফিসে সচেতনতা শিবিরের আদলে ৭২ ঘণ্টার একটি শিবির হবে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে চাষিরা প্রতি কুইন্টাল ধান বিক্রি করে ১১৮০ টাকা পান। নতুন আর্থিক বছরে মোটা ধানের ক্ষেত্রে দর দেওয়া হবে ১২৫০ টাকা। সরু ধানের ক্ষেত্রে তা হবে ১২৮০ টাকা। ধান কেনা-সহ নানা বিষয় জানিয়ে রাজ্যে এক কোটি লিফলেটও বিলি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। |
সহায়ক মূল্যে ধান কেনা-সহ অন্যান্য বিষয়ে খাদ্য দফতর বিধি মানছে কি না,
সোমবার বর্ধমানে তার তদন্তে আসেন বিধানসভার সমবায় বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্যেরা। ছবি: উদিত সিংহ।
|
নিজের দফতরের গুদাম থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করে জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “রাজ্যে ৫ হাজার মেট্রিক টনের ৩৯টি গোডাউন তৈরির কাজে নামতে চলেছে কৃষি বিপণন দফতর। তার মধ্যে ১৪টি হবে বর্ধমান জেলায়।” এ দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা, বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, তপন চট্টোপাধ্যায়, স্বপন দেবনাথ, জেলা খাদ্য নিয়ামক আধিকারিক শঙ্করপ্রসাদ বাঁকুড়া প্রমুখ।
|