ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে দুই মেদিনীপুরেই।
পশ্চিম মেদিনীপুরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪০। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল-সহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দ্র পাত্র বলেন, “পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে।”
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন হাসপাতালেও ডেঙ্গি আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব অনুযায়ী, তমলুক জেলা হাসপাতালে এখন ৫ জন, মুগবেড়িয়া ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের চিকিৎসা চলছে। কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল থেকে দু’জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আগে আরও ৭ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের চিকিৎসা চলছিল। তাঁদের মধ্যে এক বালককে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গত শনিবার সেখানেই মৃত্যু হয় তার। জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দিলীপ বিশ্বাস বলেন, “পূর্বে এখনও পযন্ত ১৪ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী মিলেছে। এদের মধ্যে ৭ জন জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কয়েকজনকে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কয়েকজন সেরে উঠেছে।” এ দিকে, তমলুকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গি আক্রান্তদের চিকিৎসা যথাযথ ভাবে হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন রোগীর পরিজনেরা। এক রোগীর আত্মীয় ভরত মাইতির অভিযোগ, “জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গি চিকিৎসার কোনও ওষুধ মিলছে না। বাইরে থেকে ওষুধ কিনে দিতে হচ্ছে।” জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দিলীপ বিশ্বাস অবশ্য পরিকাঠামো অনুযায়ী যথাসাধ্য চিকিৎসা করা হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “প্রয়োজন হলে আমরা চিকিৎসার জন্য কলকাতার হাসপাতালে পাঠিয়ে দিচ্ছি।
কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁথি থানার উত্তর চড়াইখিয়া গ্রামের তাপস সামন্ত ও পশ্চিম সিলামপুরের বাসিন্দা উত্তম পাত্র গত ২ সেপ্টেম্বর জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দু’জনেরই রক্ত পরীক্ষায় এনএস-ওয়ান পজিটিভ মিলেছে। যদিও দু’জনকেই চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের সুপার জ্যোতিষচন্দ্র দাস জানান, এঁরা দ্বিতীয়বার জ্বরে আক্রান্ত না হলে ভয়ের কিছু নেই।” এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গি প্রতিরোধে সতর্কতামূলক নানা ব্যবস্থা নিচ্ছে কাঁথি মহকুমা প্রশাসন। সচেতনতা বাড়াতে প্রচারের উপরেই বেশি জোর দিচ্ছে তারা। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর পুরসভার প্রতিনিধি, অঙ্গনওয়াড়ি ও আশাকর্মীদের নিয়ে সচেতনতা সভা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি টানা বৃষ্টিতে মশার উপদ্রব কমবে বলেই মনে করছে স্বাস্থ্য দফতর। |