টুকরো খবর |
আগুনে আতঙ্ক বাজারে
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
বিদ্যুতের খুঁটির তারে লেগে যাওয়া আগুন থেকে আতঙ্ক ছড়াল পুরুলিয়ার কাপড়গলিতে। ঘটনাটি শুক্রবার দুপুরের। সে সময় শহরের প্রাণকেন্দ্রে কাপড়ের বাজার কাপড়গলিতে থিকথিকে ভিড় ছিল। ওই বিদ্যুতের খুঁটির নীচে দোকান রয়েছে তুলসী জালানের। তাঁর কথায়, “খুঁটিতে আগুন দেখে দোকান ছেড়ে পালিয়ে যাই।” ঘিঞ্জি কাপড়গলিতে আগুন লাগার খবর পেয়ে একটি ইঞ্জিন নিয়ে দমকল কর্মীরা দ্রুত ছুটে যান। বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করে দেওয়া হয়। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর প্রদীপ মুখোপাধ্যায়ও পৌঁছে যান। তত ক্ষণে অবশ্য আগুন আয়ত্তে এনে ফেলেছে দমকল। প্রদীপবাবু বলেন, “কাপড়ের এই বাজার অত্যন্ত ঘিঞ্জি। এই আগুন দ্রুত নিভিয়ে ফেলা গিয়েছে ঠিকই। কিন্তু কোনও ভাবে বড় অগ্নিকাণ্ড হলে অসহায় অবস্থায় দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া উপায় থাকবে না!” তিনি জানান, এই বাজারে বেআইনি দখল হঠানোর অভিযান চালানো যায় কি না, তা নিয়ে পুসভার বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা করবেন। পাশাপাশি বিদ্যুৎ দফতরকেও বলা হবে, যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি বিধিবহির্ভূত ভাবে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে, তা যেন পরীক্ষা করা হয়।
|
নালিশ জানাতে নিজের নম্বর দিলেন এডিএম
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
সারের কালোবাজারির অভিযোগের তদন্তে গিয়ে এ বার কৃষক ও সাধারণ মানুষকে নিজের মোবাইল নম্বর দিলেন পুরুলিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) হৃষিকেশ মুদি। এ দিন তিনি কাশীপুরে শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর একটি সরকারি কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে স্থানীয় কয়েকটি সারের দোকানে আচমকা হানা দেন। অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, “বিভিন্ন জায়গা থেকেই সারের কালোবাজারির অভিযোগ মিলছে। তার ভিত্তিতেই বিভিন্ন জায়গায় হানা দেওয়া হচ্ছে। এ দিন শ্রমমন্ত্রীর কর্মসূচির বেশ কিছু ক্ষণ আগেই আমি ওখানে হাজির হয়ে স্থানীয় কয়েকটি দোকানে হানা দিই। দু-একটি জায়গায় চাষিদের কাছ থেকে বেশি দাম নেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। বিডিওকে তা দেখতে বলেছি।” এ দিন অতিরিক্ত জেলাশাসক যখন একটি সারের দোকানে কাগজপত্র পরীক্ষা করছেন ও উপস্থিত ক্রেতাদের সার কেনা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন, তখন কেউ কেউ বেশি দাম নিলে কোথায় অভিযোগ জানাবেন জানতে চাওয়ায় তিনি নিজের মোবাইল নম্বরই দিয়ে দেন। বলেন, “আপনারা আমার এই নম্বরে ফোন করবেন, তাহলেই হবে।” এ রকম অভিযান জেলা জুড়ে চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
|
মাটি খুঁড়ে তুলে শিশুর দেহের ময়না-তদন্ত
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঘমুণ্ডি |
মাটি খুঁড়ে তোলা হল মাস দেড়েকের এক শিশুর মৃতদেহ। শুক্রবার সকালে বাঘমুণ্ডি থানা এলাকার বুড়দা গ্রাম থেকে স্থানীয় থানার পুলিশ কর্মী ও বাঘমুন্ডির বিডিও-র উপস্থিতিতে শিশুটির মৃতদেহ তোলা হয়। শিশুটির বাবা, বুড়দা গ্রামের বাসিন্দা জনার্দন মেহেতার অভিযোগ, “বুধবার স্বাস্থ্য দফতরেরই একটি স্থানীয় কেন্দ্র থেকে আমার ছেলেকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। পরের দিন ভোর ৪টে নাগাদ ছেলের মৃত্যু হয়। কী কারনে মৃত্যু হয়েছে, তা জানতে আমরা তদন্ত চেয়েছি।” পুলিশ জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। বিডিও শুভঙ্কর রায় বলেন, “আমার উপস্থিতিতে এ দিন মাটি খুঁড়ে দেহটি তুলে ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপনকুমার ঝরিয়াত বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। ওই কেন্দ্রে ওই দিনই আরও একাধিক শিশু টিকা বা ইঞ্জেকশন নিয়েছে। তাদের কারও কিছু হয়নি। ফলে টিকা থেকেই মৃত্যু হয়েছে, এমন মনে করার কোনও কারণ নেই। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে শিশুটির দেহের ময়না-তদন্ত হবে।”
|
বিক্রমের চিকিৎসার আর্জি
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
জেলবন্দি মাওবাদী নেতা বিক্রম ওরফে অর্ণব দাম স্পন্ডিলোসিসে ভুগছেন জানিয়ে শুক্রবার পুরুলিয়ার সিজেএমের কাছে চিকিৎসার আবেদন জানালেন তাঁর আইনজীবী সাগর মণ্ডল। বাঘমুণ্ডি থানা এলাকার একটি খুনের মামলায় চার দিনের পুলিশি হেফাজতের পরে এ দিন বিক্রমকে সিজেএম বিনয়কুমার পাঠকের এজলাসে হাজির করানো হয়। সাগরবাবু বলেন, “বিচারকের কাছে আমার মক্কেলের চিকিৎসার আবেদন জানিয়েছি। তিনি যাতে সংশোধনাগারে বসে পড়াশোনা করার জন্য বইপত্র পান, সে জন্যও অনুরোধ করেছি। অর্ণবের চিকিৎসা যাতে দ্রুত হয়, তার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। শুধু তাই নয়, তাঁকে কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন আছে কি না, সেই বিষয়টির উপরও গুরুত্ব দিয়েছেন বিচারক।” বিচারক বিক্রমকে সংশোধনাগারে প্রয়োজনীয় বইপত্র নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও সাগরবাবুর দাবি। বর্তমানে পুরুলিয়ায় ছ’টি মামলায় অভিযুক্ত বিক্রম। এ দিন বিচারক তাঁকে ১২ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
|
‘ডাইনি’ অপবাদ, শিবির হবে গ্রামে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
‘ডাইনি’ অপবাদ দিয়ে একটি পরিবারকে একঘরে করে রাখা হয়েছে ভড়া অঞ্চলের যে শালুকা গ্রামে, সেখানে গিয়ে এই কু-প্রথার বিরুদ্ধে সচেতনতা শিবির করবে বিষ্ণুপুর ব্লক প্রশাসন। শুক্রবার ওই পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পুলিশ যাবে বলে জানিয়েছেন বিষ্ণুপুরের বিডিও সুদীপ্ত সাঁতরা। তিনি বলেন, “এমন ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। অভিযোগ পাওয়ার পরেই ভড়ার পঞ্চায়েত প্রধানকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। বিষ্ণুপুর থানার আই সি জানিয়েছেন, নিরাপত্তার বিষয়টি দেখতে তাঁরা এ দিনই ওই গ্রামে যাবেন। পরে এই কু-প্রথার বিরুদ্ধে আমরা ওই গ্রামে সচেতনতা শিবির করব।” বৃহস্পতিবার স্ত্রী ও মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগে শালুকা গ্রামের নটবর সোরেন জানান, তাঁর স্ত্রীকে ‘ডাইনি’ অপবাদ দিয়ে তাঁদের পরিবারকে গত তিন বছর ধরে একঘরে করে রাখা হয়েছে। সে দিন বিডিও না থাকায় অভিযোগ গ্রহণ করে ওই পরিবারটিকে আশ্বস্ত করেন যুগ্ম-বিডিও বৈদ্যনাথ হেমব্রম।
|
জ্যাঠাকে খুন, কারাদণ্ড
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
জ্যাঠাকে খুনের দায়ে ৮ বছরের কারাদণ্ড হল ভাইপোর। ২০০৯ সালের ৬ ডিসেম্বর সোনামুখী থানার রাধামোহনপুর অঞ্চলের নাইরাবাঁধ গ্রামের রুইদাসপাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন সন্ধ্যায় গোয়ালঘরে কাজ করার সময় ভাইপো সুভাষ রুইদাসের কুঠারের আঘাতে মৃত্যু হয় জ্যাঠা দুর্গাচরণ রুইদাসের। এই মামলার সরকারি আইনজীবী গৌতমপ্রতিম সিংহদেব শুক্রবার বলেন, “বিষ্ণুপুর আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক সুভাষকে ৮ বছরের কারাদণ্ড ও দু-হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেছেন।”
|
চাল গাড়ি আটক
নিজস্ব সংবাদদাতা • বান্দোয়ান |
২৭ বস্তা চাল-সহ একটি গাড়ি আটক করেছে বান্দোয়ানের পুলিশ। ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বান্দোয়ান থানার মধুপুর গ্রামের কাছে চাল ভর্তি একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। কথার মাঝখানে চালক গাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ গাড়িটি আটক করে। |
|