নিখোঁজ এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পুলিশকে ঘেরাও করে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায়। শুক্রবার দুপুরে দেগঙ্গার চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের গাংনিয়া গ্রামে পুকুর থেকে বিকাশ মণ্ডল (২৩) নামে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন বিকাশ। মৃতের আত্মীয়দের দাবি, দিন কয়েক আগে বিকাশদের পুকুরে দুষ্কৃতীরা বিষ দেওয়ায় কয়েক হাজার মাছ মারা যায়। এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর পরে নানাভাবে তাঁকে ভয় দেখানো হচ্ছিল। অভিযোগ, তারাই পরিকল্পনা করে বিকাশকে খুন করে পুকুরে ফেলে দিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তে রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে মৃত যুবক স্থানীয় তৃণমূল কর্মী হওয়ায় ঘটনায় রাজনৈতিক রং লেগেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাংনিয়া গ্রামের বাসিন্দা সুবীর মণ্ডল পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করেছিলেন। বিকাশ বাবাকে সাহায্য করত। দিন কয়েক আগে তাঁদের একটি পুকুরে দুষ্কৃতীরা বিষ ঢেলে দেওয়ায় কয়েক হাজার টাকা মাছ মরে যায়। দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেনি বলে অভিযোগ। উল্টে অভিযুক্তেরা তাদের হমকি দিতে থাকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ‘একটু আসছি’ বলে বাড়ি থেকে বের হন বিকাশ। কিন্তু রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। না পেয়ে তাঁরা যখন থানায় যাচ্ছিলেন তখন শুক্রবার দুপুরে বাড়ির পাশের পুকুরে বিকাশের দেহ ভাসতে দেখা যায়। |
সুবীরবাবু বলেন, “কয়েকদিন আগে ভাই ভীম মণ্ডলের সঙ্গে জমি নিয়ে গণ্ডগোল হয়। গত ১৫ জুলাই ভাই কয়েকজনকে দুষ্কৃতীকে দিয়ে পুকুরে বিষ মিশিয়ে দেয়। থানায় অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। তার পর থেকেই ছেলেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।” স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ হুমায়ূন রেজা চৌধুরী বলেন, “বিকাশ আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ওঁর কাকারা অন্য একটি রাজনৈতিক দলের সমর্থক। গত কয়েকদিন ধরে বিকাশকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। শুধু পারিবারিক বিবাদ নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিকাশকে খুন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।”
|