স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড নেই। পাশাপাশি বেহাল অবস্থা নিকাশি ব্যবস্থারও। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই রীতিমত নরক হয়ে ওঠে চাপড়ার বাজার এলাকা। বর্ষার দিনগুলিতে তাই গোড়ালি সমান প্যাঁচপেঁচে কাদার মধ্য দিয়েই পথ চলতে হয় এলাকাবাসীদের। বাজারের এক মিষ্টির দোকানের মালিক গৌতম বিশ্বাস বলেন,“সামান্য বৃষ্টিতেই বাজার এলাকায় হাঁটু সমান জল জমে। পথ চলাই দুষ্কর হয়ে পড়ে। তার উপর রাস্তার উপর বাসগুলি বিপজ্জনকভাবে দাড়িয়ে থাকে।” কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়কটি এমনিতেই চাপড়া বাজারের ভিতরে অপেক্ষাকৃত সংকীর্ন। আর সেই অপ্রশস্থ রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে থাকে বাসগুলি। ফলে প্রতি মূহুর্তে সৃষ্টি হয় ব্যাপক যানজট। পাশাপাশি প্রয়োজনের তুলনায় নর্দমাটি অনেকটাই সরু। তাও আবার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দৌরাত্মে সেখানে জল গিয়ে পৌঁছতেই পারে না। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বৃষ্টির জল যাতে দোকানের সামনে জমতে না পারে তার জন্য তাঁরা দোকানের সামনের দিকটা মাটি ফেলে উঁচু করেছেন। তার ফলে বর্ষার জল নর্দমা পর্যন্ত যেতেই পারছে না। জমে থাকছে রাস্তার উপরেই। আবার নিকাশি ব্যবস্থা তৈরি হয়েছিল অনেককাল আগে। তারপর থেকে নর্দমাগুলির কোনও সংস্কারই হয়নি। অথচ ততদিনে জনসংখ্যা বেড়েছে এক প্রকার লাফিয়ে লাফিয়ে। অলিতেগলিতে গজিয়ে ওঠা দোকানগুলির একাংশ নর্দমা বুজিয়ে তৈরি হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের। চাপড়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কংগ্রেসের দীন মহম্মদ বিশ্বাস বলেন, “নদর্মা থাকলেও তা এলাকার জল নিকাশির জন্য যথেষ্ট নয়। হাইড্রেনের মাধ্যমে এলাকার নোংরা জল জলঙ্গিতে ফেলার ব্যবস্থা করলে তবেই সমস্যার সমাধান হবে। এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদের সঙ্গে কথা বলেছি।” পাশাপাশি তিনি এও জানান,“চাপড়া বিডিও অফিসের পাশে ফাঁকা জায়গায় একটি স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
স্থানীয় বিধায়ক রুকবানুর রহমান বলেন,“নির্বাচনে জেতার পর থেকেই চাপড়ার উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। বাসস্ট্যান্ড তৈরির ব্যাপারেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” রাজনীতির কর্তারা একাধিক উদ্যোগের কথা বললেও বিশেষ কোনও আশার আলো দেখছেন না এলাকাবাসী। তাঁদের দাবি, চাপড়ার বাসস্ট্যান্ড ও নিকাশি ব্যবস্থার সমস্যা দীর্ঘদিনের। বিভিন্ন নির্বাচনের আগে নেতাদের প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই পেলাম না। সমস্যারও কোনও সমাধান হয়নি। |