|
|
|
|
|
|
|
মশলামুড়ি... |
|
মধুরেণ ব্যোমকেশ |
ফাটাফাটি, লাঠালাঠির অবসান। ব্যোমকেশের
আবার সুখের সংসার। লিখছেন হুকাকাশি |
চমক। ২০১৩-র গোড়াতেই শুরু হয়ে যাচ্ছে অঞ্জন দত্তের ব্যোমকেশ সিরিজের তৃতীয় ছবি।
কোন গল্প?
হতে পারে সেটা ‘দুর্গরহস্য’। হতে পারে ‘কহেন কবি কালিদাস’। যেটাই হোক না কেন দুটো কাহিনিরই ভিশ্যুয়াল এক কথায় চমৎকার। দৃশ্য থেকে দৃশ্যান্তরে থাকবে অজস্র সৌন্দর্যময় সিকোয়েন্স। আর অঞ্জন দত্ত ব্যোমকেশে উপর্যুপরি দ্বিতীয় সাফল্য পাওয়ার পর তৃতীয় ব্যোমকেশ করবেন এটাই তো স্বাভাবিক।
চমকটা আসলে অন্য জায়গায়।
সেটা হল এই যে, পরিচালক অঞ্জন দত্ত আর তাঁর প্রাক্তন প্রযোজক কৌস্তুভ রায়ের মনোমালিন্য মিটে গিয়েছে। এ বারের প্রকল্পে আবার তাঁরা একসঙ্গে। আরে, কৌস্তুভের প্রযোজনাতেই তো প্রথম ছবি ‘ব্যোমকেশ বক্সী’ করেছিলেন অঞ্জন। দারুণ চলেওছিল। কথা ছিল ধারাবাহিক ভাবে এই জুটিই করবেন পরের ব্যোমকেশ কাহিনিগুলি নিয়ে ছবি। |
|
কিন্তু দৃশ্যপট বদলে যায় রহস্য উপন্যাসের মতোই। একে অপরের হয়ে ওঠেন শত্রু। অঞ্জন জানিয়ে দেন কিছুতেই তিনি কৌস্তুভের সঙ্গে ছবি করবেন না। কৌস্তুভ পাল্টা হুমকি দেন ব্যোমকেশের ছবিকে আর সফল হতে দেবেন না। প্রকাশ্যেই বলেন, “ছবির পোস্টার পড়লে তার ওপর নতুন পোস্টার ফেলব।” ফেলেনও। অঞ্জনও অনমনীয় ছিলেন। সেই টানাপোড়েন এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে, এই ইস্যুতে দু’ভাগ হয়ে যায় টালিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রি । লোকে ভেবেছিল এই কাজিয়া শেষ হবে না। কিন্তু সব যুদ্ধেরই শেষ আছে।
তা শেষমেশ অঞ্জনই সেপ্টেম্বরের গোড়ায় এক মধ্যরাতে কৌস্তুভকে ফোন করেন। বলেন এই তিক্ততা রাখতে চান না। এর পর বেঙ্গল ক্লাবে বসেন একসঙ্গে। দু’জনের মধ্যে যে সব ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল মিটিয়ে নেন কৌস্তুভও। বলেন, “আপনার গান, আপনার সিনেমা দেখে আমরা বড় হয়েছি। মিটিয়ে নিয়ে চলুন নতুন কাজ শুরু করি।” সেই কথোপকথনে খুশি ওঁরা দু’জনেই। আর তারই ফলস্বরূপ আবার শুরু হতে চলেছে নতুন ব্যোমকেশ। প্রযোজক? কে আবার কৌস্তুভ রায়।
মধুরেণ সমাপয়েৎ। রহস্য গল্পের হ্যাপি এন্ডিং। |
|
|
|
|
|
|