|
|
|
|
|
|
|
নানা রকম... |
|
গোধূলি গগনে মেঘে |
শিখা বসু |
উত্তম মঞ্চে ‘শাঙন গগনে’ শীর্ষক বর্ষার গানের অনুষ্ঠানের শিল্পী ছিলেন দু’জন মৃন্ময় রায় ও সুছন্দা ঘোষ। সে দিন বাইরে ভালই বৃষ্টি চলছিল। তারই সঙ্গে সুর মিলিয়ে একের পর এক দুই শিল্পীর গান, সঙ্গে ভাষ্যপাঠে ছিলেন কাজল সুর, মানসী বন্দ্যোপাধ্যায়।
মৃন্ময় রায় গাইলেন অনেকগুলি গান। ইদানীং বেশ পরিণত গলা। তাঁর কণ্ঠে বেশ ভাল লাগে ‘কিছু বলব বলে’, ‘পাগলা হাওয়ার’, ‘আজি বরিষণ মুখরিত’, ‘মনে হল যেন’ প্রভৃতি গানগুলি। মনে দাগ কেটেছে ‘গোধূলি গগনে মেঘে’, ‘মনে হল যেন’ গান দুটিতে। তবে শিল্পীর উল্লেখযোগ্য গানটি হল, ‘এসো গো জ্বেলে দিয়ে যাও’। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে শিল্পীর স্বর-নিয়ন্ত্রণ জরুরি।
শিল্পী সুছন্দা ঘোষের শুধু নিখুঁত স্বরলিপি নয়, গানেও প্রাণের ছোঁয়া আছে। বর্ষার বিভিন্ন চিত্রকল্প যেন তাঁর গানগুলিতে অনায়াসে বিচরণ করে। ‘বাদল দিনের গানে’ বিরহের আকুলতা, ভানুসিংহের পদাবলির ‘শাঙন গগনে’র গানে রাধার বিরহবেদনা, ‘ঝরোঝরো বরিষে’-তে গাম্ভীর্য, ‘মন মম উপবনে’-তে সুন্দর চলন। এ ছাড়াও ‘আজি গোধূলি লগনে’ সঠিক ছন্দে লয়ে এবং ঠিকঠাক ঝোঁকের প্রয়োগে গীত। তবে ওই সন্ধ্যায় সুছন্দার সেরা নিবেদন ‘আজি ঝড়ের রাতে’। নিবেদনের গভীরতায় এই গান অনেক দিন মনে থাকবে।
|
তবু মনে রেখো |
শিখা বসু |
সম্প্রতি ওকাকুরা ভবনে ‘গীতায়ন সঙ্গীত অ্যাকাডেমি’র অনুষ্ঠানের সূচনা করলেন গৌতমবরণ অধিকারী। পরে গান গাইলেন আশিস ভট্টাচার্য, এনাক্ষী চট্টোপাধ্যায়, দেবারতি সোম, সমীর সেনগুপ্ত।
আশিস ভট্টাচার্যের ‘আমায় মুক্তি যদি দাও’, এনাক্ষী চট্টোপাধ্যায়ের ‘তবু মনে রেখো’ ও দেবারতি সোমের ‘মেঘের কোলে কোলে’ বিশেষ উল্লেখযোগ্য। গীতায়নের শিল্পীদের মধ্যে শ্রুতি চৌধুরী, ক্যামেলিয়া আইচ, বর্ণালী পাল উল্লেখযোগ্য।
আলোলিকা দাশগুপ্ত ভাল গেয়েছেন। তবে এ দিনের শ্রেষ্ঠ নিবেদন গৌতমবরণের ‘অশ্রুভরা বেদনা’ গানটি। পরে শ্রোতাদের বিশেষ অনুরোধে তিনি ‘মহারাজ এ কি সাজে’ গানটি পরিবেশন করলেন।
অনুষ্ঠানে অরুন্ধতী দেবকে সংবর্ধনা জানালেন সংস্থার সম্পাদিকা স্নিগ্ধা কর আচার্য।
|
মন ছুঁয়ে যায় |
রবীন্দ্রসদনে গিরিধারী নায়েকের পরিচালনায় ‘ওড়িশি আশ্রম’ উপস্থাপন করল ওড়িশি নৃত্যশৈলী। ওড়িশি নৃত্যকলার পরম্পরা অনুসারে অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে ছিল ‘মঙ্গলাচরণ’ বা ‘ত্রিখণ্ডী প্রণাম’ যাতে অংশ নিয়েছিল সব বয়সের শিল্পীরা। পরে ‘তোলাগি’, ‘বসন্তপল্লবী’, ‘নাচন্তী’, ‘গণেশতাণ্ডব’ দর্শককে মুগ্ধ করে। গুরু গিরিধারী নায়েকের সুযোগ্যা কন্যা সুজাতা নায়েকের লাবণ্যময় ভঙ্গিমা, অভিনয়-দক্ষতা ‘শ্রীরাধা’ নিবেদনটি উৎকর্ষ করে তোলে। সর্বশেষ ‘মোক্ষ’ও মন ছুঁয়ে যায়। অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং রাগাশ্রিত গানের সহযোগে ওড়িশি আঙ্গিকে নৃত্যও পরিবেশিত হয়। অংশগ্রহণে ‘ওড়িশি আশ্রম’-এর শিশুশিল্পীরা। |
|
|
|
|
|