শ্রম দফতরের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে শ্রমিকদের অবহিত করতে শিবির ও কর্মশালা হল পুরুলিয়ার কাশীপুরে। শুক্রবার কাশীপুরের সেবাব্রতী সঙ্ঘের মাঠে শ্রম দফতরের উদ্যোগে ‘সামাজিক প্রকল্পগুলি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি বিষয়ক কর্মশালা ও সুবিধা প্রদান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যর শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, কাশীপুরের তৃণমূল বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়া, অতিরিক্ত জেলাশাসক হৃষিকেশ মুদি, রঘুনাথপুরের মহকুমাশাসক প্রণব বিশ্বাস এবং শ্রম দফতরের রাজ্য ও জেলার পদস্থ আধিকারিকরা।
এ দিন শ্রমমন্ত্রী পুরুলিয়ায় ‘সামাজিক মুক্তি কার্ড’-এর আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। বস্তুত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের এই সামাজিক মুক্তি কার্ড প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসতে।
পূর্ণেন্দুবাবু বলেন “রাজ্য সরকারের আর্থিক সমস্যা থাকলেও তারা চাইছে প্রকল্পগুলির সুবিধা আরও বেশি সংখ্যক শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে দিতে। ভবিষ্যনিধি প্রকল্পের আওতায় থাকা শ্রমিকদের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে দেড় লক্ষ টাকা ও স্বাভাবিক মৃত্যু হলে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।” |
তবে, মন্ত্রীর আক্ষেপ, নির্মাণকর্মীদের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসার কাজ ভালোভাবে করা গেলেও পরিবহণকর্মীদের ওই প্রকল্পগুলিতে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে। এই প্রেক্ষিতে শ্রমিক সংগঠনগুলিকে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শ্রমমন্ত্রী। এ দিন আদিম জনজাতি বীরহোড় সম্প্রদায়ের কয়েক জনকে সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা আনুষ্ঠানিক ভাবে দেওয়া হয়েছে। পুরুলিয়ার সহকারী শ্রম কমিশনার প্রসেনজিৎ কুণ্ডু জানান, বীরহোড় জনজাতির কয়েক জন নির্মাণকর্মী হিসাবে কাজ করলেও অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য থাকা প্রকল্পগুলির সুবিধা পেতেন না। ওই সম্প্রদায়ের লোকজনদের এই প্রকল্পগুলির আওতায় নিয়ে আসার জন্য বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির যে সব সদস্য অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক হিসাবে রয়েছেন, তাঁদেরও প্রকল্পগুলির আওতায় নিয়ে আসার কাজ শুরু করেছে জেলা শ্রম দফতর। বিধায়ক জানান, নির্মাণকর্মী কল্যান পরিষদ থেকে এ দিন ১১৮ জন শ্রমিককে সাইকেল ও ১০০ জনকে সাইকেল কেনার টাকা দেওয়া হয়েছে। |